জনৈক ককটেলের সাক্ষাৎকার

আকা: শিখা
আকা: শিখা

দেশের এই হরতালের মৌসুমে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব ‘ককটেল’। রস+আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ককটেল জানাচ্ছেন তাঁর জীবনের অনেক না-বলা কথা।
রস+আলো: কেমন আছেন?
ককটেল: জি ভালো আছি। গানের সুরে বলি, ‘ভালো আছি, ভালো আছি/সেই সুরে, কাছে-দূরে, জলে-স্থলে ফুটিতেছি...।’
রস+আলো: আপনার জন্ম স্পেনে। এ দেশের মানুষজনকে কেমন মনে হয়?
ককটেল: এ দেশের পুলিশরা বেশি সুবিধার না। আমাকে জ্যান্ত ধরতে পারলে বালতির পানিতে চুবিয়ে রাখে। আপনারা বলেন, দেশে কি কোনো ককটেলাধিকার নাই? এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এর জন্য স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ আর আন্তর্জাতিকমানের ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
রস+আলো: বুঝলাম, এ দেশ নিয়ে আপনার মনে দুঃখ কাজ করছে।
ককটেল: দুঃখ না তো কী! দেশে মোবাইল অপারেটরগুলো এই টেল, সেই টেল নামে সগৌরবে ব্যবসা করে যাচ্ছে, আর যত দোষ ককটেল ঘোষের। আমার ব্যবসা নাকি অবৈধ! তাই আমার দাবি, এ দেশে সব ‘টেল’-এর জন্য এক নিয়ম করা হোক। পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে আমিও রিচার্জের দোকান চাই। তবে আমাকে কখনো রিচার্জ কার্ডের মতো ঘষে গায়ের ছাল তুলে ফেলবেন না। জাস্ট ছুড়ে মারবেন। কথা দিলাম, ফুটে উঠব আপন শক্তিতে।
রস+আলো: বর্তমানে বাংলাদেশে আপনিও একজন তারকা। নিজের তারকাখ্যাতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ককটেল: আমি নিজেকে তারকা মনে করি না। তারা জ্বলে, কিন্তু আমি ফুটি। তাই নিজেকে ফুল হিসেবে পরিচয় দিতে ইচ্ছা করে। আবার ‘পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না’, আমি কিন্তু আপনাদের জন্যই ফুটি। এদিক থেকে আমি ফুলের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। তবু আপনাদের কাছে ‘বেল’ পেলাম না। তবু আমি আপামর জনতার জন্য ফুটে যাব, ফুটে যাব প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য। আমার বিশ্বাস, তারা একসময় গোলাপের বদলে একে অপরকে ককটেল উপহার দেবে।
রস+আলো: আমজনতার প্রতি কিছু বলার আছে?
ককটেল: আমজনতাকে বলছি, কখনো যদি রাস্তার ধারে আমাকে কুড়িয়ে পান আর টেপ টেনিস বল ভেবে ছক্কার মতো উড়িয়ে দিতে চান, তাহলে কিন্তু নিজেই উড়ে যেতে পারেন। কবি তো যেখানে-সেখানে ছাই দেখিলে উড়াইতে বলেছেন, ককটেল নয়। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা অবস্থায় অনেকে আবার আমাকে ডুগডুগিও ভাবতে পারেন। সে রকম কিছু ভাবলে বলি, বিল্ডিংয়ের পিলার নাড়ান ভালো কথা, কিন্তু ডুগডুগি নাড়াতে যাবেন না। মাইন্ড ইট।