অ্যান্ডারসনকে ছয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন স্টোকস

জেমস অ্যান্ডারসনরয়টার্স

বোলিংয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন অনেকবারই। ব্যাটিংয়ে টেস্ট ম্যাচ বাঁচিয়েছেন—জেমস অ্যান্ডারসনের এমন অভিজ্ঞতাও আছে। তবে জয়সূচক রান? ১৭২ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই অভিজ্ঞতা হয়নি ইংল্যান্ডের পেসারের। এজবাস্টনে বেন স্টোকস সেটিরই সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে!

এজবাস্টন টেস্টের প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার টি–টোয়েন্টি সিরিজ। তবে সেই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৩৭৭ রান তাড়া করে জেতার স্মৃতি যেন এখনো তরতাজা। ‘বাজবল’ নিয়ে চলছে আলোচনা, শ্রীলঙ্কায় বসে স্টিভ স্মিথও যেটি নিয়ে মত জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে নতুন একটি ঘটনা বললেন অ্যান্ডারসন।

আরও পড়ুন

রান তাড়ায় নতুন ধরনের ‘অ্যাপ্রোচ’ তো আছেই, নতুন ‘টার্ম’ও চালু করছে ইংল্যান্ড। সাধারণত দিনের শেষবেলায় স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের আড়াল করতে নামানো হয় নাইটওয়াচম্যান কাউকে। তবে ইংল্যান্ড সে ধারণা বদলে এনেছে ‘নাইটহক’—মানে অমন পরিস্থিতিতেও স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো কেউ নেমে ব্যাট চালাবেন। ব্যাপারটি এতটাই পছন্দ হয়েছে ব্রডের, নিজের ইনস্টাগ্রাম বায়োতে লিখেও ফেলেছেন, ‘ইংল্যান্ড দলের অফিশিয়াল নাইটহক’।

আরও পড়ুন

অ্যান্ডারসনকে জয়সূচক রান নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রসঙ্গও এসেছে মূলত ইংল্যান্ডের এমন মানসিকতার কারণেই। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো শেষ দিনের শুরুতেই প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন, রেকর্ড গড়েই জিতছে ইংল্যান্ড। তবে তাঁরা জয় নিশ্চিত করে ফেলতে চেয়েছিলেন ইনিংসে দ্বিতীয় নতুন বল আসার আগেই।

অ্যান্ডারসনকে কার্যত ছয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন স্টোকস
রয়টার্স

বিবিসির টেলএন্ডার পডকাস্টে অ্যান্ডারসন সেদিনের ঘটনা বলেছেন এভাবে, ‘দ্বিতীয় নতুন বল আসছিল, ফলে ওরা চাইছিল এর আগেই ম্যাচ শেষ করতে। একটা উইকেট গেলে তাই ব্রডিকে (ব্রড) পাঠানো হবে, যাতে সে প্রতি বলেই ছক্কা মারার চেষ্টা করে। এটা ৬৭-৭৫ ওভারের মধ্যের ঘটনা।’

আরও পড়ুন

রুট ও বেয়ারস্টোর জুটি ভাঙেনি তখনো। এরপরই অ্যান্ডারসনের কাছে ওই প্রস্তাব নিয়ে আসেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস, ‘তবে যত কাছাকাছি গেলাম, তখন বোধ হয় ২০ রানের মতো দরকার, তখন ব্রডি বলছিল, “নাহ, আমার গিয়ে আর কাজ নেই। অন্য কাউকে পাঠাও।” তখন স্টোকসি এসে বলছিল, তুমি কখনো জয়সূচক রান নাওনি। ধরো ৪ রান দরকার, জাদেজা বোলিং করছে, তাহলে কি তুমি গিয়ে জয়সূচক রান নেওয়ার চেষ্টা করবে? তখন আমার মনে হলো, “এতে ঠিক স্বচ্ছন্দ হব না আমি!’

অ্যান্ডারসনকে অবশ্য নামতে হয়নি শেষ পর্যন্ত। ভারতও পায়নি দ্বিতীয় নতুন বল। রুট-বেয়ারস্টোর জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকেই ইংল্যান্ডের রেকর্ড রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ৭৬.৪ ওভারেই।

আরও পড়ুন