বিয়ে বার্ষিকীর দিনে ফেসবুকে রোমান্টিক মুশফিক

বিয়ে বার্ষিকীর দিন ফেসবুকে রোমান্টিক মুশফিকছবি: প্রথম আলো

ব্যস্ত তাঁর জীবন। ক্রিকেট তাঁকে সুযোগ দেয় না টানা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর। আজ এই দেশে সিরিজ, তো কাল আরেক দেশে। নিজের দেশে খেলা হলেও তো শান্তি নেই, বসতি হয় বাড়ি থেকে দূরে, পাঁচ তারকা হোটেলে। হালে করোনার কারণে যুক্ত হয়েছে আরেক ব্যাপার—জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠিন বন্দী জীবন। অন্য সময় স্ত্রী–সন্তানকে কাছে রাখার তাও যা সুযোগ পাওয়া যায়, করোনাকালে সে পথও বন্ধ।

কিন্তু মুশফিকুর রহিমের হৃদয়জুড়ে যে তাঁর পরিবার, সেটি বোঝা গেল তাঁর ফেসবুক পেজে ঢুঁ মেরেই। স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতের সঙ্গে একটা ছবি দিয়ে তিনি দিয়েছেন অসাধারণ এক পোস্ট। নিজেদের বিবাহিত জীবনের সপ্তম বর্ষপূর্তির এ দিনে মুশফিকুর রহিমের পোস্টটি যে কাউকে আপ্লুত করবেই।

বাংলাদেশের ব্যাটার মুশফিক অবশ্য নিজেকে স্বামী হিসেবে ‘নিখুঁত’ মনে করেন না। কিন্তু স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতকে তিনি তাঁর নিজের জন্য একেবারে ‘নিখুঁত’ জীবনসঙ্গীই মনে করেন, ‘হয়তো স্বামী হিসেবে আমি নিখুঁত নই। কিন্তু তুমি আমার নিখুঁত জীবনসঙ্গী। বেহেশত থেকে উপহার পাওয়া আত্মীয়।’

এমনিতেই মুশফিক ব্যক্তিগত জীবনে দুর্দান্ত এক মানুষ। কিন্তু তিনি এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। নিজের বিবাহিত জীবনের সপ্তম বর্ষপূর্তির দিনে মানুষ হিসেবে নিজেকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় বাংলাদেশের ব্যাটারের। আর এই উন্নতি করার যাত্রাপথে তিনি যে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে অনেক কিছুই শিখছেন বা শিখেছেন, সেটিও বলেছেন তিনি, ‘ইনশাআল্লাহ আমি মানুষ হিসেবে অনেক উন্নতি করতে থাকব। আমি তোমার কাছ (স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত) অনেক কিছুই শিখেছি প্রিয়তমা।’

স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত ও ছেলে মায়ানের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম
ছবি: ফেসবুক

সবশেষে ভালোবাসার সর্বোচ্চ আকুতিই ঝরেছে তাঁর, ‘দয়া করে আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আমার সঙ্গে থাক। তোমাকে ভালোবাসি।’

জান্নাতুল কিফায়াত বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর স্ত্রীর ছোট বোন। ২০১৩ সালে মাহমুদউল্লাহর মাধ্যমেই মুশফিকুরের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এরপর মনের দেয়া–নেয়া। ২০১৪ সালে সেই ভালোবাসার চিরস্থায়ী রূপ দেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। ঘরে নিয়ে আসেন জান্নাতুল কিফায়াতকে। তাঁদের দাম্পত্য জীবনকে আলোকিত করে ছেলে শাহরোজ রহিম মায়ানের আগমন।