ঘরের কোর্টে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট শুরু আগামীকাল। এমন সময়েই ক্যাম্প বর্জনের পথে গিয়েছিলেন শাটলাররা। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটি গঠন দিয়ে দুই পক্ষের মারামারির জেরে জাতীয় দলের ১৪ খেলোয়াড়ের আটজন ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে ধর্মঘটে যান দুই দিন আগে। তবে শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন সভাপতি আবদুল মালেকের কাছ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস পেয়ে কালই আবার অনুশীলনে ফিরেছেন।
এর আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরশু আলোচনায় বসেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম জিলানী। খেলোয়াড়েরা তখন ফেডারেশনের সভাপতির কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে তবেই অনুশীলনে ফেরার শর্ত দেন। সেই অনুযায়ীই সবকিছু এগোল। তবে আপাতসমাধান হলেও ব্যাডমিন্টনে শৃঙ্খলার অভাব আরও প্রকট হয়েছে। যা খেলাটির জন্য নতুন এক অশনিসংকেত।
তবে ক্যাম্প বর্জন করা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম জাতীয় মহিলা এককের চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তার আপাতত খুশিই, ‘সভাপতি মহোদয় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। ওই আশ্বাস পেয়েই আমরা অনুশীলন শুরু করেছি।’
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের সে অর্থে কোনো প্রত্যাশা নেই। প্রথম রাউন্ড পার হতে পারলেই সেটা হবে একটা অর্জন। কাল সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পরোক্ষে সেটাই বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ আছে এখানে। ভালো যারা করবে, তারা পরে আরও ভালো টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে।’
টুর্নামেন্টের পোশাকি নাম চতুর্থ ইউনেক্স-সানরাইজ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জ। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সিরিয়া ও বাংলাদেশের ১০৪ জন খেলোয়াড় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ উডেনফ্লোর জিমনেসিয়ামে লড়বেন পাঁচ দিনের টুর্নামেন্টে। যাতে অর্থ পুরস্কার থাকছে ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।