চলতি ফ্যাশনেই ঈদ কাটাবেন ফেসবুক সেলিব্রিটি লুল ফেবু

আঁকা: আসিফুর রহমান
আঁকা: আসিফুর রহমান

ঈদে নিজেকে যথাসম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করেন ফেসবুক সেলিব্রেটি লুল ফেবু। ঈদের সকালে সাধারণত গার্ল ফ্রেন্ডের ফোনে ঘুম ভাঙে তার। ঢাকা কলেজের সামনে থেকে কেনা নেভি ব্লু রঙের হাফপ্যান্টটাই প্রতিদিন পরেন। তাই ঈদের সকালেও ওই প্যান্ট পরে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে লিখবেন ‘ঈদ মোবারক বন্ধুরা, শুভ সকাল’।
গোসল সেরে বাথরুম থেকে ফিরবেন তিন বছর আগে ফুটপাত থেকে কেনা লাল গামছা পরা অবস্থায়। কৌশলে এ সময় তিনি গামছার ফুটোটা পেছন দিকে আড়াল করে রাখবেন। এ সময় কোনো স্ট্যাটাস দেবেন না। তবে কয়েকজন নারী ভক্তকে হালকা করে পোক দেবেন। ঈদ পোক। এটা তিনি প্রতিবছর করে থাকেন।
এরপর ঘরে থাকা কমলা রঙের পাঞ্জাবি পরে বাইরে যাবেন লুল ফেবু। সঙ্গে থাকবে কুল লুঙ্গি। ফ্যাশনের ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দেন তিনি। লুঙ্গি আরামদায়ক, ভেন্টিলেশন সুবিধা আছে। বাতাস না পেলে লুল ফেবুর দম বন্ধ হয়ে আসে। পায়ে পরবেন স্পঞ্জের স্যান্ডেল। এই স্যান্ডেলের সুবিধা হলো বাথরুম থেকে রাস্তা—সবখানেই পরা যায়।
দুপুরের দিকে লুল ফেবু যাবেন মলিদের বাসায়। সেখানে যাওয়ার আগে নিজেকে সাজাবেন অন্যভাবে। লাল রঙের টি–শার্ট পরে যাবেন সেখানে। এটা মলি কিনে দিয়েছে। সে লাল রং খুব পছন্দ করে। ফ্যাশনের বেলায় প্রেমিকার পছন্দের ব্যাপারটাও তিনি সব সময় মাথায় রাখেন।
প্রচুর খাওয়াদাওয়ার পর ঈদের বিকেলে লুল ফেবু একটু ঘুমিয়ে নেন সাধারণত। এ সময় তিনি গায়ে পোশাক রেখে অভ্যস্ত নন। ফ্যাশনে আরামের ওপরে কিছু নেই। সেটা ঘুমের সময় হোক কিংবা অন্য সময়। শুয়ে শুয়ে স্ট্যাটাস দেবেন, ‘খাইছি, খাইয়া নড়তে পারতেছি না। বন্ধুরা, তোমরা আমার মতো খেয়ো না!’
প্রতি ঈদের মতো এবারের ঈদের সন্ধ্যায়ও লুল ফেবু বন্ধুদের নিয়ে যাবেন লং ড্রাইভে (মানে অনেক দূর হাঁটবেন)। লং ড্রাইভে সাধারণত তিনি
বঙ্গবাজারের জিনস ও নিউমার্কেটের টি-শার্টই প্রাধান্য দেন।
হাতে থাকবে কালো ব্রেসলেট।
সবশেষে ঈদের রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে স্ট্যাটাস দেবেন, ‘এখন ঈদ অথচ ফার্মেসিওয়ালারা খাবার স্যালাইনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে! শিট ম্যান!’