ম্যান ভার্সেস হরতাল

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

l হরতালের প্রতিকূল পরিবেশে জীবন ধারণ করতে হলে আপনাকে প্রথমেই পিকেটিং নিরোধক কাপড় পরতে হবে। এ জন্য মাথায় থাকতে হবে লোহার শক্তিশালী হেলমেট; যা ইট পাটকেল, ঢিলা, ডিব্বা—সবকিছু থেকে আপনার মাথা বাঁচাতে কার্যকর। মধ্যযুগীয় ঢালের ব্যবহারও ক্ষেত্রবিশেষে কার্যকর হতে পারে।
l চারদিকে ককটেল, মিছিল, ভাষণ—এসবের বিরক্তিকর শব্দ থেকে কানকে মুক্ত রাখতে একটি ভালো হেডফোনের প্রয়োজন হবে। হেডফোন না পেলে বোতলের কর্ক সঙ্গে রাখুন।

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

l ককটেল কিংবা গোলাগুলি থেকে রক্ষা পেতে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট আবশ্যক। লোহার বর্মের বিকল্প হিসেবে বাংলা ছবির নায়কের মতো ‘মায়ের দোয়া’ লেখা বোর্ড শার্টের ভেতর রাখা যেতে পারে। এতে গুলি বা ককটেল আঘাত হানলেও ‘মায়ের দোয়া’ লেখা বাঁধানো ফ্রেমে বাধাগ্রস্ত হবে।
l জরুরি প্রয়োজনে বাস থেকে বের হওয়ার জন্য জানালা দিয়ে লাফানো অথবা করাত, হ্যাক স দিয়ে বাস কেটে বের হওয়ার বিদ্যা আয়ত্ত করতে পারা টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

l দুই দলের মিছিলেই পরিস্থিতি বুঝে ভিড়ে যাওয়ার মতো মানসিক দক্ষতা হরতালে সারভাইভালের একটি কার্যকর উপায়। এ জন্য দুই দুলের প্রধানের ছবিই মানিব্যাগে বহন করা যেতে পারে। যেকোনোভাবে পুলিশি ঝামেলায় পড়ে গেলে উপযুক্ত ছবিটি পাস হিসেবে কাজে লাগার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করুন, যেন যেকোনো ক্যাচালে পড়লে প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ঢুকে পলিটিক্যাল ভিউ চেঞ্জ করে দেখাতে পারেন।

l পারফিউমের বোতলের সাইজের অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সব সময় সঙ্গে রাখতে পারেন। ঢাকায় যে হারে গরম পড়ে, তাতে গরমের দিনে তা পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

l হরতালে সারভাইভালের কোনো পন্থাই পছন্দ না হলে কাজকাম সব ছেড়ে বনে-জঙ্গলে গিয়ে ধ্যানে বসে যান। এবং বিয়ার গ্রিলসের মতো বনে-জঙ্গলেটিকে থাকতে শিখুন।