পারিবারিক সমর্থন পেলে বিশ্বজয় সম্ভব

ছবি: লেখকের সৌজন্যে
ছবি: লেখকের সৌজন্যে

তখন হাতে গোনা তিন-চারটি পারলার ছিল—মে ফেয়ার, হংকং পারলার, লিভিং ডল। কাজিনদের সঙ্গে পারলারগুলোতে প্রায়ই যাওয়া হতো। মে ফেয়ার তখন ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডে। যখন ওখানে যেতাম, ঢুকেই হেয়ার ড্রায়ারের শব্দ, চুল কাটা কাঁচির শব্দ, হেয়ার স্প্রের গন্ধ—সবকিছুই ভালো লাগত। তাদের কাজগুলো মন দিয়ে দেখতাম। তখনো কল্পনা করিনি, ভবিষ্যতে এ পেশা বেছে নেব। এমনকি যখন এইচএসসি পরীক্ষা শেষে জেরিনা আজগরের লিভিং ডল পারলারে সৌন্দর্যচর্চার কোর্স করলাম, তখনো ভাবিনি এটি আমার পেশা হবে। তখন শিখেছিলাম পরিবারের মানুষদের সাজাব, নিজে সাজব বলে। তবে কোর্সটি করার জন্য পরিবারকে রাজি করানো সহজ ছিল না। কেননা, এইচএসসি পরীক্ষার পরের ফাঁকা সময়টাতে সবাই শর্টহ্যান্ড, টাইপ, কম্পিউটার কোর্স, সেক্রেটারিয়েল কোর্স, ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সসহ ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা নিত, পরবর্তী সময়ে পড়াশোনায় কাজে লাগবে এমন ভাবনা থেকেই। সেখানে আমিই একমাত্র, যে অনেক কষ্টে মাকে রাজি করিয়েছিলাম বিউটিফিকেশনের ওপর কোর্স করার জন্য।
এখনো মনে আছে, বারো শ টাকা লেগেছিল এই কোর্স করতে। ট্রেনিংটা করলাম, কিন্তু কাজ করা হয়নি। পরে ইডেন মহিলা কলেজে অনার্সে ভর্তি হলাম। এর তিন-চার মাস পর মনে হলো, এটি শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। তখন দুই বছরের পাস কোর্সে চলে যাই। কারণ, স্নাতক সম্পন্ন করে তাড়াতাড়ি কিছু একটা করার তাগিদ ছিল।
বিয়ের পর মাস্টার্সে ভর্তি হলাম। তত দিনে বুটিক নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। মিডিয়ার অনেকেই আমার তৈরি কাপড় পরতেন। সে সময় নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, এই ডিজাইনটাই আমি সম্ভবত পারব। ওখান থেকেই হয়তো নিজে কিছু করার ভাবনাটা মাথায় এসেছিল। এর বছর দুয়েক পরে বিউটিফিকেশন নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তত দিনে ঢাকায় গীতি’স, লি পারলার গড়ে উঠল। কাজ শুরুর আগে কলকাতায় গেলাম ট্রেনিংয়ের জন্য। তারপর সীমিত পরিসরে শুরু করলাম গ্ল্যামার বিউটি পারলার।
আমি প্রথম কাজ শুরু করি আমাদের কলাবাগানের বাসায়। ছোট একটি কক্ষে। নয়জন কর্মী নিয়ে। এটা ১৯৯০ সালের কথা। পারলার শুরুর পর দেশের বাইরে থেকে আরও কিছু ট্রেনিং করে নিজের ওপর আস্থাটা বাড়িয়ে নিলাম। এ সময় আমার বুটিক ও পারলার দুটোই বেশ চলছিল। এরপর ধীরে ধীরে গ্রাহক বাড়তে শুরু করল। তখন আরও পেশাদারির সঙ্গে, কিছুটা বর্ধিত পরিসরে ও গুছিয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করলাম। সবার সহজ যাতায়াতের জন্য মূল সড়কের পাশে একটি ভালো জায়গা খুঁজছিলাম। সমস্যা ছিল, তখন পারলার সম্পর্কে সমাজে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব ছিল। পারলার করব শুনলেই কেউ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাজি হচ্ছিল না।
এভাবে বছর দেড়েক ধরে খোঁজার পর পাওয়া গেল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর (পুরোনো) রোডে একটা জায়গা, এখনকার এইচএসবিসি ব্যাংকের বিপরীতে। এই বাড়ির মালিক বললেন, ‘আমি কাজ করছি। তোমরা মেয়েরা কাজ করতে চাচ্ছ ভালো কথা, কোনো সমস্যা নেই, তোমরা কাজ করো।’ তিনি আমাদের খুবই উৎসাহের সঙ্গে জায়গাটি দিলেন। খুবই ভালো লাগছিল। ‘গ্ল্যামার’ বন্ধ করে ‘পারসোনা’ নামে নতুন আঙ্গিকে শুরু করলাম। ১৯৯৮ সালে। ১ হাজার ৭০০ বর্গফুট জায়গার ওপর, ১২ জন কর্মী নিয়ে। হেয়ারকাট, হেয়ার কেয়ার, মেকআপ, স্কিন কেয়ার, ম্যাসাজ, পেডিকিওর, ম্যানিকিওরসহ পারফেক্ট স্যালন সার্ভিসের সবকিছুই এখানে যুক্ত করলাম।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে এটা শুরু করেছিলাম। পারলারের পাশাপাশি ছোট আকারে রেখেছিলাম জিম। ফলে একই জায়গায় গ্রাহকেরা পরিপূর্ণ সৌন্দর্যসেবা পেতে শুরু করলেন। তাই এখানেও গ্রাহকসংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি হতে শুরু করল।
বছর খানেক পরে দেখলাম, আমার ক্লায়েন্ট এতই বেড়ে গেছে যে এ জায়গাতেও হচ্ছে না। তখন ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে, এখন যে পারসোনা আছে, সেখানে দুটি ফ্লোরে আরও বড় জায়গায় শুরু করলাম। এর মধ্যেই বিউটিফিকেশনের ওপর বেশ কয়েকটি ট্রেনিং করি, শেখার চেষ্টা করি এবং নতুন নতুন সার্ভিস ক্লায়েন্টদের উপহার দিতে শুরু করি। সব সময়ই মাথায় রেখেছি, গ্রাহককে যে সেবা দিচ্ছি, তা যেন পরিপূর্ণ হয়। কাস্টমার কেয়ার নিয়ে সচেতন ছিলাম শুরু থেকেই। এ কারণেই মনে হয়, গ্রাহকেরাও আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন।
নতুন জায়গায় এসে নিচের ফ্লোরের পুরোটাই পারলার হলো। আর ছয়তলায় হলো স্পা, জিম, ম্যাগাজিন ক্যানভাস ও পারসোনা অ্যাডামস। অবশ্য পারলার নিয়ে দুশ্চিন্তা কম ছিল না। ভাবছিলাম, এত বড় জায়গা কীভাবে পূর্ণ করব। কিন্তু দেখলাম, পুরো সময়টাতেই ফ্লোরটা ভরা থাকছে, যা আমাকে অনেক বেশি সাহসী ও উৎসাহী করল। আমি এখানে আরও অনেক মেয়ের কর্মসংস্থানের চিন্তা করলাম। নতুন নতুন মেয়েকে ট্রেইনআপ করে নিয়োগ দিলাম। তাঁরা অল্প সময়েই নিজেদের দারুণ দক্ষ করে তুললেন। যখন দেখতাম, আমরা একই সঙ্গে দুই শ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছি, গ্রাহকেরা হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন, তখন অনুপ্রাণিত হতাম। মনে হতো, আমি তো তাহলে আরও অনেককে কাজে লাগাতে পারি। আমি যা জানি, এই কাজের যেহেতু চাহিদা আছে, তাহলে কেন আরও মানুষকে শিখিয়ে কাজে লাগাচ্ছি না?
এখন আমাদের সঙ্গে তিন হাজার মেয়ে কাজ করে। এই সংখ্যাটা বাড়াতে সাহায্য করেছেন গ্রাহকেরাই। তাঁদের সমর্থনেই আমরা একের পর এক পারসোনার শাখা খুলতে সক্ষম হচ্ছি।
আমি মনে করি, সৌন্দর্য কেবল মুখশ্রীতেই সীমিত নয়, সুস্বাস্থ্য ও বডি ফিটনেস এর বড় একটি অংশ। তাই গড়ে তুললাম পারফেক্ট জিম সার্ভিস ‘পারসোনা হেলথ’। এটিও আন্তর্জাতিক মানের। অত্যাধুনিক ইক্যুইপমেন্টসহ সব ধরনের সুবিধা এখানে রয়েছে। যাঁরা এখানে আসেন, তাঁদের সবাই খুশি। পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর এই জিমনেসিয়ামে আমরা সব সময় ১০ জন সুদক্ষ প্রশিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করছি।

এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পারসোনাকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এমনকি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে ২০১০ সালে শ্যানোন মারফি ‘করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক ওয়ার্কিং পেপারে পারসোনার বেড়ে ওঠার কথা উল্লেখ করেন।

মেয়েদের সৌন্দর্যসেবা নিয়ে শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে ছেলেদের সেকশন শুরু করি। এটাও সবার অনুরোধে। আমরা মেয়েদের যখন নানা সেবা দিতে শুরু করলাম, তখন ছেলেরা বলতে শুরু করলেন, মেয়েদের জন্য এত কিছু আছে, ছেলেদের জন্য নেই কেন? তত দিনে আমারও মনে হয়েছে, ছেলেরা অনেক ফ্যাশন-সচেতন—হেয়ার কালার, হেয়ার কার্ল, ট্রিম, ফেসিয়াল, পেডিকিওর, ম্যানিকিওর, হেয়ার স্ট্রেইট করছে। ফলে আমরা ছেলেদের জন্য আলাদা সেবা চালু করলাম। আমরা যেটাই করেছি বা করছি, নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করছি, যেন কোথাও কোনো ত্রুটি বা গ্যাপ না থাকে।
সৌন্দর্যচর্চার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছি ‘পারসোনা ইনস্টিটিউট অব বিউটি অ্যান্ড লাইফস্টাইল’। এখানে আমরা শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। দেশের বাইরে যত ট্রেনিং করেছি, যেসব স্কুলে গিয়েছি, সেগুলো মাথায় রেখে এটি তৈরি করেছি। কারিকুলামেও তার ছাপ রয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য অনেক প্রবাসী শিক্ষার্থী আসেন গ্রীষ্মের ছুটিতে। তাঁরা নতুন নতুন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের বাইরে গিয়ে সেগুলো সার্ভ করছেন।
অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের নিয়ে কাজ করছি অনেক দিন হলো। অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো সহায়ক তহবিল-এর­­­­­­­ সদস্য হিসেবে আমি তাঁদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশ নিতে বহুবার ঢাকার বাইরে গিয়েছি, সেমিনারে অংশ নিয়েছি। পারসোনায় আমরা অনেক অ্যাসিডদগ্ধ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাঁদের অনেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, অনেকে বিভিন্ন জায়গায় নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। হতাশ জীবন থেকে ফিরে আশার প্রেরণা পেয়েছেন। একইভাবে আমরা বৃহন্নলাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
নিয়মিত সৌন্দর্যসেবার পাশাপাশি পারসোনার মেয়েরা বিভিন্ন ফ্যাশন শো, রিয়েলিটি শোতে সৌন্দর্যসেবা দিচ্ছেন। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’, ‘মেরিল-প্রথম আলো সম্মাননা’, ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ আইডল’সহ দেশের বড় গ্ল্যামার ইভেন্টগুলোতে পারসোনা সৌন্দর্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে। ২০১০ সালে স্কয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করেছিলাম স্নিগ্ধ নারী অন্বেষণের অনুষ্ঠান ‘মেরিল স্প্ল্যাশ অ্যান্ড পারসোনা ইনস্পায়ারিং ফ্রেশনেস’।
সারদা পুলিশ একাডেমি একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সেখানেও ২০০৯ সালে আমার প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিরল অভিজ্ঞতা আছে। সেখানে পুলিশ অফিসারদের পারসোনাল গ্রুমিংয়ের ওপর একটা ক্লাস নেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের ক্লাস নিয়েছি। তাঁরা খুবই আন্তরিকতা ও উৎসাহের সঙ্গে ক্লাসে অংশ নিয়েছেন। আমাদের এই পেশাকে তাঁরা এত মর্যাদার সঙ্গে দেখেছেন, এটা আমার যখনই মনে হয়, অনেক সম্মানিত বোধ করি।
এখন বিউটিফিকেশনে করপোরেট লুক এসেছে। উচ্চবিত্ত ও উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরাও এই পেশায় আসছেন। ভালো কাজ করছেন তাঁরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মাস্টার্স, বিবিএ, এমবিএ করা প্রায় দুই শ জন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। বিদেশি কনসালট্যান্টও সঙ্গে আছেন। এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পারসোনাকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এমনকি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে ২০১০ সালে শ্যানোন মারফি ‘করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক ওয়ার্কিং পেপারে পারসোনার বেড়ে ওঠার কথা উল্লেখ করেন।
সম্মাননার জন্য কাজ না করলেও নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য আমাকে সম্মান করা হয়েছে দেশ-বিদেশে। ২০০৯ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গ্লোবাল কংগ্রেসে ‘উইমেন অ্যাজ অ্যান ইকোনমিক ফোর্স’ সম্মাননায় সম্মানিত করা হয়। একই বছর দেওয়া হয় ‘ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’। ২০১০ সালে ‘ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয় বিজনেস ইন উইম্যান ক্যাটাগরিতে এবং ২০১৪ সালে ‘রাঁধুনী কীর্তিমতী নারী’ সম্মাননা। এ ছাড়া দেশের ভেতরের অগণন সম্মাননা আমাদের শির নত করেছে—শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়। আমরা যে কেবল মানুষকে কাজ শেখাচ্ছি, নারীর কর্মসংস্থান হচ্ছে, মানুষকে সৌন্দর্যসেবা দিচ্ছি, তা নয়। অনেক মানুষকে উৎসাহিত করতে পেরেছি এই পেশায় আসার জন্য এবং একে আমি কর্মজীবনের বড় অর্জন মনে করি।
পরিবারের কথা যদি বলি, আমার শ্বশুর ও বাবার বাড়ি উভয় দিকের সবার সহযোগিতা এতটাই পেয়েছি যে কোনো দিন পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আমার শাশুড়ি কখনো প্রশ্ন করেননি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি কী কাজ করলাম, কোথায় থাকলাম। অথবা বিদেশে যাচ্ছি ট্রেনিংয়ের জন্য, কখনো ২০ দিন, কখনো এক মাস; তিনি এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি, উল্টো আমার বাচ্চা ও সংসার সামলেছেন। আমার স্বামীর কোনো প্রশ্ন করা তো দূরের কথা, সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। আমাদের দেশে একটা মেয়ের পরিবার থেকে এত সহযোগিতা পাওয়া সত্যি সৌভাগ্যের ব্যাপার।
আমি যে সমর্থন পরিবার থেকে পেয়েছি, তা যদি কোনো মেয়ে পান, তবে যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। বিশ্ব জয় করবেন। আমি এমন অনেক যোগ্য মেয়ের কথা জানি, যাঁরা আমাদের কাছ থেকে ট্রেনিং করেছিলেন, কিন্তু পারিবারিক সমর্থন না পাওয়ায় কিছু করতে পারেননি। এসব আমার জন্য যন্ত্রণাদায়ক। আমি বিশ্বাস করি, যেসব মেয়ে কাজ করতে চাইছেন, কিন্তু পারছেন না, তাঁরা যদি কাজ করতে পারতেন, তবে আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত হতো।
কানিজ আলমাস খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পারসোনা গ্রুপ