ইউরোপ-যাত্রার অপেক্ষায় ম্যারাডোনা

আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে এক বছর পূর্ণ করলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এই এক বছরে তাঁর অধীনে ১৩ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। হেরেছে মাত্র চারটি। খারাপ কী? খারাপ হলো, দলটা আর্জেন্টিনা, তাই মানদণ্ডটাই এখানে ভিন্ন। তা ছাড়া এই চার পরাজয়ের প্রতিটিই এসেছে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। এর মধ্যে আছে বলিভিয়ার কাছে ১-৬ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জাও। নিজেদের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে ১-৩ গোলে হেরে যাওয়াটাও আর্জেন্টাইনদের মনে বড় একটা ক্ষত হয়ে আছে।ঘোর অনিশ্চয়তার পর আর্জেন্টিনা সরাসরিই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে। তবে সে জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। ওই শেষ ম্যাচ জিতেই ম্যারাডোনা যা-তা বলেছেন আর্জেন্টাইন সাংবাদিকদের। তাঁর ওই আচরণের কারণে এখনো মাথার ওপর ঝুলছে ফিফা নিষেধাজ্ঞার খড়গ।ম্যারাডোনা অবশ্য আপাতত এসব বিতর্কের আগুনে আর নতুন করে ঘি ঢালতে চাইছেন না। এখন তাঁর পুরো মনোযোগ বিশ্বকাপের জন্য দলকে প্রস্তুত করে তোলার দিকে। ইউরো-চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে এই পথে যাত্রা শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। ম্যারাডোনার এই ইউরোপ-যাত্রায় দলে বেশ কিছু নতুন মুখও আছেন। রাশিয়ার রুবিন কাজানের হয়ে খেলা ক্রিস্টিয়ান আনসালদিকে বাজিয়ে দেখতে চাইছেন। পাশাপাশি ইন্টার মিলানের হয়ে দুর্দান্ত খেলা এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসোকেও ডেকে পাঠিয়েছেন।ওদিকে আর্জেন্টিনার শীর্ষ দৈনিক ক্লারিন যে খবর দিয়েছে, তাতে কোচ ম্যারাডোনার সঙ্গে দলের মহাপরিচালক কার্লোস বিলার্দোর দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। বিশ্বকাপের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় কোথায় ঘাঁটি গাড়া যায়, সেটি ঠিক করতে আর্জেন্টিনার একটি দল ওই দেশে গিয়েছিল। দল আসলে দুটো বলাই ভালো। কারণ, বিলার্দোরা যে জায়গা পছন্দ করেছেন, ম্যারাডোনার অনুসারীদের নাকি তা পছন্দ হচ্ছে না। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড বাদে বাকি দলগুলো এরই মধ্যে নিজেদের বিশ্বকাপ-ঘাঁটি পছন্দ করে ফেলেছে। ওয়েবসাইট।