ম্যাচ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া গেল রাসেল মাহমুদ জিমিকে। বাংলাদেশ হকি দলের অধিনায়কের কণ্ঠে হতাশা, ‘আমরা আরও গোল করতে পারতাম। কিন্তু বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেছি।’ হংকংয়ে অনুষ্ঠানরত এএইচএফ (এশিয়ান হকি ফেডারেশন) কাপে কাল বাংলাদেশ ৪-২ গোলে চীনা তাইপেকে হারালেও যেন খুশি হতে পারছিলেন না জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। গ্রুপ পর্বে এটি টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের।
চীনা তাইপের সঙ্গে কালকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ছয়বারের সাক্ষাতে পাঁচবারই জিতেছে বাংলাদেশ। কালও জয়টা অনুমিতই ছিল। কিন্তু জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও বাংলাদেশের এমন হতাশার কারণ একটাই—মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ সাক্ষাতে তাইপেকে গুনে গুনে ১১ গোল দিয়েছিলেন জিমি-চয়নরা। ২০১৩ সালে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১১-৩ গোলে। কিন্তু কাল সেই তাইপের বিপক্ষেই বাংলাদেশের আর আগের দাপট রইল না। অথচ এএইচএফ কাপের জন্য ইউরোপে এই বাংলাদেশ দলকে এক মাসের বেশি সময় ধরে করানো হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। অস্ট্রিয়া-পোল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ইউরোপিয়ান ঘরানার হকি রপ্ত করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠের খেলায় গত দুই ম্যাচে সেই পারফরম্যান্স যেন ফুটে ওঠেনি। চীনা তাইপের সঙ্গে এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ম্যাকাওয়ের সঙ্গে।
হংকংয়ের কিংস পার্কে ১৭ মিনিটে রোমান সরকারের ফিল্ড গোলে প্রথমে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের। পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরুণ-তুর্কি আশরাফুল। ২৯ মিনিটে জিমির ফিল্ড গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন অন্য চেহারায় দেখা মেলে চীনা তাইপের। গোল শোধে মরিয়া দলটি দারুণভাবে চেপে ধরে বাংলাদেশকে। ৪১ মিনিটে ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-১ করেন লু সাং-টিং। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ৩-২ করে সিয়েন ই সেং তো সমতায় ফেরারও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল তাইপেকে! শেষ পর্যন্ত ৫২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে বাংলাদেশকে স্বস্তির জয় এনে দেন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন।
ইউরোপে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পরও এমন পারফরম্যান্সে হতাশ জাতীয় দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজ, ‘ছেলেরা গত ম্যাচের চেয়ে উন্নতি করেছে খেলায়। তবে এখনো ফরোয়ার্ডরা সহজ সুযোগ নষ্ট করছে, এটা খুবই হতাশার। এই ভুলগুলো শুধরে উঠতে না পারলে নকআউট ম্যাচে বিপদই হবে।’
কাল গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকং ৫-১ গোলে হারিয়েছে ম্যাকাওকে।
এএইচএফ কাপ হকি
বাংলাদেশ ৪: ২ চীনা তাইপে
তাইপেকেহারিয়েসেমিতেজিমিরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ম্যাচ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া গেল রাসেল মাহমুদ জিমিকে।বাংলাদেশ হকি দলের অধিনায়কের কণ্ঠে হতাশা, ‘আমরা আরও গোল করতে পারতাম।কিন্তু বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেছি।’ হংকংয়ে অনুষ্ঠানরত এএইচএফ (এশিয়ান হকি ফেডারেশন) কাপে কাল বাংলাদেশ ৪-২ গোলে চীনা তাইপেকে হারালেও যেন খুশি হতে পারছিলেন না জাতীয় দলের স্ট্রাইকার।গ্রুপ পর্বে এটি টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের।
চীনা তাইপের সঙ্গে কালকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ছয়বারের সাক্ষাতে পাঁচবারই জিতেছে বাংলাদেশ।কালও জয়টা অনুমিতই ছিল।কিন্তু জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও বাংলাদেশের এমন হতাশার কারণ একটাই—মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ সাক্ষাতে তাইপেকে গুনে গুনে ১১ গোল দিয়েছিলেন জিমি-চয়নরা।২০১৩ সালে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১১-৩ গোলে।কিন্তু কাল সেই তাইপের বিপক্ষেই বাংলাদেশের আর আগের দাপট রইল না।অথচ এএইচএফ কাপের জন্য ইউরোপে এই বাংলাদেশ দলকে এক মাসের বেশি সময় ধরে করানো হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প।অস্ট্রিয়া-পোল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ইউরোপিয়ান ঘরানার হকি রপ্ত করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ।কিন্তু মাঠের খেলায় গত দুই ম্যাচে সেই পারফরম্যান্স যেন ফুটে ওঠেনি।চীনা তাইপের সঙ্গে এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।আগামীকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ম্যাকাওয়ের সঙ্গে।
হংকংয়ের কিংস পার্কে ১৭ মিনিটে রোমান সরকারের ফিল্ড গোলে প্রথমে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের।পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরুণ-তুর্কি আশরাফুল।২৯ মিনিটে জিমির ফিল্ড গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে বাংলাদেশ।কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন অন্য চেহারায় দেখা মেলে চীনা তাইপের।গোল শোধে মরিয়া দলটি দারুণভাবে চেপে ধরে বাংলাদেশকে।৪১ মিনিটে ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-১ করেন লু সাং-টিং।পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ৩-২ করে সিয়েন ই সেং তো সমতায় ফেরারও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল তাইপেকে! শেষ পর্যন্ত ৫২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে বাংলাদেশকে স্বস্তির জয় এনে দেন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন।
ইউরোপে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পরও এমন পারফরম্যান্সে হতাশ জাতীয় দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজ, ‘ছেলেরা গত ম্যাচের চেয়ে উন্নতি করেছে খেলায়।তবে এখনো ফরোয়ার্ডরা সহজ সুযোগ নষ্ট করছে, এটা খুবই হতাশার।এই ভুলগুলো শুধরে উঠতে না পারলে নকআউট ম্যাচে বিপদই হবে।’
কাল গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকং ৫-১ গোলে হারিয়েছে ম্যাকাওকে।