আত্মত্যাগী কিশোর বিপ্লবী

>

‘আনোয়ারকে তারা জেল ও ফাঁসির ভয়ও দেখাল। যেমন কথা তেমন কাজ। আনোয়ারও এ কথা মেনে নিল না যে বাঙালি হিন্দু আর মুসলমান দুটি স্বতন্ত্র জাতি। মুসলিম লীগের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ ছিল, তাই আনোয়ারকে বিনা বিচারে জেলে আটক হতে হলো।’

খাপড়া ওয়ার্ড: ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল এখ​ানেই হত্যা করা হয় আনোয়ার হোসেনসহ সাত বিপ্লবীকে। আনোয়ার হোসেনের জন্মতারিখ জানা যায়নি, মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল ১৯৫০। ছবি: আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
খাপড়া ওয়ার্ড: ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল এখ​ানেই হত্যা করা হয় আনোয়ার হোসেনসহ সাত বিপ্লবীকে। আনোয়ার হোসেনের জন্মতারিখ জানা যায়নি, মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল ১৯৫০। ছবি: আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ

‘কিশোর কবি’ সুকান্ত ভট্টাচার্য খুব স্পষ্ট করে বলে গেছেন আঠারো বয়সের মাহাত্ম্য সম্পর্কে, ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ/ স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি।’ তেমনই এক প্রতিভাধর, দেশপ্রেমিক, নির্লোভ ও দুঃসাহসী এক তরুণের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে হয়তো বিস্মৃতপ্রায়। কিন্তু ইতিহাস-সচেতন পাঠকের কাছে আনোয়ার হোসেন এক বিপ্লবীর নাম, সহকর্মীদের কাছে প্রাণচঞ্চল মেধাবী এক সম্ভাবনাময় ক্ষণজন্মা টগবগে তরুণের নাম, আর তৎকালীন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে নিরন্তর এক অনুপ্রেরণার নাম।
আনোয়ার হোসেনের জন্ম তৎকালীন খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমার বুধহাটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারে। আপন বলতে বিধবা মা ছাড়া সংসারে তাঁর কেউ ছিল না; মায়েরও একমাত্র সন্তান আনোয়ার ছাড়া কেউ ছিল না। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন লজিং থেকে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। যে বাড়িতে লজিং ছিলেন, সেই বাড়িওয়ালার ছেলেও একই ক্লাসে পড়তেন। সহপাঠী, কিন্তু তাঁকে পড়ানোর বিনিময়েই সেখানে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আনোয়ার। ক্লাসের ‘সেকেন্ড বয়’ আনোয়ার তৎকালীন প্রগতিশীল সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ক্লাসের তুখোড় ছাত্র আনোয়ার বাংলাদেশের ইতিহাসে অকৃত্রিম আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
ব্রিটিশ আমলে, স্কুলজীবন থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। ফলে সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বাল্যকাল থেকে। বিতর্ক, আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সবকিছুতেই ছিল তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আনোয়ার ইংরেজিতে তুখোড় ছিলেন। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি এত কর্মতৎপরতার দরুন তাঁর পক্ষে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা সম্ভব হতো না। ফলে শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ হতেন আনোয়ারের ওপর। কিন্তু দল বা সংগঠনের স্বার্থে ক্লাস ফাঁকি দিলেও পড়াশোনায় মোটেই অমনোযোগী ছিলেন না তিনি। দিনের পর দিন আনোয়ারকে শ্রেণিকক্ষে না পেয়ে ক্লাস টিচার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ দিতেন। একদিন প্রধান শিক্ষকের মৃদু শাসন আনোয়ারের ভেতরে একটু ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাঁর এক সহপাঠীর স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, ‘সবাইকে অবাক করে দিয়ে পরের দিন বাংলা থেকে ইংরেজি ১০টি ট্রান্সলেশন প্রতিটি দু-তিন রকম করে ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজি শব্দ দিয়ে ভূপেনবাবুর (ক্লাস টিচার) কাছে জমা দেন কারেক্ট করার জন্য। আমরা তো থ! ভূপেনবাবুও।’ (খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০, মতিউর রহমান, ঢাকা, ২০১৫, পৃ.১৩৪)

কিশোর হলেন বিপ্লবী

স্কুলপড়ুয়া আনোয়ারের মেধা সম্পর্কে জানাজানি হয়ে যায় চারদিকে। তিনি যে প্রায় অনাহারী থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন, সে কথাও জেনে যায় আশপাশের মানুষ। কিন্তু আনোয়ারের যে পরাধীন দেশের মানুষের মুক্তি আর অধিকারের কথা না ভাবলে চলে না! তাই ১৯৪৫-৪৬ সালে কংগ্রেস-মুসলিম আর ব্রিটিশদের ত্রিমুখী রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কালে খুলনায় গঠনমূলক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হন। এর পাশাপাশি তেভাগা আন্দোলন, বাঁধবন্দী আন্দোলনসহ ডোবায় বড় খাল খননের কাজে সরাসরি অংশ নিয়ে রাত-দিন অমানুষিক পরিশ্রম শুরু করেন। লজিংবাড়িতে ঠিকমতো খাবার জোটেনি। বলা যায়, নাওয়া-খাওয়া কোনোটিই প্রয়োজনমতো হয়নি। এর মধ্যে আক্রান্ত হন ম্যালেরিয়ায়। ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেবনের সুযোগ পেলেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভাবে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতা হারাতে বসে। একপর্যায়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা চিকিৎসার জন্য পাঠান কলকাতায়। সেই অবস্থা থেকে ফিরে এসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সারা কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন আনোয়ার। এরপর শিক্ষাজীবন আর দীর্ঘায়িত হয়নি তাঁর। এ সময় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত আলাদা রাষ্ট্র হয়ে যায়। ‘নতুন দেশে’ নতুন পরিস্থিতিতে আনোয়ারদের আন্দোলন-সংগ্রামও নতুনভাবে বেগবান হয়। মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক—এই কয়েক বছরে যতটুকু সময় তিনি পেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের মুক্তির চিন্তায় নিবিষ্ট ছিলেন। তাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মীকে অচিরেই যোগ দিতে হয় পাকিস্তান সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কাজের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।

তবে পাকিস্তান হওয়ার ঠিক পরপরই খুলনার এক পুলিশ সুপার আনোয়ারকে প্রগতিশীল চিন্তা থেকে ফেরাতে, সব আদর্শিক আন্দোলন থেকে নিরস্ত করতে ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ নিশ্চিত করার লোভ দেখিয়েছিলেন; সচ্ছল জীবনের ইঙ্গিত দিয়ে নিপীড়িত আর ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের কাছ থেকে দূরে সরাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আনোয়ার তা করেননি। এমনকি দারিদ্র্যপীড়িত মায়ের চেয়েও দেশ ও জনমানুষের মুক্তির প্রতি বেশি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। তাই জেল-জুলুম আর সংগ্রামী জীবনকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি, সচ্ছল জীবন নয়।

আনোয়ারের সেই ছোট্ট জীবনে তেমনই আরও একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। ১৯৪৮ সালের মার্চে ঢাকায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে প্রতিবাদে বালক আনোয়ার তখনই শামিল হন। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো জিন্নাহর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণায় আনোয়ারদের নেতৃত্বে আন্দোলন দানা বাঁধে খুলনা শহরেও। তাঁদের তৎপরতায় ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয় ছাত্র ফেডারেশনসহ খুলনার সাধারণ মানুষ। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে আরও কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশের হাতে আটক হন আনোয়ারও। এ সময় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর জেল থেকে ছাড়া পেলেও কিছুদিনের মধ্যে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। কারণ, জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি গোপনে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’ ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষকতায় নিয়োজিত আনোয়ারকে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততাসহ বামপন্থী আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান সরকারের পুলিশ। কে জানত, এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়েই চিরতরে আনোয়ারের প্রাণপ্রদীপ নিভে যাবে?

সেই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে বামপন্থী নেতা অনিল মুখার্জি লিখেছেন, ‘মুসলিম লীগের নেতা সবুর খাঁ থেকে গ্রামের গুন্ডা মুসলিম কমিটি পর্যন্ত আনোয়ারকে ঘিরে ধরল, তুমি মুসলমানের ছেলে, হিন্দু কমিউনিস্টদের সঙ্গে মিলে ছাত্র ফেডারেশন করবে কেন, মুসলিম ছাত্রলীগে যোগ দাও। তারা আনোয়ারকে নানা প্রলোভন দেখাল। তার মাকেও প্রলোভন দেখাল। কিন্তু আনোয়ার এমন কীর্তিমান ছেলে, মুসলিম লীগে যোগ দিলে তার কত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, শুধু যে পড়াশোনা আর টাকার চিন্তা করতে হবে না তা-ই নয়, ভবিষ্যতে যা চায়, তা-ই পাবে।’ সদ্য কৈশোর পার করা আনোয়ারকে মনভেজানো নানা প্রলোভন দেখানোর পাশাপাশি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। অনিল মুখার্জি আরও লিখেছেন, ‘আনোয়ারকে তারা জেল ও ফাঁসির ভয়ও দেখাল। যেমন কথা তেমন কাজ। আনোয়ারও এ কথা মেনে নিল না যে বাঙালি হিন্দু আর মুসলমান দুটি স্বতন্ত্র জাতি। মুসলিম লীগের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ ছিল, তাই আনোয়ারকে বিনা বিচারে জেলে আটক হতে হলো।’ (খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০, মতিউর রহমান, ঢাকা, ২০১৫, পৃ.৮৯)

সবার জন্য আত্মদান

ব্রিটিশ আমলে দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক রাজবন্দীদের যে অধিকার ছিল, পাকিস্তানি সরকার সেই অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা শুরু করে। আবার জেলের অভ্যন্তরে গরুর বদলে সাধারণ কয়েদিদের দিয়ে তেলের ঘানি টানানোর মতো পাশবিক কাজ করাতে থাকে। এসবের প্রতিবাদে এবং নিজেদের ছোটখাটো কিছু দাবি আদায়ের জন্য রাজবন্দীরা শান্তিপূর্ণভাবে দিনের পর দিন অনশন করতে থাকেন। ১৯৫০ সালের তেমনই একটি দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। তেমন কোনো কারণ ছাড়াই জেলের সুপারিনটেনডেন্ট এফ বিল রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের বন্ধ প্রকোষ্ঠে ৩৯ জন রাজবন্দীর ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। সেই গুলিতেই অদম্য মেধাবী তরুণ আনোয়ারের মুখের বাঁ পাশ উড়ে যায়! তৎক্ষণাৎ সমাপ্তি ঘটে অপার সম্ভাবনাময় এক তরুণের জীবনের। শহীদ হন বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান আনোয়ারসহ মোট সাতজন। বাকি প্রায় সবাই কমবেশি আহত হন। পরে জানা যায়, আনোয়ারের বেঁচে না থাকার খবর শোনার পর তাঁর মা পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলেন। যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিনই কাউকে দেখলেই তাঁর একমাত্র সন্তান আনোয়ারের খোঁজ করতেন!

মার্ক্সবাদী ভাবুক-লেখক রণেশ দাশগুপ্ত আর আনোয়ার একসময় কারাগারের একই কক্ষে বন্দী ছিলেন। আনোয়ার হোসেনকে তিনি তাঁর ‘আলো দিয়ে আলো জ্বালা’ বইটি উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গপত্রে লিখেছেন, ‘খুলনার সেই সবেমাত্র কৈশোর পার হয়ে যৌবনে পা দেওয়া সাহসী তীক্ষ্ণধী তেজি ছেলেটি/ রাজশাহী জেলে ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিলের গুলি চালনায় নিহত সাতজন রাজনৈতিক বন্দীর মধ্যে সে ছিল সর্বকনিষ্ঠ/ ওই বয়সেই বিতর্ক কুশলী হিসেবে সে নাম করেছিল/ সাহিত্য-শিল্পকলায় তার দখল দেখে চমক লাগত/ একা একা বই পড়ে মজা পেত না বলে বই নিয়ে সে বের হতো শ্রোতা পাকড়াও করার জন্য/ কারাগারে সেবার সে অনেক প্রশ্নই তুলেছিল ভালো-মন্দ, সুন্দর-কুৎসিত সম্পর্কে এবং জবাব চেয়েছিল তার স্বভাবসিদ্ধ ঝাঁজালো ভঙ্গিতে/ কিন্তু জবাব দেওয়ার মতো ফুরসত পাইনি সে সময়ে।’ (খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০, মতিউর রহমান, ঢাকা, ২০১৫, পৃ.২৪)

ভাষার সংগ্রামে প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার ঠিক ২৫ বছর আগে, ১৯৫০ সালে উপমহাদেশে প্রথম জেলের অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ড ঘটে রাজশাহীর খাপড়া ওয়ার্ডে। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের মুক্তি তথা অধিকার আদায়ের জন্য আত্মবলিদানের সেই ঘটনা, বাঙালির ধারাবাহিক ত্যাগের ইতিহাসের অংশ। বাঙালি জাতির ইতিহাস বিনির্মাণে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনকে যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সোপান বলা হয়, তাহলে বলতে হয় যে ১৯৫০ সালের খাপড়া ওয়ার্ডে আত্মবলিদানকারী রাজবন্দীরা ছিলেন ভাষা আন্দোলনের পরোক্ষ প্রেরণা।

সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণ আনোয়ারের বয়স তো আর বাড়বে না। থেকে যাবেন সদাতরুণ। অনাগত প্রজন্মের কাছে হয়ে থাকবেন চির অনুসরণীয়।

ইসমাইল সাদী: গবেষক