তাজা ফুলে সুন্দর অন্দর

বসন্তে তাজা ফুলের ব্যবহার ঘরের সাজে আনবে নান্দনিকতা। মডেল: লাবণ্য, ছবি: সুমন ইউসুফ
বসন্তে তাজা ফুলের ব্যবহার ঘরের সাজে আনবে নান্দনিকতা। মডেল: লাবণ্য, ছবি: সুমন ইউসুফ

‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে,’
বসন্তে তো ফুলে ফুলে ছাওয়া বাগান। ফুলের বাজারেও তাজা রঙিন ফুল। বাজারের ফুল চলে আসতে পারে আপনার অন্দরেও। ফুলের গন্ধ মাতিয়ে দেবে অন্দরের পরিসর।

এই সময়ের ফুল
ঢাকার শাহবাগ ও হাইকোর্ট মোড়ের ফুলের দোকানগুলোতে এখন যেন বসেছে বসন্তের ফুলের মেলা। শাহবাগের ফ্লাওয়ার মিউজিয়ামের ফুল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, বছরের এই সময়টাকে বলা যায় ফুলের মৌসুম। এখন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, ক্যামেলিয়া, জারবারা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, পিস লিলি, ক্যালেনডুলা, জিপসি, অস্টারসহ বিচিত্র সব নাম, রং আর গন্ধের ফুল।

অন্দরে ফুল
ফুল তার গন্ধ, সৌন্দর্য আর বাহারে আপনার থাকার ঘরকে করে তুলতে পারে মোহনীয়। ফুলে সাজানো ঘরটি আপনাকে দিতে পারে নােটারের বনলতা সেনের মতো দুই দণ্ড প্রশান্তি। ঘরের প্রবেশপথ, শোবার ঘর, বসার ঘর, পড়ার টেবিল, বই রাখার তাক, খাওয়ার টেবিল, টিভির পাশে এমনকি বেসিনের পাশে বা গোসলখানায়ও রাখা যায় মানানসই একগুচ্ছ ফুল।

প্রবেশপথ
শহরে ফ্ল্যাটবাড়িই বেশি। একই তলায় ফ্ল্যাট থাকতে পারে বেশ কটি। তাই ঢোকার দরজায় বা দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা মাটির বা কাঠের ফুলদানিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস রাখলে ভালো দেখায়। এমনটাই বললেন অন্দরসজ্জাবিদ গুলসান নাসরীন চৌধুরী। দরজার এক পাশে মাঝারি মাপের ফুলদানিতে লম্বা ডাঁটার ফুলও রাখা যেতে পারে।

বসার ঘর
বসার ঘরে সোফার সঙ্গে থাকা টি-টেবিলের মাঝখানে মাঝারি বা ছোট চ্যাপ্টা ফুলদানিতে ফুল সাজানো হয়। এ ক্ষেত্রে চ্যাপ্টা ফুলদানিতে ফুল ও পাতা দিয়ে সাজানো যায় টি-টেবিলটি।
বসার ঘরের কোনায় লম্বা ফুলদানিতে রজনীগন্ধা বা গ্লাডিওলাস রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বাসার অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে মিল রেখে ফুলদানিটি বাছাই করতে হবে বলে মনে করেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী। দেশি উপাদান যেমন কাঠ, বাঁশ বা বেতের তৈরি আসবাবের ঘরে টেরাকোটা কিংবা সিরামিকের লম্বা গোছের ফুলদানি মানানসই লাগবে। তবে বেশি জমকালো আসবাবের ঘরে ক্রিস্টাল বা কাচের ফুলদানি বেছে নিতে হবে।

খাওয়ার ঘর
খাওয়ার ঘরেও দুটি জায়গায় ফুলের সজ্জা ভালো লাগে। এক. খাওয়ার টেবিল। দুই. ঘরের যেকোনো একটি কোনা। টেবিলের ক্ষেত্রে ছোট-চ্যাপ্টা ফুলদানি ফুল ও পাতা দিয়ে হালকা করে সাজিয়ে টেবিলের যেকোনো একটি কোনায় রাখা যেতে পারে। তবে খাওয়ার টেবিলের মাঝখানে ফুলদানি না রাখাই ভালো। খাওয়ার ঘরের কোনায় বসার ঘরের মতোই লম্বা ফুলদানি ফুল দিয়ে সাজালে ভালো দেখাবে।

শোবার ঘর
শোবার ঘরের যেকোনো একটি কোনা ফুল দিয়ে সাজানো যেতে পারে। ঘরের কোনাটি যদি ফাঁকা হয়, তাহলে পরপর তিনটি মাপের ফুলদানিতে ফুল সাজানো যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমটি সাদা লম্বা ডাঁটার ফুল, দ্বিতীয়টি রঙিন গোলাপ আর শেষটি শুধু পাতা দিয়ে সাজালে শোবার ঘরটি মনোরম হয়ে উঠবে।

গোসলখানা
গোসলখানায়ও ফুলের একটি ছোট তোড়া থাকতে পারে। গোসলখানার জন্য সুগন্ধি ও সুন্দর রঙের বেছে নিলে সেটি স্নিগ্ধ একটা আবহাওয়া তৈরি করবে।