রূপগঞ্জ টাইগার্সের জাকির হাসান রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছেনসৌজন্য ছবি

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যেই রূপগঞ্জ টাইগার্সের জাকির হাসান রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। প্রথম দুই ম্যাচে ১১৭ ও ৬৩ রানের ইনিংসের পর আজ সিটি ক্লাবের বিপক্ষে এল ১২৪ রান আরও একটি ঝলমলে ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি জাকিরের দ্বিতীয় শতক। দুটিই এসেছে এবারের ঢাকা লিগে।

একই ম্যাচে শতকের দেখা পেয়েছেন সিটি ক্লাবের জাকিরুল আহমেদ। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে জাকিরুলের ১১৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে সিটি ক্লাব ৮ উইকেটে ২৬১ রান করেছিল। রূপগঞ্জ টাইগার্সের দুই তরুণ পেসার শফিকুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

বৃথা গেছে জাকিরুলের শতক
সৌজন্য ছবি

ম্যাচের বাকি সময়টা ছিল জাকির হাসানের দাপট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট, গত বছর থেকেই অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা জাকির প্রথমে মিজানুর রহমানের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। এরপর ভারতীয় বাবা অপরাজিতকে নিয়ে আরও ১৫৬ রান যোগ করে ম্যাচের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত করে আউট হন। ৯৯ বলে ১২৪ রান করেন ১৫টি চার ও ৩টি ছক্কায়। অপরাজিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ রান।

পাশের মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও শাইনপুকুরের ম্যাচটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত জমজমাট সমাপ্তিই দেখেছে। গাজীর অধিনায়ক আকবর আলীর ৬০ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। রান তাড়ায় অভিষেক মিত্র শাইনপুকুরকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিল। কিন্তু ৮৬ রান করে অভিষেক আউট হওয়ার পর শাইনপুকুরকে চেপে ধরে আকবরের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। একে একে সিকান্দার রাজা, সাজ্জাদুল হক, আলাউদ্দিন বাবুর উইকেটের পতন ঘটে। বলের সঙ্গে রান পার্থক্যও কমে আসে তাতে।

তবে দলের বিপদেও ক্রিজে পড়ে থাকেন অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম। টিকে থাকলে জয় সম্ভব—এই ভাবনা থেকে কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় পায় শাইনপুকুর। মাহিদুল অপরাজিত থাকেন ৯১ বলে ৫৩ রান করে।

৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন পারভেজ রসুলি
সৌজন্য ছবি

দিনের আরেক ম্যাচে জয়ের জন্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে এতটা অপেক্ষা করতে হয়নি। টস জিতেই যেন জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির। ইউল্যাব মাঠের অচেনা উইকেট সকালবেলা কেমন আচরণ করে কে জানে! তাই টসে জিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শেখ জামাল। এরপরই শুরু হলো শেখ জামালের ভারতীয় ক্রিকেটার পারভেজ রসুলির বিশাল বিশাল বাঁক। ১০ ওভারে হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে রসুলির শিকার ৩ উইকেট।

শেখ জামালের বাকি বোলারদেরও খেলা কঠিন মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ আশরাফুলের ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ব্রাদার্স ৪৪.১ ওভার খেলে ১৫৮ রান করতে পারে। ব্রাদার্সের দুর্ভাগ্য, সময় যত গড়িয়েছে, উইকেট ততই ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠেছে। যে সুবিধাটা পরে কাজে লাগিয়েছে শেখ জামাল। ব্রাদার্স ১৫৮ রান ইমরুলের দল তাড়া করেছে ৩৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে। সাইফ হাসান ৮৫ বল খেলে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন।