সন্ত যখন যোদ্ধা

জোন অব আর্ক
জোন অব আর্ক

জোনের গল্পে সব আছে—প্রমোদমত্ত অপদার্থ রাজপুত্র, কাপুরুষ রাজা, শতবর্ষের যুদ্ধবিগ্রহ, ষোড়শীর গৃহত্যাগ, যুদ্ধক্ষেত্রেও কাউকে আঘাত না করা বীরনারী, ৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে লাফ দিয়ে পলায়নের চেষ্টা, ন্যায়বিচারের ভান, শয়তানের দূত আখ্যা, মরদেহ পুড়ে কয়লা হওয়ার পরও তা তুলে এনে পুনরায় ভস্মীভূত করা, জীবদ্দশায় ধর্মদ্রোহিতার অপবাদ এবং মরণোত্তর সন্তের মর্যাদা—ট্র্যাজেডিতে যা যা উপাদান থাকা সম্ভব। মানুষের উত্থানের ইতিহাস, বিশ্বাসে-সাহসে ভর করে অসম্ভবকে জয় করার ইতিহাস, বয়স-লিঙ্গ-সামাজিক পঙ্‌ক্তি ইত্যাদি সব রকম বাধাকে ডিঙিয়ে মেধার বলে কিছু করার ইতিহাসে ছায়ার মতো পায়ে-পায়ে হাঁটে ট্র্যাজেডি।
বাংলা ভাষাভাষী ছেলেমেয়েদের কাছে জোন অব আর্ককে প্রাথমিকভাবে দীর্ঘদিন পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সুকুমার রায়, উইকিপিডিয়াঅবতীর্ণ হওয়ার বহুকাল আগে থেকে তাঁর লিখিত জীবনী ‘জোয়ান’ পড়ে ছোট বাচ্চারা উদ্বুদ্ধ হয়েছে, দেশপ্রেমের শক্তিকে চিনেছে এবং স্বাজাত্যবোধের চরম শাস্তি দেখে চোখের জল ফেলেছে। সেই যে ডমরেমি গাঁয়ের চাষাদের ১৩ বছরের মেয়ে গির্জার বাঁধাই চত্বরে ওকগাছের তলায় আর দৈব-ক্ষমতাধর কূপের আশপাশে ঘুরত, সেইন্ট মাইকেলের মূর্তির দরদভরা চাহনি দেখত, আশ্চর্য পুলকে সেই নিরক্ষর মেয়েটির গায়ে কদম ফুটত আর চোখ দিয়ে দরদর করে জল পড়ত। সেইন্ট মার্গারেট, সেইন্ট ক্যাথারিনকে কে যেন আলোর পোশাক পরে অতিক্রম করে যেত, কে যেন ফিসফিস করে ডাকত, ‘দুঃখিনী জোয়ান! ঈশ্বরের প্রিয় কন্যা জোয়ান! তুমি ওঠো। তোমার দেশকে বাঁচাও।’ এই অ্যাপিফেনির মুহূর্তগুলো এঁকে সুকুমার রায় চিনিয়েছিলেন আসল জোন অব আর্ককে।
দেশপ্রেম ডাক পাঠিয়েছিল জোনের কিশোর হৃদয়ে, তাঁকে জুগিয়েছিল সাহস। ষষ্ঠ চালর্স ছিলেন উন্মাদ, সে সুযোগে ডিউক অব অরলিয়েন্স আর ডিউক অব বার্গান্ডির ভেতরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই, হত্যা আর গুপ্তহত্যা। প্যারিস ও রুয়েন ইংরেজদের কবলে, রিমস দখল করে রেখেছে বার্গান্ডিয়ানরা, যে রিমস ক্যাথেড্রালে প্রায় এক হাজার বছর ধরে ফরাসি রাজাদের অভিষেক ঘটে। জোনের দেশের জনশক্তি ধসে গেছে প্লেগে আর ইংরেজ সৈন্যদের জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে, মাঠে ফসল নেই, ব্যবসায় উদ্যম নেই, জনমনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হেরে যাওয়ার হতাশা। গ্রাম্য পাদ্রি আর চাষাভুষাদের বিদ্রূপ তুচ্ছ করে ছদ্মবেশে সে এসে পৌঁছেছিল রাজার সভায়, যে মানুষদের সহায়তায় সে এসে পৌঁছেছিল সেখানে। তাদের সে বলত, ‘আমায় রাজার পাশে দাঁড়াতেই হবে, এ রাজ্যের আমি ছাড়া কেউ সহায়ক নেই, এই-ই ঈশ্বরের ইচ্ছা।’

১০ মে ১৪২৯–এ অাঁকা জোন অব আর্ক, তখনো তিনি জীবিত
১০ মে ১৪২৯–এ অাঁকা জোন অব আর্ক, তখনো তিনি জীবিত

শুরুতে তারাও বিদ্রূপ করেছিল জোনকে। তবে যখন জোন অরলিয়েন্সের কাছের একটি যুদ্ধের বিষয়ে দূত খবর নিয়ে আসার আগেই নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তখন তারা তাঁকে ঈশ্বরপ্রেরিত হিসেবেই ধরে নেয়। রাজসভায় এসে জোন রাজাকে বলেছিলেন, ‘আমি চাষার মেয়ে, ভগবান আমায় পাঠিয়েছেন এ কথা বলার জন্য যে তুমি রিমস জয় করে আবার রাজা হবে।’ রাজদরবারেও হেসে গড়িয়ে পড়েছিলেন সভাসদেরা। কেবল রাজা দেখেছিলেন জোনের শান্ত-প্রত্যয়ী অত্যুজ্জ্বল মুখ। লোকে বলত, এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল ফ্রান্সকে নিয়ে যে এক কুমারী কন্যা ফরাসি দেশকে বাঁচাবেন এবং অসম্ভব জয় এনে দেবেন। অ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ যুদ্ধটিকে জোন অব আর্ক একটি ধর্মযুদ্ধের আখ্যা দেন এবং পরিবর্তিত করেন। জেরুজালেমে মামলুকদের আগ্রাসন রোধে তাঁর ধর্মযুদ্ধে যাওয়ার বাসনাও ক্রমপ্রকাশিত হয়।
অরলিয়েন্সের অবরোধ জয় করাটা ছিল জোনের প্রথম চ্যালেঞ্জ, অবরুদ্ধ অরলিয়েন্সে খুব বেশি ইংরেজ সেনা মোতায়েন ছিল না। অরলিয়েন্সবাসীও আত্মসমর্পণ করছিল না। ফলে একরকমের অচলাবস্থা দেখা দেয় সেখানে। জোন অব আর্ক এ অবস্থায় প্রচণ্ড আঘাত হানেন, জয় হয় ফরাসিদের। দ্রুত কিছু যুদ্ধজয় করে, হৃত রাজমুকুট পুনরুদ্ধার করে তিনি পরিয়ে দিয়েছিলেন রাজার মাথায়, বিনিময়ে নিজের গ্রামের খাজনা মওকুফ করা ছাড়া আর কিছু চাননি। অবশ্যম্ভাবীভাবে তাঁকে ইংরেজদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল নিজ দলের লোকেরাই, ইংরেজদের প্রতি নমনীয় বিশপের আদালতে বসেছিল তার ছদ্ম বিচারসভা। বিচারে রায় হলো জোনকে পুড়িয়ে মারার। সে রায় কার্যকরও করা হলো। আলোর পোশাক পরা সন্তরা কেউ তাঁকে বাঁচাতে এল না; তাঁর মর্মভেদী ডাক (সেইন্ট মাইকেল! আজ তুমি কোথায়?) কেউ শুনল না; তাঁর পক্ষে তাঁর দেশের রাজা, সেনাপতি, যোদ্ধা ইত্যাদি সোনালি পোশাক পরা নীতিভ্রষ্টরা কেউই একটি শব্দ করল না।

ফ্রান্সের যে বাড়িতে জন্মেছিলেন জোন অব আর্ক
ফ্রান্সের যে বাড়িতে জন্মেছিলেন জোন অব আর্ক

মিথ্যা দোষারোপ ও প্রহসনমূলক বিচারের শেষে মাত্র ১৯ বছর বয়সী জোন অব আর্ককে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মারা হয়। মৃত্যুর ২৫ বছর পর তৎকালীন পোপ তাঁকে নিরপরাধ ঘোষণা করেন, শহীদের মর্যাদা দেন এবং এর সাড়ে তিন শ বছর পর তিনি ফ্রান্সের জাতীয় প্রতীকে পরিণত হন। তিনি ফরাসি দেশের অভিভাবক-সন্তের মর্যাদা পান। সেই সেইন্ট মাইকেলের পাশাপাশি, একদিন মগ্নচৈতন্যে যাঁর করুণ আহ্বান শুনে তিনি বের হয়েছিলেন যুদ্ধজয়ের পথে, দেশপ্রেমের বিপৎসংকুল পথে।
জোন অব আর্কের গল্প আসলে পাড়াগাঁয়ের নির্ভীক সাহস আর নির্বিকল্প দেশপ্রেমের শক্তির সঙ্গে রক্ষণশীল পদমর্যাদার মদমত্ত শাসকগোষ্ঠীর চিরন্তন দ্বন্দ্ব। নির্মল সাহসিকতার সঙ্গে স্বার্থান্বেষী মন্ত্রণার দ্বন্দ্ব। নিপীড়িত ব্যক্তি বনাম নিপীড়ক রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই যে ইংরেজদের ফরাসি দেশ অধিগ্রহণকে জোন দেখেছেন ‘অবৈধ’ হিসেবে, ইংরেজদের প্রেরিত পত্রে তিনি লিখেছিলেন, ইংরেজদের যেমন একটি দেশ আছে, ফরাসিদেরও তেমনই আছে একটি দেশ। ঈশ্বরের দোহাই, ইংরেজরা যেন ফরাসিদের দেশখানা ছেড়ে আপন ভূখণ্ডে ফেরত যায়, যাওয়ার আগে ক্ষতিপূরণ দিয়ে যায় এবং অধিকৃত নগরীগুলোর চাবি হস্তান্তর করে যায়। গলিয়াথের সামনে অসম সাহসে দাঁড়ানো এক দাউদের বাণী যেন আলেকজান্ডারের কাছে পুরুরাজের ‘রাজকীয় সমতা’র দাবি।

স্বল্প সময়ে যে কটি যুদ্ধে জোন অংশ নিয়েছিলেন, সেগুলোতে যুদ্ধের পরিকল্পনা পরিষদগুলো তাঁকে অনেক কিছুতেই সঙ্গে রাখেনি। অথচ জোন সামনে আছেন। পাশে আছেন জেনেই সৈন্যরা অদ্ভুতভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল এবং অভূতপূর্ব জয় এসেছিল। জোন তাঁর এই বিচিত্র ক্ষমতা ও উপস্থিতির কারণে একইভাবে নজরে পড়েছিলেন তাঁর শত্রুরও। নইলে অন্ধকার মধ্যযুগে একটি নিরক্ষর, যুদ্ধের কলাকৌশলজ্ঞানহীন নারীকে (যে কিনা যুদ্ধক্ষেত্রেও কাউকে তরবারির আঘাত করেন না) এমন কী ভয়? জোনের বিচারেরও মূল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ রাজমুকুট এবং সেনাদের আরও অসম্মান থেকে রক্ষাকল্পে একটি উদ্ভট যুদ্ধবন্দীকে মৃত্যুদণ্ডদান। ন্যায় এই বিচারকার্যের লক্ষ্য ছিল না।

আসলে জোন তাঁর বয়স ও অনভিজ্ঞতার নির্মলতাকেই তাঁর শক্তিতে পরিণত করতে পেরেছিলেন। অসম্ভব নিষ্পাপ ঈশ্বরপ্রেরিত একটি ধূমকেতুর আলোকপুচ্ছের মতো একটি বিশ্বাসের অভিঘাতের মতো তিনি আঘাত হেনেছিলেন। এত আলো আর এত নির্ভান স্বচ্ছতাকে কূটকৌশল ছাড়া পরাস্ত করা যেত না, কোনো সম্মুখসমরে একে মেরে ফেলেও ধরাশায়ী করা যেত না। চেতনার তো মৃত্যু নেই, চেতনাকে যে ধারণ করে তারও মৃত্যু নেই। তাই ইংরেজশক্তি আঘাত করেছিল তাঁর জ্যোর্তিময় দিকটিতেই, শুধু নশ্বর জোনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তাঁর জ্যোতির্ময়তাকে মুছে ফেলা যাবে না। তাঁর লেগ্যাসি মুছতে কালি লাগবে, অনেক কালি।

পুরুষের পোশাক কেন পরতেন তিনি? কেন এই ধর্মবিশ্বাস-পরিপন্থী ব্যবহার? (ব্যবহারিক সুবিধার খাতিরে ও ধর্ষিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে এই বেশ ধারণ করতেন তিনি, সেটি কি কারও অজানা ছিল?) তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি ঈশ্বরপ্রেরিত কি না, তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘যদি আমি দৈবানুগ্রহ না পেয়ে থাকি, তবে ঈশ্বর আমায় অনুগ্রহ করুন; আর যদি পেয়ে থাকি, তবে ঈশ্বর আমায় সেখানেই ঠাঁই দিন!’ একদিকে ব্লাসফেমির দায়, আরেক দিকে মিথ্যা-ভাষণের—কোনটি নেবেন তিনি? (ঐতিহাসিকেরা বলেন, ১৯ বছরের কচি মেয়েটি ভয় পেয়েছিল জ্যান্ত পুড়ে মরার, ভয়ে বাধ্য হয়েছিল স্বীকার করতে যে ঈশ্বরের আদেশ আসলে সে শুনতে পায়নি, যা বলেছে মিথ্যে বলেছে। তার দু-এক দিন পরই জোন স্বীকারোক্তিটি প্রত্যাহার করে নেন। বিশ্বাস ভূলুণ্ঠিত হওয়ার চেয়ে মৃত্যুই ছিল তাঁর অভীষ্ট।)

যা ঈশ্বরের মনে করা যায়, তা শয়তানেরও তো হতে পারে। সেটা বিচিত্র নয়, অশ্রুতপূর্বও নয়! অতএব শয়তানের চিহ্ন হিসেবে পুড়িয়ে মারা হলো তাঁকে, গনগনে আগুনে ডাইনিদের মতো করে। সঙ্গে এমনকি ছুড়ে দেওয়া হলো দু-চারটে কালো বিড়াল। জোনের দেহাবশেষ ছাই খুঁড়ে জোগাড় করা হলো এবং সেটুকু আরও দুইবার পুড়িয়ে সেই ভস্ম নিক্ষেপ করা হলো সিন নদীতে। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেছিলেন, পুড়ে মরার সময় জোন প্রাণভিক্ষা চাননি, শুধু একমনে যিশুকে ডেকে গেছেন। এমন একজন ধর্মপ্রাণ রোমান ক্যাথলিককে ক্যাথলিক চার্চই পুড়িয়ে মারার আদেশ দিয়েছিল, সেই একই চার্চ ৪৯০ বছর পর জোনকে সন্ত ঘোষণা দিয়েছে।

জোন চাষাদের ঘরের স্ত্রী নন, মা নন, ধাত্রেয়িকা বা সন্ন্যাসিনী নন। তাঁর পরিচয় তিনি সন্ত, তিনি নাইট, তিনি যোদ্ধা, তিনি ডাকিনী। কেমন করে কোনো গণ্ডমূর্খ এমন চিঠি লিখতে পারে, এমন করে বিচারসভায় বক্তব্য দিতে পারে, এমন করে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে মোড় ঘুরিয়ে মানুষের মুক্তির গণ-আন্দোলনে পরিণত করার ক্যারিশমা ধারণ করতে পারে? তিনি ও তাঁর সেই ১৯ বছর বয়স অবিনশ্বর সাহসিকতার প্রতীক, নির্মল নিঃসংকোচ সাহসিকতার প্রতীক। তিনি মোক্ষপ্রদায়িনী, জয়দায়িনী নারীশক্তি। যে সময়ে তাঁর উত্থান, সেই মধ্যযুগের তুঙ্গে বহিঃজগতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে, নারীশরীর একটি অসম্মানকর ও লজ্জাকর বস্তু। ব্যবসা-বাণিজ্য, সমবায়-ভূসম্পত্তি, উত্তরাধিকার, সামাজিক সংঘ, আইন-আদালত ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে নারীর স্থান সংকুচিত হতে হতে নেই হতে চলেছে।

জোন একে নারী, তা-ও আবার অজপাড়াগাঁয়ে তাঁর জন্ম, যেখানে সমাজের পুরুষ সভ্যদেরও নিজ জীবন পরিচালনার সম্যক অধিকার ছিল না। সেই চালচিত্রকে পিছে রেখে গ্রামীণ সমাজে ‘অমর কৃষাণপাড়া’ থেকে জোন উঠে এসে ফরাসি দেশ এবং সমগ্র বিশ্বের ‘রূপং দেহি জয়ং দেহি’ আরাধ্যা হয়ে উঠলেন। এটা কোন জাদুবলে সম্ভব হলো? ইতিহাসবিদেরা এখনো তা-ই নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। জোনের সেই সেইন্ট মাইকেলকে স্বচক্ষে দেখা নিয়েও নিরীক্ষা চলছে, তিনি কি এপিলেপটিক ছিলেন কিংবা স্কিৎজোফ্রেনিয়াক ইত্যাদি। আমি সামান্য মানুষ, আমি শুধু জানি বিশ্বাস সংক্রামক, সাহস সংক্রামক, সততাও সংক্রামক। এই সংক্রমণ যখন হয় তখন মানুষ তার নশ্বরতার গণ্ডিকে ভেঙে দিয়ে উপচে পড়ে, তার শক্তির সীমানা অতিক্রম করে, তখন মানুষ জয় করে।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া: কথাসাহিত্যিক