স্বপ্নটা আকাশ ছোঁয়ার

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি l ছবি: প্রথম আলো
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি l ছবি: প্রথম আলো

২৬ বছরের জীবনের গল্প আমার পক্ষে ১২০০ শব্দে, এমনকি ১২০০ পাতায় লেখা সম্ভব নয়। তবুও আমি লিখছি। ছেলেবেলায় সবার জীবনই থাকে সাধারণ। ধীরে ধীরে আমরা সবাই হয়ে উঠি অন্য রকম। একেকজনে একেক রকম। আমিও সাধারণ ছিলাম। যদি নস্টালজিয়ার হাত ধরে একটু হাঁটি, প্রথমেই চোখে পড়ে আমার সেই প্রিয় ফার্মগেটের বাসা। পরিবারে দুই ভাই।এরপর আমিই ছিলাম প্রথম মেয়ে। আমার বাবার ‘প্রিয়তি’ আর আমার ছয় ভাইয়ের প্রিয় ‘চুমকি’। খুব আনন্দের মধ্যেই কাটছিল ছেলেবেলা। কিন্তু হুট করে ছেদ পড়ল। আমার আট বছর বয়সে বাবা মারা গেলেন। প্রিয়তি নামটা হয়ে গেল সেলফে তুলে রাখা বইয়ের মতো। মায়ের মমতায় বড় হতে লাগলাম। এর মধ্যে ভর্তি হলাম ফার্মগেটের লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। থাকতে হতো হোস্টেলে। বাড়ির বাইরে থাকার কষ্টটা কী, সেটা ওই সময়ই হাড়ে হাড়ে টের পেতে শুরু করলাম। কিন্তু উল্টো দিকে খানিকটা স্বাধীনতাও চলে এল। তখই ইচ্ছে হলো নিজে কিছু করব। শুরু করলাম মডেলিং। একটা বিস্কুটের টিভি বিজ্ঞপন দিয়ে পা রাখলাম রঙিন দুনিয়ায়। এ ছাড়া ম্যাগাজিনসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ফটোশুটও করলাম। ওই সময় কখনোই ভাবিনি এই আমি একসময় মিজ আয়ারল্যান্ড ও মিজ আর্থের প্রথম রানারআপ হব।
আবার একটু পেছনে ফিরে যাই। ও লেভেল শেষ করে পাড়ি দিলাম আয়ারল্যান্ড। এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল ডাক্তারি পড়া। তাই বিজ্ঞান নিয়ে পড়লাম দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু দ্বাদশ পাস করা মানে তো আর ডাক্তার হওয়া নয়। এখানে ডাক্তারি পড়া অনেক ব্যয়বহুল। এটা আমার জন্য সত্যিই কঠিন। বাধ্য হয়ে এক বছরের মাইক্রোসফটের একটা কোর্স করলাম। জীবনের প্রথম চাকরি শুরু করলাম মাইক্রোসফটে। এই ফাঁকে হায়ার ডিপ্লোমা ইন অর্গানাইজেশন ডেভেলপমেন্টের একটা কোর্স করলাম। তারপরই ভর্তি হলাম বিজনেস ম্যানেজমেন্টে। পাশাপাশি চলল আমার ছকেবাঁধা চাকরিজীবন। সকাল আটটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চাকরি আর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত ক্লাস। বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত একটা বেজে যেত।শুরু হতো রান্নার কাজ। সপ্তাহের শেষ দিন মনে হতো এই বুঝি সবকিছু ছেড়ে অব্যাহতি পেলাম। কিন্তু না, সপ্তাহের জমানো কাজ আর বাজার করতে হতো ছুটির দুদিন।
চার বছরের পড়াশোনা শেষ করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসেছি। শেষ পরীক্ষার আগের দিন বাংলাদেশ থেকে ফোন করে জানানো হলো, আমার মা আর নেই। দেশে আমার শেষ আশ্রয়টুকু নেই হয়ে গেল। আমার পরীক্ষার ফলাফল শোনার মানুষটাই আর রইল না। মায়ের মৃত্যুর পর দেশে গেলাম। চার–পাঁচ মাস ছিলাম। এর মধ্যে আমার বিয়ে হলে গেল। দেখতে দেখতে দুটি সন্তান হলো। ছেলে আবরাজ আর মেয়ে মনিরা। এদিকে মনিরা পৃথিবীতে আসার পরপরই আমি আবার একা হয়ে গেলাম। বলতে পারেন দুটি সন্তান নিয়ে আমি একা।এই আয়ারল্যান্ডের মতো একটা দেশে চলতে লাগল জীবন।
বলে রাখা ভালো, আমার উচ্চাশা রয়েছে। একসময় ইচ্ছে হলো আকাশ ছুঁয়ে দেখার। স্বপ্ন দেখলাম পাইলট হওয়ার। কিন্তু চাইলেই কি আকাশ ছোঁয়া যায়? তাই বলে চেষ্টা করতে দোষ কোথায়। পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পরীক্ষা দিলাম। পাসও করলাম।কিন্তু কোর্সটা তো শেষ করতে হবে। হাতে কোর্স ফি দেওয়ার মতো টাকা ছিল না। চাকরি করার সময় জমানো কিছু টাকা দিয়ে দেশে জমি কিনেছিলাম। ভাবলাম জমিটা বিক্রি করে কোর্স ফি দেব। এটা ২০১২ সালের কথা। বাংলাদেশে জমি বিক্রি করতে এসে আমার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হলো। জমি জমির জায়গায় আছে কিন্তু বিক্রি করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আজ অবধি বেহাত হয়ে আছে সে জমি। ভূমিদস্যুরা সেটা দখল করে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে পৈতৃক জমি এবং মায়ের দেওয়া গয়না বিক্রি করে কোর্স ফি দিয়েছিলাম।

শেষ পরীক্ষার আগের দিন বাংলাদেশ থেকে ফোন করে জানানো হলো, আমার মা আর নেই। দেশে আমার শেষ আশ্রয়টুকু নেই হয়ে গেল। আমার পরীক্ষার ফলাফল শোনার মানুষটাই আর রইল না

কিন্তু এটাই কি শেষ? বাসার বাজার, বেবি সিটার, বাসাভাড়া, বিল, কোর্স ফি সব মিলিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম। কিন্তু সব মিলিয়ে কোর্সটা শেষ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আর্থিক অচ্ছলতায় আমি হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এমনই এক ছুটির দিনে পত্রিকায় দেখি মিজ আয়ারল্যান্ডের নিবন্ধন চলছে। অনেক ভেবেচিন্তে এই যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত নিলাম। আবেদন করার সপ্তাহ খানেক পর ই–মেইলে রিপ্লাই এল। ‘অভিনন্দন প্রিয়তি, আপনি নির্বাচিত।’
আয়ারল্যান্ডের একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় চার হাজার থেকে সাত শ মেয়ের মধ্যে জায়গা করে নিলাম বাঙালি আমি।
এদিকে আমার অবস্থা তখন যাচ্ছেতাই। আর্থিকসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়েছি। সব সমস্যা উপেক্ষা করে শুরু করলাম প্রথম ধাপ। নিজের শারীরিক ফিটনেস ঠিক করার জন্য জিমে যাতায়াত শুরু করলাম। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে লাগল খাবার গ্রহণ। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল মিজ আয়ারল্যান্ড প্রতিযোগিতার প্রক্রিয়া।
এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখানে সবকিছু নিজ খরচে করতে হয়। ফটোশুট থেকে শুরু করে নিজের জামা–জুতো পর্যন্ত নিজের। চাইলে পৃষ্ঠপোষক নেওয়া যায় কিন্তু জন্মসূত্রে আইরিশ না হওয়ায় আমার জন্য এটা পাওয়া সত্যি দুষ্কর। আমাকে কখনো পাবলিক প্লেসে কখনো শপিং মলে, বাসস্ট্যান্ড এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাকে চ্যারিটির অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছে। তারপর নানা ধরনের ধাপ। একেক ধাপ সফলভাবে অতিক্রম আর আমার আত্মবিশ্বাসও বাড়তে থাকে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিনে আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে আমি কোন পোশাক পরব তার কোনো ধারণাই ছিল না। নিজেই ছিলাম নিজের মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট।
এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিন। এখনো ভাবলে কেমন যেন লাগে। এক এক করে বাদ পড়ছেন প্রতিযোগীরা। আমার মনে হচ্ছে, এই বুঝি আমি নেই।
শেষ তিনজন তখন মঞ্চে। আমি চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করছিলাম। সবশেষে ঘোষণা হলো, ‘মিজ আয়ারল্যান্ড গোজ টু মাকসুদা আকতার প্রিয়তি।’ ওই মুহূতে কী হয়েছে আমার ভেতরে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। শুধু মনে আছে, আমার শিরা–উপশিরায় অদ্ভুত শিহরণ। সব কষ্ট ধুয়ে–মুছে যাওয়ার আনন্দ। শুধু ভাবছিলাম, এশিয়ার কোনো মেয়ে এই প্রথম ইউরোপের দেশে ন্যাশনাল টাইটেল পেল। এটা আমার প্রাপ্তি ছিল না, এটা ছিল বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাপ্তি।
আর এই প্রাপ্তিতে দায়িত্ব বেড়ে গেল। শুরু করলাম সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ। আদর্শ ছিল আমার বাবা। ছোটবেলায় বাবাকে দেখেছি কুমিল্লায় নিজের গ্রামে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে।
আমার ২০১৪ সাল পুরোটাই কেটে গেল সেবামূলক কাজে। মাঝে বাংলাদেশে গিয়েও কাজ করলাম কিছু স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এই ফাঁকে আমার জন্য সুখবর হলো, ফ্লাইং কোর্সটা শেষ করলাম। ফ্লাইং ইনস্ট্রাকটর হিসেবে যোগ দিলাম নিউ ক্যাসেল এয়ারফ্লিটে। মডেলিং, ফটোশুট, অভিনয়, সামাজিক কাজ আর সঙ্গে আকাশে ওড়ার কাজটাও চলতে লাগল সমানতালে।
এসবের মধ্যে ২০১৪ সালে এপ্রিলে হলাম মিজ হট চকলেট।এটা আয়ারল্যান্ডের বড় একটা ফ্যাশন প্রতিযোগিতা। একই সময়ে আমি ইউকেতে টপ মডেল প্রতিযোগিতায় সেরা ২৫–এ জায়গা করে নিলাম।
এবার আমার স্বপ্নের প্রতিযোগিতায় মিজ আর্থ–এ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে কে না চায়। এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসা সুন্দরীদের জন্য আয়োজন। মানে, নানান দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে লড়তে হবে আমাকে। এ জন্য আমার খরচ হবে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা। শুরুতেই আমাকে ১০ লাখ টাকা লোন করতে হলো। কারণ, এটা পাবলিক চয়েজের পুরস্কার। যার জন্য প্রতিযোগীদের প্রতিটি ভোটের পেছনে খরচ করতে হয়। আর পয়েন্ট অর্জনের জন্য করতে হলো নানা ধরনের সেবামূলক কাজ। এদিকে ফ্লাইং, সংসার, বাচ্চাদের দেখাশোনাসহ সবই ঠিক রাখতে হচ্ছে।
অবশেষে শুরু হলো মিজ আর্থের মূল অনুষ্ঠান। গত ১৩ অক্টোবর জ্যামাইকার একটি রিসোর্টে ৮৭ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হলো প্রতিযোগিতা। এখানে এসে অন্য রকম অভিজ্ঞতা মুখোমুখি হলাম। এর নামই সম্ভবত বর্ণবাদ। এ যেন সাদা–কালোর লড়াই। কিন্তু নির্ভীক সৈনিকের মতো আমি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রতিটি ধাপেই চেষ্টা করছিলাম অন্যদের চেয়ে নিজেকে বেশি মেলে ধরার। খুব নাটকীয়ভাবে আমি যেন একঘরে হয়ে যেতাম। কিন্তু সবকিছুই আমি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। সব প্রতিযোগীর সঙ্গেই কেউ না কেউ ছিল আমি ছিলাম সম্পূর্ণ একা। মন পড়ে থাকত ডাবলিনে, বাচ্চাদের কাছে।
যাই হোক রীতিমতো বুকে পাথর চেপে প্রতিযোগিতায় লড়তে হতো আমাকে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হতো প্রতিযোগিতার ধাপ। আর রাত ১২টায় শেষ হতো প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ার মাধ্যমে। একটা কঠিন সময়সূচির মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। করতে হয়েছে বৃক্ষরোপণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে উপস্থাপনা, জ্যামাইকার বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানো, পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের ধাপ। একেকটা ধাপ অতিক্রম করি আর স্বপ্ন বুনি। কখনোই সমুদ্রে না নামা আমাকে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে হয়েছে শুধু মিজ আর্থ প্রতিযোগিতার জন্য।
সব শেষ করে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিলাম। তখনই শুরু হলো আমাদের বিচারকদের ওয়ান টু ওয়ান সাক্ষাৎকার রাউন্ড। সাক্ষাৎকারে আমাকে আয়ারল্যান্ডের ওপর তিন মিনিটের বর্ণনা দিতে হয়েছিল। এরপর আরেকটা পর্ব ছিল এক প্রতিযোগী আরেক প্রতিযোগীকে প্রশ্ন করবে। আমার কাছে এক প্রতিযোগী জানতে চাইলেন, ‘মাকসুদা তুমি জন্মসূত্রে বাংলাদেিশ হয়েও তোমার কাছে কেন
মনে হচ্ছে তুমি আয়ারল্যান্ডকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে পারছ? আর তুমি যদি এই প্রতিযোগিতা জিতে যাও তাহলে কার হয়ে কাজ করবে—আয়ারল্যান্ড নাকি বাংলাদেশ?’
আমি উত্তর দিলাম, ‘নতুন বিশ্বে সমাজসেবামূলক কাজ করার জন্য সীমানা কোনো বাধাই নয়।মিজ আয়ারল্যান্ড হয়েছিলাম। আমি কোনো সীমারেখা মানি না ঠিক এ কারণেই। আমি মনে করি, সারা বিশ্বের জন্য কাজ করতে চাইলে মিজ আর্থ হতে পারে সেরা প্ল্যাটফর্ম। আমি আসলে সারা পৃথিবীর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এটা আমার জন্য কোনো সমস্যা না যে আমি কে এবং কোথা থেকে এসেছি।’
এ কথার জন্য কি কে জানে শেষ অবধি আমার বুকে লাগল মিজ আর্থের ফাস্ট রানারআপের স্যাশে। তবে সম্মানের চেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই প্রতিযোগিতার কয়েক দিন অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এটাই বড় অর্জন।
এখন আমার স্বপ্ন হলো বড় কোনো বিমান সংস্থার ক্যাপ্টেন হওয়া এবং নানা ধরনের সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা। বিশেষ করে পথশিশুদের বা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে আমার। আর মিডিয়ার সঙ্গেও নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছে আছে। এখন দেখি স্বপ্নের পথ ধরে কতটা যেতে পারি।

লেখক পরিচিতি
মিজ আয়ারল্যান্ড ২০১৪ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। জন্ম বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে। শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো এখানেই কাটলেও ১৪ বছর ধরে বাস করছেন আয়ারল্যান্ডে। বিজনেস ম্যানেজমেন্টে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিমানচালক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। ২০১৪ সালের হয়েছেন মিজ আয়ারল্যান্ড এবং চলতি বছরে মিজ আর্থে প্রতিযোগিতায় হয়েছেন প্রথম রানারআপ।


সেসব কীর্তিগাথা শোনাচ্ছেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করা কয়েকজন প্রবাসী: