পয়েন্ট ভাগ করা অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে মোহামেডান।
ড্র দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শুরু। মাঝে বিজেএমসি আর চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে দুই ম্যাচে জয়। হেরেছে আবাহনীর কাছে। আট ম্যাচের পাঁচটিই ড্র। কাল ৭৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েও ছিল এমিলির গোলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকে ইউসুফের গোলে হার এড়িয়েছে ব্রাদার্স। মোহামেডান ১১ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল চারে। ৯ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাদার্স আছে ছয়েই।
এই ড্রয়ে রেফারির অবদান দেখছেন মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ রুই ক্যাপেলা। ম্যাচ শেষে তাঁর দাবি, ‘রেফারিংটা খুবই বাজে হয়েছে এ ম্যাচে। মোস্তফার পরিষ্কার পেনাল্টি দিল না। উল্টো আমাদের বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। নইলে আমরাই জিততাম।’
লাল কার্ডের খাঁড়ায় গত ম্যাচে বেইবেক ও জাহিদ খেলতে পারেননি। কাল দুজনই খেলেছেন। জাহিদ বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছেন। তবে শুধুই দেশিদের ওপর ভরসা করে সাফল্য আসছে না মোহামেডানের। ভালো বিদেশির অভাব অনুভব করছে মোহামেডান। কাল মাত্র দুজন বিদেশি মোস্তফা ও বাইবেককে নামিয়েছেন ক্যাপেলা। মোস্তফাকে তুলে নেন ৬৫ মিনিটে।
সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল, কোচ তা টের পেয়েছেন একটু পরই। মাঝ মাঠ এর পরই বড্ড এলোমেলো হয়ে পড়ে মোহামেডানের। ১০ মিনিট পরই ব্রাদার্স পেল পেনাল্টি। কেস্টারকে বক্সে অবৈধভাবে ট্যাকল করেন তপু বর্মণ। পেনাল্টি থেকে ইউসুফ করলেন ১-১। ৪৩ মিনিটে সাইড ভলিতে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন এমিলি। গোল পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে আর তেমন উৎসাহী মনে হয়নি মোহামেডান খেলোয়াড়দের।
লিগে প্রথম পর্বে আর একটিমাত্র ম্যাচ বাকি মোহামেডানের। দ্বিতীয় পর্বের জন্য এখনই নতুন বিদেশি খুঁজতে শুরু করেছেন ক্যাপেলা। তাঁর কথা, ‘আমি চাই ইউরোপের কোনো দেশের ফুটবলার আনতে। ক্লাব কর্মকর্তারা আমার প্রস্তাবে রাজি। যদিও নিজে কোনো খেলোয়াড় আনছি না, তবে ওদের আমি চিনি। অন্তত রক্ষণ, মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ড পজিশনে তিনজনকে আমি চাই।’
ভালো মানের বিদেশিরা এসে যদি ড্রয়ের নিয়তি থেকে উদ্ধার করতে পারে মোহামেডানকে! নইলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে না গর্তে পড়ে যায়! এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়েও একের পর ড্র লিগ লড়াই থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে ক্যাপেলার দলকে।