কিছুদিন আগেই মালদ্বীপে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্যায়ে ভারতের মোহনবাগানের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও মালদ্বীপের মালেতে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। সেই ড্রয়ে আঞ্চলিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে উঠে গিয়েছিল ভারতের ক্লাবটি। গতকাল সেই সেমিফাইনাল রাউন্ডের ম্যাচেই মোহনবাগান উড়ে গেছে উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের কাছে। নিজেদের মাঠে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে তারা।

৩৬ মিনিটের মধ্যেই ৪–০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান
ছবি: এএফসি

মোহনবাগান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। উঁচুমানের বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারে সমৃদ্ধ। মালদ্বীপের মাটিতেই বসুন্ধরা বুঝেছিল তাদের শক্তি। বিদেশিদের সঙ্গে দারুণ সব ভারতীয় ফুটবলার তো আছেনই। কিন্তু সেই মোহনবাগানকেই বড্ড অসহায় মনে হলো কাল নাসাফের সামনে। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটের মধ্যেই ৪ গোল খেয়ে বসে মোহনবাগান। প্রথম ৫ গোলই হয় প্রথমার্ধে। এর মধ্যে ১টি ছিল আত্মঘাতী।

নাসাফ পরবর্তী রাউন্ডে হংকংয়ের লি মেন ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে। আইএসএল-জায়ান্ট মোহনবাগানের জন্য এ হার কিছুটা লজ্জারই। কারণ, এ মুহূর্তে উজবেকিস্তান লিগের পঞ্চম দল এই নাসাফ। এএফসি কাপে এর আগে একবারই ৬ গোল খেতে হয়েছে মোহনবাগানকে। ২০০৯ সালে কুয়েতের আল কুয়েত ক্লাবের বিপক্ষে তারা হেরেছিল ৬-০ গোলে। আল কুয়েত সেবারের এএফসি কাপের শিরোপা জয় করেছিল।

এএফসি কাপ গ্রুপ পর্বে অপরাজেয় দল ছিল বসুন্ধরা কিংস। এমন দাপুটে ফুটবলের পরও মোহনবাগানের বিপক্ষে ড্র করার কারণেই পরবর্তী রাউন্ড আন্ত-আঞ্চলিক পর্বে যাওয়া হয়নি তাদের। বসুন্ধরাকে টপকে নাসাফের বিপক্ষে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মোহনবাগান। পরবর্তী রাউন্ডে খেলতে হলে মোহনবাগানের বিপক্ষে বসুন্ধরাকে জিততেই হতো, সেটাই পারেনি বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।