ককটেল তৈরিতে লাল রঙের টেপ

.
.

শুধু ধান বা পাট নয়, ককটেল উৎপাদনেও শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। বর্তমানে তৈরি পোশাকশিল্পের মতো তৈরি ককটেলশিল্পেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভাবতে ভালোই লাগে। প্রতিদিন শত শত ককটেল তৈরি হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবারের শীতে মানুষের ত্বক ফাটার চেয়ে ককটেল ফাটার সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় পর্যাপ্ত ককটেলের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রস্তুতকারকেরা।

তবে অবস্থার পরিবর্তন বেশ দ্রুতই ঘটবে বলে আশা করছেন নির্মাতারা। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বিদেশেও ককটেল, পেট্রলবোমা ইত্যাদি রপ্তানি করতে পারব। রাজনৈতিক অস্থিরতা তো সব দেশেই থাকে। তবে ককটেলের এই বাম্পার ফলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার সবার নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। তা হলো ককটেলে লাল রঙের টেপের ব্যবহার। অধিকাংশ ককটেলই তৈরি হচ্ছে লাল টেপ দিয়ে। অথচ দেশে কালো, সবুজ, সাদা, নীল, হলুদ ইত্যাদি রঙের টেপও পাওয়া যায়।

লাল রঙের টেপ সাধারণত ক্রিকেট খেলায় বলে প্যাঁচানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ককটেল তৈরিতে লাল টেপ ব্যবহার করার কারণে বাজারে লাল টেপের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে, বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে অলিগলির ক্রিকেটপ্রেমীদের, যা দেশের ক্রিকেটের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ছাড়া লাল টেপে প্যাঁচানো ককটেলকে ক্রিকেট বল ভেবে এটা নিয়ে খেলতে গিয়ে অনেক শিশুই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অথচ ব্যাপারটি নিয়ে সম্মানিত পিকেটাররা ভাবছেই না। আরে ভাই, ককটেল মানেই তো মিশ্রণ। সেখানে একটি বিশেষ রঙকে প্রাধান্য দেওয়া নির্দ্বিধায় বর্ণবৈষম্যের শামিল। অতএব, ককটেল তৈরিতে অন্যান্য রঙের টেপ ব্যবহার করে বর্ণবৈষম্য রোধ করার পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।