বাংলাদেশের জন্য এক মানবতাবাদী সিনেটর

আগরতলার জিবি হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ১৯৭১। ছবি: সংগৃহীত
আগরতলার জিবি হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ১৯৭১। ছবি: সংগৃহীত

কেনেডি পরিবার আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্নভাবে, সে ক্ষেত্রে সাফল্য ও দুর্ভাগ্য দুই তাদের তাড়িত করে ফিরেছে। প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি সুদর্শন তরুণ হিসেবে কেবল নয়, রাজনীতিতে নতুন হাওয়া বইয়ে দেওয়ার উদ্গাতা হিসেবেও অনেক মানুষের মন কেড়েছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন ভাই রবার্ট কেনেডিকে, বয়সে তিনি ছিলেন নবীন, চেহারায় নবীনতর। অমন এক ভারিক্কি পদে তাঁর মতো হালকা-পাতলা ব্যক্তির নিয়োগ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু রবার্ট কেনেডি নিজ গুণে সেসব মোকাবিলা করেছিলেন, বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিল তাৎপর্যবহ। জন কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে রবার্ট কেনেডি ক্রমে পাদপ্রদীপের আলোয় আরও উদ্ভাসিত হন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে একজন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনিও প্রাণ হারালেন আততায়ীর গুলিতে। কনিষ্ঠ ভাই এডওয়ার্ড কেনেডি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তবে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু তাঁকে বোধ হয় বিপর্যস্ত করেছিল, তাই তিনি ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত রাজনীতিক। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তদুপরি ১৯৬৯ সালে বান্ধবীসহ গাড়ি দুর্ঘটনা ঘিরে তাঁকে নানাভাবে নিন্দিত করার ঢেউ জেগেছিল রক্ষণশীল মার্কিন গণমাধ্যমে। এ ঘটনা এডওয়ার্ড কেনেডিকে আরও বিহ্বল করেছিল। রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন, কিন্তু সামনের কাতারে আসার আগ্রহ খুব দেখাননি। তিনি ছিলেন মার্কিন সিনেটের গৌণ এক কমিটির চেয়ারম্যান, উদ্বাস্তু সহায়তায় অর্থ বরাদ্দ-সংক্রান্ত কমিটি। এই মানুষটি গভীর এক মানবতাবোধ থেকে কীভাবে যেন জড়িয়ে পড়লেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে, এই প্রক্রিয়ায় নিজে যেমন অনেকটাই পাল্টে গেলেন, তেমনি ইতিহাস প্রভাবিত করার মতো প্রত্যয়ও প্রদর্শন করলেন, বিশেষভাবে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য রাখলেন বিপুল অবদান। বাংলাদেশ ও এডওয়ার্ড কেনেডির সম্পর্ক তাই দাবি করে বিশেষ বিবেচনা।
২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বাইরের দুনিয়ায় তাৎক্ষণিক খবরাখবর বিশেষ পৌঁছায়নি। বহিষ্কৃত সাংবাদিকেরা কিছু রিপোর্ট করেছিলেন, সীমান্ত পাড়ি দেওয়া উদ্বাস্তুরা বহন করেছিল নৃশংসতার বার্তা, আর ঢাকা থেকে মার্কিন কনসাল আর্চার ব্লাডের গোপন রিপোর্টে ফুটে উঠেছিল নৃশংসতার চিত্র। নানা সূত্র থেকে সংবাদ পেয়ে বিচলিত এডওয়ার্ড কেনেডি ১ এপ্রিল ১৯৭১ সিনেটে বাংলাদেশ-সংক্রান্ত তাঁর প্রথম বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় সভাপতি, পূর্ব পাকিস্তান ঘটনার বিপুল জটিলতা আমি অনুধাবন করি। কূটনীতিক ও মানবতাবাদীদের জন্য এ এক জটিল বিষয়। তবে আমাদের সরকার কি এই হত্যাযজ্ঞের নিন্দা করবে না? সংঘাতের শিকার হওয়া লাখো মানুষের ভাগ্যবিড়ম্বনা নিয়ে আমরা কি ভাবিত হব না? আমরা কি সহিংসতা রোধে আমাদের উত্তম সেবা দিতে চাইব না, অন্তত তেমন প্রচেষ্টা যাঁরা নেবে তাঁদের সহায়তা করব না?’
এডওয়ার্ড কেনেডি এরপর সিনেটে আরও বক্তব্য প্রদান করেছেন, বিভিন্ন শুনানির আয়োজন করেছেন এবং উদ্বাস্তু-সংক্রান্ত অগৌণ কমিটিকে বাংলাদেশবিষয়ক আলোচনার এক প্রধান ক্ষেত্র করে তুলেছিলেন। সিনেটের আঁটসাঁট নিয়মনীতির মধ্যে হয়তো আলোচনার বিষয় ধার্য হতো বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের সহায়তায় অর্থ বরাদ্দ; কিন্তু আলোচনায় উঠে আসত আরও বড় প্রসঙ্গ, কেন এই উদ্বাস্তু সমস্যা, নৃশংসতার ধরন ও প্রকৃতি, এর রাজনীতি ইত্যাদি। ফলে সিনেটের এই কমিটির সভা সাংবাদিকদের জন্যও হয়ে ওঠে আকর্ষণের ক্ষেত্র এবং বাইরের দুনিয়ায় প্রচারিত হয়ে তা জনমত প্রভাবিত করে ব্যাপকভাবে।
১১ মে ১৯৭১ বিদেশ নীতি-সংক্রান্ত কমিটির শুনানিতে হাজির হয়ে এডওয়ার্ড কেনেডি আবেগপূর্ণ আবেদন জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপেক্ষা করার উপায় নেই। মানবের জীবন, অসহায় জীবন, হাজারো, লাখো জীবন আজ হুমকির সম্মুখীন, এই বিনাশ গোটা মানবতার বিবেককে দংশন করবে, যদি জীবন বাঁচাতে আমরা পদক্ষেপ না নিই। এরপর আগস্ট মাসে সিনেট কমিটির চেয়ারম্যন হিসেবে ভারতে উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনে আসেন এডওয়ার্ড কেনেডি। ঘুরেছিলেন কলকাতার কাছের লবণ হ্রদের শিবির, যশোর রোড ধরে গিয়েছিলেন বনগাঁ, আরও ঘুরেছেন জলপাইগুড়ি ও আগরতলায়। মানুষের দুর্দশা নিজ চোখে দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন ফিরে ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শরণার্থীশিবিরের দশা, শিশুমৃত্যু এবং বিস্ফারিত চোখ অসহায় নারী-পুরুষের যে চিত্র তিনি মেলে ধরেন, তা রাজনীতি ছাপিয়ে মানবতার নিবিড় প্রতিচ্ছবি মেলে ধরে। অন্য এক এডওয়ার্ড কেনেডি যেন গড়ে ওঠে এই সফরের মধ্য দিয়ে। ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন একজন রাষ্ট্রবিদ ও মানবিক, যেমন মেলবন্ধন খুব বেশি দেখা যায় না। সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের দশা মেলে ধরে কেনেডি বলেছিলেন:

এডওয়ার্ড কেনেডি: জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২, মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ২০০৯
এডওয়ার্ড কেনেডি: জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২, মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ২০০৯

আপনি বাচ্চাদের দেখছেন সরু হাড়ের ওপরকার চামড়া ভাঁজ হয়ে ঝুলে পড়ছে, মাথা তুলে তাকানোর ক্ষমতা পর্যন্ত তাদের নেই। আপনি দেখছেন অপুষ্টি ও শোথরোগে পা ফুলে যাওয়া শিশুদের। ভিটামিনের অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা শিশুদের আপনি দেখছেন, সারা শরীরে ঘা হয়ে যাওয়া নিরাময়-অযোগ্য শিশুদের আপনি দেখছেন। তাদের বাবা-মায়ের চোখে জেঁকে বসেছে সন্তানদের আর কখনো সুস্থ দেখতে না-পাওয়ার হতাশা। সবচেয়ে যা হৃদয়বিদারক, আপনি দেখছেন শিশুদের লাশ, গত রাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনের স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না কেনেডি, তিনি বলেছিলেন:
কোমর থেকে নিম্নাংশ সম্পূর্ণ বিবশ হয়ে যাওয়া শিশু যে আর কখনো হাঁটতে পারবে না, তার চাহনি মন থেকে মুছে যাওয়া মুশকিল। অথবা সেই শিশু, ছোট্ট তাঁবুর ভেতরে পাতা মাদুরে বসে যে কাঁপছিল, চোখের সামনে বাবা-মা, ভাইবোনের নৃশংস হত্যার ঘটনা যাকে শিহরিত করে চলছে। অথবা আমাদের আসার অল্প কিছুক্ষণ আগে মরে যাওয়া ছোট্ট ভাইয়ের শরীর চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে যে বালিকা, তার উদ্বেগ কী করে ভুলি। এক শরণার্থীশিবিরের পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাঁর সবচেয়ে বড় প্রয়োজন কী? তিনি বলেছিলেন, লাশ পোড়ানোর চুল্লি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এডওয়ার্ড কেনেডি আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘পূর্ব বাংলার জনগণের ট্র্যাজেডি কেবল পাকিস্তানের ট্র্যাজেডি নয়, এটা কেবল ভারতের ট্র্যাজেডি নয়, এটা হচ্ছে গোটা বিশ্ব সমাজের জন্য ট্র্যাজেডি। আর এই সংকট মোচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দায়িত্ব সবার।’
এটা লক্ষণীয়, ভারত থেকে ফিরে তাঁর সব বিবৃতি, ভাষণ, সাক্ষাৎকারে পূর্ব পাকিস্তানের স্থলে পূর্ববাংলা পরিচিতি ব্যবহার করতে শুরু করেন এডওয়ার্ড কেনেডি। আর কখনো এর থেকে বিচ্যুত হননি। মনে হতে পারে, এ যেন ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানে তাঁর এক উপায়।
এডওয়ার্ড কেনেডি ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সচকিত হয়ে পড়েছিল মার্কিন প্রশাসন, বিশেষভাবে প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার। এর আগে কেনেডির বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে তাঁরা ধারণা করেছিলেন, প্রশাসনের ভেতর থেকে কেউ কেনেডিকে গোপন খবরাখবর দিচ্ছেন। বিশেষভাবে আর্চার ব্লাড পাঠানো বিভিন্ন গোপন বার্তা যে কেনেডিও পাঠ করেছিলেন, তাঁর বক্তৃতা-বিবৃতিতে এর প্রকাশ খুঁজে পাচ্ছিলেন নিক্সন-কিসিঞ্জার। ভারত সফরে গেলে কেউ যেন কেনেডিকে সাহায্য না করে, সেটা নিশ্চিত করতে হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করেন নিক্সন। গোপন নথিপত্র ঘেঁটে লেখা গ্যারি বাসের বইয়ে দেখা যায়, কিসিঞ্জার বলছেন, কেনেডি গন্ডগোল পাকাবে। নিক্সন রেগে গিয়ে বলেন, ‘বিদেশ মন্ত্রণালয়কে আমি জানিয়ে দিতে চাই দপ্তরের কোনো হারামির বাচ্চা যেন তাঁকে কোনো সাহায্য না করে, করলে তাঁর চাকরি হারাতে হবে।’ নিক্সন-কিসিঞ্জার যে নীতি নিয়ে চলছিলেন, তা সবচেয়ে বড় হুমকির মুখোমুখি হয়েছিল এডওয়ার্ড কেনেডির কাছ থেকে। তাঁদের অসংযত আচরণের বিপরীতে চিন্তাশীল ও আদর্শবাদী অবস্থান নিয়েছিলেন এডওয়ার্ড কেনেডি।
এরই প্রকাশ আমরা দেখি ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সিনেটের অধিবেশনে এডওয়ার্ড কেনেডির দীর্ঘ ভাষণে, যেখানে তিনি বাংলাদেশ আন্দোলনের পূর্বাপর ইতিহাস তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন নীতির। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫৫ হাজার মার্কিন জীবন খুইয়েছি, কারণ আমরা চেয়েছি দস্তিতণ ভিয়েতনামের মানুষ তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরা নির্ধারণ করতে পারুক। আমরা জানি পূর্ব বাংলার মানুষ নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল। সামরিক আইনের আওতায় অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন, শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়ী হয়। এটা ছিল গণতান্ত্রিকভাবে আয়োজিত নির্বাচন, যা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ম্যান্ডেট তাঁকে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কী ঘটল। তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হলো, কেননা তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। এখন নিজেদের আমরা তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছি, যারা তাঁকে বন্দী করেছে। এমনই এক অবাধ স্বাধীন নির্বাচনের জন্য ৫৫ হাজার আমেরিকান মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে ভিয়েতনামে। আর আমরা সেই শাসকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, যারা নির্বাচিত নেতাকে আটক করেছে কারাগারে।’

>‘পূর্ব বাংলার জনগণের ট্র্যাজেডি কেবল পাকিস্তানের ট্র্যাজেডি নয়, এটা কেবল ভারতের ট্র্যাজেডি নয়, এটা হচ্ছে গোটা বিশ্ব সমাজের জন্য ট্র্যাজেডি। আর এই সংকট মোচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দায়িত্ব সবার।’
.
.

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির জন্য ছিল বিশেষ আনন্দবহ। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের জন্য সিনেটর স্যাক্সবি উত্থাপিত প্রস্তাবের সমর্থক হলেন এডওয়ার্ড কেনেডি। বাংলাদেশের বিজয়ে তিনি দেখেছিলেন ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। আনন্দ ও আবেগের মিশেলে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশকে আমেরিকার অনেক আগেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি, প্রশাসন যেভাবে উপমহাদেশের সংকট মোকাবিলা করেছে, তা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বিদেশনীতির সবচেয়ে বড় ভুল। আমি মনে করি, সময় এসেছে আমাদের নীতি পরিবর্তন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের, যে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক আইনের যেকোনো বিচারে তাদের প্রাপ্য। তদুপরি আমি মনে করি এই স্বীকৃতি তাদের প্রাপ্য; কারণ বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে ও মনেপ্রাণে এই ইঙ্গিত দিয়েছে এবং প্রায় সর্বজনীনভাবে তাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এই অনুভূতি ব্যক্ত করেছে যে তাদের হতে হবে স্বাধীন।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে বহু মানুষের বহু ধরনের অবদান। সে ক্ষেত্রে এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব এডওয়ার্ড কেনেডি। একাত্তরে তাঁর অসাধারণ ভূমিকার আরও গভীরতর বিশ্লেষণ এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।

মফিদুল হক: প্রাবন্ধিক