গরম

ব্রিটিশ শাসনামলে গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ইংরেজরা শরণ নিত হাতপাখার। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ শাসনামলে গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ইংরেজরা শরণ নিত হাতপাখার। ছবি: সংগৃহীত

মাথা গরম আর গা গরম—এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর তফাত। আবার গা গরম আর গা গরম—এই দুইয়ের মধ্যে যে তফাত, তা ধারণ করতে এক অভিসন্দর্ভ যথেষ্ট নয়।

দুটো গা গরমের একটির বর্ণনা রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রসহ অনেকেই সাফল্যের সঙ্গে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের দু-চার পঙ্​ক্তি উদ্ধৃতি দোষণীয় হওয়ার নয়। ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক চক্রবর্তীর কথা, স্কুলপাঠ্য হওয়ার কারণে আমার প্রজন্মের কারও ভোলার কথা নয়। দুজন পুলিশ যখন ফটিককে ধরাধরি করে গাড়ি থেকে নামিয়ে বিশ্বম্ভর বাবুর সামনে উপস্থিত করল, ‘তাহার আপাদমস্তক ভিজা, সর্বাঙ্গে কাদা, মুখ চক্ষু লোহিতবর্ণ, থরথর করিয়া কাঁপিতেছে।’

‘বালকের জ্বর অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিল । সমস্ত রাত্রি প্রলাপ বকিতে লাগিল। বিশ্বম্ভর বাবু চিকিৎসক লইয়া আসিলেন। ফটিক তাহার রক্তবর্ণ চক্ষু একবার উন্মীলিত করিয়া কড়িকাঠের দিকে হতবুদ্ধিভাবে তাকাইয়া কহিল, “মামা, আমার ছুটি হয়েছে কি?’”

গরমে গা পুড়িয়া যাইতেছে এই বর্ণনা বিখ্যাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখোপাধ্যায়দের রচনায় অঢেল। কিন্তু দ্বিতীয় গা গরম নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কিঞ্চিৎ লেখালেখি করে মামলা খেয়েছেন দুই বসু (বুদ্ধদেব আর সমরেশ)। যুগটা তখন ‘ক্রসফায়ার’ আর ‘এনকাউন্টার’-এর নয় বলে বেঁচে গেছেন দুজনেই। এই ঘরানার গা গরম নিয়ে যত গরম গরম বই লিখিত হয়েছে, তার প্রায় সবই কোনো না কোনো সময় নিষিদ্ধ হয়েছে (দ্য ওয়েল অব লোনলিনেস, লেডি চ্যাটার্লিস লাভার, ট্রপিক অব ক্যানসার, লোলিতা, কামসূত্র, আর্স অ্যামাটোরিয়া, দ্য জয় অব সেক্স দীর্ঘ তালিকার মাত্র কয়েকটি। এমনকি কবিরাও সুযোগ ছাড়েননি ওভিদ, কালিদাস, স্যাপো, পেত্রার্ক এমনকি অ্যালেন গিন্সবার্গও)।

আমার বিশেষ প্রিয় ঋতুবিষয়ক গরম কবিতাটি, (ঋতু শুনেই গরম হয়ে যাবেন না), ষড়্ঋতুর একটি গ্রীষ্ম নিয়েই, অমন কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে আসেনি। এসেছে রামগড়ুরদের জাতীয় জনক সুকুমার রায়ের হাতে।

‘সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে

আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে

ধরার চোখে।

তাপিয়ে গগন কাঁপিয়ে ভুবন মাতল তপন

নাচল পবন।

রৌদ্র ঝলে আকাশতলে অগ্নি জ্বলে

জলে স্থলে।

ফেলছে আকাশ তপ্ত নিশ্বাস ছুটছে বাতাস

ঝলসিয়ে ঘাস,

ফুলের বিতান শুকনো শ্মশান যায় বুঝি

প্রাণ হায় ভগবান।’

তারপরও ঋতুর ঘোর যদি না কেটে থাকে, লুসিল ক্লিফটনের ‘ইন প্রেইজ অব মেনস্ট্র-য়েশন’ কবিতাটি পাঠ করে কাটাতে পারেন, ‘ইফ দেয়ার এজ আ রিভার/ মোর বিউটিফুল দ্যান দিস/ রিটার্নিং ইচ মান্থ/ টু দ্য সেইম ডেলটা? এফ দেয়ার ইজ...’

ইউরোপীয়রা কথোপকথন শুরু করে আবহাওয়া দিয়ে। বিলেতে সাড়ে সাত শ দিনসহ অনেক বই এ সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু ইউরোপেরই সন্তান অস্কার ওয়াইল্ড (বাঘের ঘরে ঘোগ) তুড়ি মেরে নাকচ করে দিলেন ইউরোপের কথোপকথন সংস্কৃতি। বললেন, আবহাওয়া নিয়ে কথোপকথন হচ্ছে কল্পনাশক্তিহীন মানুষের শেষ আশ্রয়।

অস্কার ওয়াইল্ড এমন একটি প্রকৃতি নির্বান্ধব উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রেরণা সম্ভবত স্যামুয়েল জনসনের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন। স্যামুয়েল জনসনের জীবনীকার বসওয়েল লিখেছেন, ৭ এপ্রিল ১৭৭৫ জনসন সাহেব গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি বলেছেন তা হচ্ছে, দেশপ্রেম হলো বদমাশদের শেষ আশ্রয়। এ জন্য দেশপ্রেমিক দেখলে সাবেক উপনিবেশের মানুষ হিসেবে আমরাও ভয় পাই।

ব্রিটেন তো এমনি ঠান্ডার দেশ। তবু ব্রিটিশরা নাকি চান তাঁদের এমপিরা যেন সংসদেই থাকেন। বাইরে বেরোলে তাঁদের গরমে নাগরিকদের গায়ে আঁচ লাগে। সংসদ ভবনের ভেতর কংগ্রেসনাল হট এয়ার ফ্রিজেস। তাঁদের অবশ্য টাকার গরম নেই। আমাদের দুটোই আছে।

ইউরোপের অন্যান্য দেশে মানুষের গরম যৌনজীবন আছে আর ইংরেজদের আছে হট ওয়াটার বোটল। বিখ্যাত সরদারজি খুশবন্ত সিং ‘ডার্টি ওল্ডম্যান’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর দুশমন শ্রেণির লেখকদের একজন হলফ করে বলেছেন, খুশবন্ত সিং নারীর গরম (কিংবা উষ্ণতা) কখনো পাননি, যেটুকু পেয়েছেন তা হট ওয়াটার ব্যাগের গরম।

গরম কবিতা

মাতিলদা এবং চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরির মতো বেস্টসেলার কিশোর উপন্যাসের লেখক রোয়াল্ড ডাল কবিতাও লিখতেন। তাঁর ছয় পঙ্​ক্তির বিখ্যাত ‘হট অ্যান্ড কোল্ড’ কবিতাটি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। কবিতাটির নাম ‘গরম ও ঠান্ডা’:

‘আমার মা চিনতেন এমন একজন নারী

ভেতরে এলেন এবং পরনের সব কাপড় খুলে ফেললেন।

বললাম আমি, বয়স আমার তেমন বেশি নয়

“হায় এ কী ঈশ্বর! নিশ্চয়ই আপনার

ঠান্ডা লাগছে ।”

চিৎকার করে তিনি বললেন, “না, না, মোটেও তা নয়।

আমি শয়তানের মতো গরম হয়ে উঠেছি।”’

তারুণ্যের গরম আর মধ্যজীবনের গরম যে এক নয়, এ ব্যাখ্যা কবির চেয়ে ভালো আর কে দেবেন। সুসান নোয়েস অ্যান্ডারসনের কবিতা ‘এজ হ্যাপেনস’-এ হট ফ্লাশ:

‘আমরা যখন তরুণ ছিলাম, তোমাকে দেখলে

লাল হয়ে যেতাম

তারপর গরম এবং ঠান্ডা এবং তারপর মণ্ড

আমি এখনো তা-ই অনুভব করি, এটা সত্য

কিন্তু এটা কি আমার মেনোপোজ না তুমি?’

এক হাজার এক শ বছর আগের গরম কবিতা

‘কোমল হাতে আমি

সাদা পালকের পাখা নাড়ি

শার্ট খোলা, বসি সবুজ বনে

আমার ক্যাপ খুলে নিই, ঝুলিয়ে দিই

বেরিয়ে থাকা একটি পাথরে;

পাইন বন থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস

আমার খোলা মাথায় চুইয়ে পড়ে।’

উদ্ধৃত এ কবিতাটি লিখেছেন চীনদেশীয় কবি লি পো। ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া এই কবির কবিতায় পাওয়া যায় তাঁর সময়ের গরমের চালচিত্র।

ইন্টারনেট যুগে বাস্তবের শরীর কোণঠাসা হয়ে গেছে, সমস্ত উত্তাপ শুষে নিয়েছে ভার্চ্যুয়াল নারী ও ভার্চ্যুয়াল পুরুষ। এবারের বাংলাদেশে গরমটা একেবারেই দুর্বিষহ। শরীরের গরম উবে যাওয়ার পর প্রকৃতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে চেয়েছে।

তপ্ত প্রবাহের গান

হিটওয়েভ যখন মানুষ ও প্রকৃতিকে বিপন্ন করে তুলল ষাটের দশকে (১৯৬৩), হিটওয়েভ গান দিয়ে লিন্ডা রোনস্টাড পশ্চিম মাতিয়ে দিলেন। হিটওয়েভের মানেই বদলে গেল। অথচ তখনো অরণ্যে জ্বলছে আগুন। সেই গানটি বাংলায় ভাষান্তর করলে কেমন দাঁড়াতে পারে দেখুন:

‘যখন আমি তোমার সাথে

আমার ভেতর কিছু একটা জ্বলতে শুরু করে

আমি পূর্ণ হয়ে উঠি কামনায়

একি আমার ভেতরের শয়তান

নাকি ভালোবাসা এমনই হওয়ার কথা?

তপ্ত প্রবাহের মতোই

আমার হৃদয়ে জ্বলছে

না কেঁদে পারছি না

আমাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছে।

উচ্চরক্তচাপ কি আমাকে পেয়ে বসেছে

নাকি ভালোবাসা এমনই হওয়ার কথা?’

গোলার গরম

প্রথম মহাযুদ্ধের গরম দিনগুলোর একদিন। এমডেন নামের একটি জার্মান যুদ্ধজাহাজ কয়েক দিন বঙ্গোপসাগরে থেকে ভারি উৎপাত করেছে এবং যথেষ্ট উত্তাপ সঞ্চারিত করেছে। এরও সাক্ষী সুকুমার রায়:

‘সেই জাহাজের একটা গোলা মাদ্রাজের একটা প্রকাণ্ড কেরোসিনের চৌবাচ্চায় পড়িয়া সমুদ্রের ধারে যে অগ্নিকাণ্ড লাগাইয়াছিল “তামাসা” হিসাবে সে দৃশ্য নাকি অতি চমৎকার হইয়াছিল। আর কেরোসিনের জন্ম যেখানে সেখানে ব্যবসার জন্য খনি খুঁড়িয়া, কুয়া বসাইয়া, কেরোসিনের হ্রদ বিল ও কেরোসিনের ফোয়ারার সৃষ্টি করা হয়, সেখানে যখন আগুন ধরিয়া যায় আর লক্ষ লক্ষ মণ কেরোসিন ধূ ধূ করিয়া জ্বলিতে থাকে তখন ব্যাপারটি যে কেমন হয় তাহার আর বর্ণনা হয় না। পেটুক আগুন তখন মনের মতো খোরাক পাইয়া উল্লাসে লক্ষ লক্ষ জিভ মেলিয়া ধোয়ার হুঙ্কার ছাড়িয়া স্বর্গ মর্ত্য গ্রাস করিতে চায়। তাহার কাছে লঙ্কাকাণ্ডই বা কি আর খাণ্ডব দহনই বা লাগে কোথায়।’

দারুণ অগ্নিবাণে রে

যে বছর রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সে বছরের একটি দিন ১০ জুলাই ১৯১৩ ছিল সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত দিন। রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কিংবা শান্তিনিকেতনে নয়, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে, রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

রবীন্দ্রনাথও লিখেছেন দগ্ধ দিনের গান:

‘দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষ্ণায় হানে রে।।

রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন

আরাম নাহি যে জানে রে।।’

গরমে কী হয় শিশু ভাষ্য

মুরগি যে ডিমটা পাড়ল, ওটা একেবারে ওমলেট হয়ে এসেছে। শিশুদের কেউ বলছে হার্ড বয়েলড এগ।

গরুর ওলান থেকে বেরোচ্ছে এভাপোরেটেড মিল্ক।

গরু আর মুরগি কাছাকাছি থাকলে তখনই পাচ্ছেন ইনস্ট্যান্ট পুডিং।

আমার নিতান্ত শৈশবে চা গরমের দিকে টান ছিল না। আমার পছন্দ ছিল ঘটি গরম চানাচুর আর হট পেটিস। টিনের বাক্সের নিচের স্তরে কয়লার আগুন এবং ওপরের স্তরগুলোতে চার আনা, দুই আনা এবং এক আনার দামের হট পেটিসওয়ালাকে আমার মনে হতো অনুসরণযোগ্য–অনুকরণযোগ্য প্রিয় মানুষ। গরম পেটিসওয়ালার পেছন পেছন ঢাকার রাস্তায় অনেক হেঁটেছি, খেয়েছি খুব কমই। আমার গরম-জ্ঞান হট পেটিস পর্যন্তই ছিল। জ্ঞান–সমুদ্রের বেলাভূমিতে নুড়ি কুড়াতে যেদিন আইনস্টাইন হয়ে উঠলাম—জানলাম, ঝাল ইংরেজি হট, গোপনীয় কাজও হট, সুন্দর ও আকর্ষণীয় নারীও হট। আমিও পাণ্ডিত্যের ভাব নিয়ে বললাম, জ্ঞানের অসীম সমুদ্র এখনো আমার অজানা রয়ে গেছে।

গোপনীয় ব্যাপারটা যে হট, তার একটা ব্যাখ্যা দিতে চাই। ঢাকা শহরের যে পাড়াটিতে আমার জন্ম তার নাম রাজাবাজার। আমার প্রাইমারি স্কুলজীবনে এর একপ্রান্তে থাকতেন বিখ্যাত কবরী, অন্য প্রান্তে শাবানা। আমরা কজন তাঁদের বাড়ির আশপাশে গোয়েন্দা সফর করে জানার চেষ্টা করেছি, তাঁদের সঙ্গে কার কার হটলাইন।

আশির দশকে একজন নারী এমপি স্নেহপরায়ণ হয়ে আমাকে বলেছেন, দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর হটলাইন।

গরমের অভিজ্ঞতা

২০০৭: কুয়েতেই কদিনের সফর। সকালে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সাড়ে ১০টা বাজতেই ৪৫, ১২টার দিকে সেই যে ৪৯ ডিগ্রিতে ঠেকল, আর বাড়েও না, কমেও না।

বড় রাস্তায় টেম্পারেচার পোল, বড় ভবনের শীর্ষেও ডিজিটাল টেম্পারেচার মনিটর।

এদিকে গাড়িতে, স্মার্টফোনে তাপমাত্রা ৫১ থেকে ওপরের দিকে উঠছে। সরকারি গাড়ির অধিকর্তাকেই জিজ্ঞেস করলাম, এদিকে বাড়ছে ওদিকে ঠেকে আছে কারণটা কী? ব্রাদার আবদুল্লাহ কোনো রকম রাখডাক না করে বললেন, বাইরের তাপমাত্রার পোল আমজনতার জন্য। ৫০ ডিগ্রি ছুঁলেই অফিস ছুটি দেওয়ার নিয়ম। কাজেই ৪৯ ডিগ্রি ঠিকই আছে।

২০০৮: দিল্লির গ্যালারি থেকে কেবল অমৃতা শেরগিলের পেইন্টিং দেখে বের হয়েছি। বাইরে প্রচণ্ড গরম। আমি বইয়ের এ দোকান–ও দোকান করছি যশোধারা ডালমিয়ার লেখা অমৃতার জীবনী কিনব। অন্তত পৌনে ১ ঘণ্টা এদিক-ওদিক করার পর পেয়ে গেলাম (তখনো বিভান সুন্দরমের দুই খণ্ডের অমৃতা শেরগিল বের হয়নি)। এমনিতেই খুশবন্ত সিং অমৃতা শেরগিলের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে তাঁকে ভারতবর্ষের সবচেয়ে গরম নারীই মনে করার কথা।

বইটি হাতে নিয়ে যখন রাস্তায় নামি, অমৃতার গরম এবং দিল্লির গরমে আমার হিটস্ট্রোক হওয়ার অবস্থা।

বিধিবদ্ধ সতর্কতা: হিটস্ট্রোক ইজ নো জোক।