রকমারি

সাঈদ আজমল
সাঈদ আজমল

আজমলের সে সময়ের অনুভূতি
এ যেন হঠাৎ ধেয়ে আসা ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড সাঈদ আজমলের পৃথিবী। আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিং দেখাচ্ছে এখনো বিশ্বের এক নম্বর বোলারের নাম আজমল। কিন্তু এটা কাগজে-কলমেই, আজমল যে খেলার মধ্যেই নেই। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত রয়েছেন এই পাকিস্তানি অফ স্পিনার। এখন চলছে তাঁর পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া।
‘মনে হচ্ছিল পায়ের নিচ থেকে মাটিটা সরে গেছে’—গত আগস্টে আবার প্রশ্ন ওঠার পর আজমলের সর্বস্ব হারানোর অনুভূতিই নাকি হয়েছিল। ইএসপিএনক্রিকইনফোর মাসিক ডিজিটাল ম্যাগাজিন ক্রিকেট মান্থলির ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রচ্ছদ হওয়া আজমল নিজেই জানিয়েছেন মনের অবস্থা। আজমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এবারের আগে ২০০৯ সালেও একবার প্রশ্ন ওঠে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। সেবার পরীক্ষা দিয়েই পার পেয়ে গেলেও এবারের পরীক্ষায় অবশ্য পাওয়া গেল বিস্ময়কর ফল। দেখা গেল দুসরা তো বটেই প্রতিটি ডেলিভারির সময়ই আজমলের কনুই বাঁকা হচ্ছে বৈধ ১৫ ডিগ্রির চেয়ে অনেক বেশি।
কেন এমন হলো সেটার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আজমল, ‘শ্রীলঙ্কা সফরের ভিডিও দেখেছি, মনে হয়েছে অ্যাকশনে কিছু গোলমাল হয়েছে। আমি উইকেট পাচ্ছিলাম না। তাই হয়তো ওদের আউট করতে একটু বেশিই চেষ্টা করেছিলাম। যার কারণেই হয়তো, তবে আমি ঠিক জানি না।’ ক্রিকইনফো।

মোহাম্মদ আলী
মোহাম্মদ আলী

ভালো আছেন আলী
৩০ বছর ধরে পারকিনসন্সের সঙ্গে লড়তে থাকা মোহাম্মদ আলী গত মাসেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে চলে গিয়েছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আলী নিজেই কয়েক দিন আগে ইনস্টাগ্রামে নিজের একটা সেলফি পোস্ট করেছেন। চেহারায় বয়স আর রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের স্পষ্ট ছাপ, তার পরও মৃদু হাসিটা বলছে, আলী ভালোই আছেন। ছবির সঙ্গে লিখেছেন, ‘লুইসভিল, গেম ডে’। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় দল লুইসভিল কারডিনালসের সমর্থক আলী, ওই দিন কেনটাকি ওয়াইল্ডক্যাটসের সঙ্গে তাদের একটা বাস্কেটবল ম্যাচ ছিল। আলীর শুভকামনা পেয়েই কিনা, লুইসভিল সেই ম্যাচটা জিতেছে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারেন, আলী আবার ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কবে। খুব বেশি দিন হয়নি, মাত্র তিন সপ্তাহ। তবে এর মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার অনুসারী পেয়ে গেছেন! মেইল অনলাইন।
বোয়াটেংয়ের স্বপ্ন
বিশ্বকাপ জয়ের পর ফিলিপ লাম যখন অবসরের ঘোষণা দিলেন, জার্মানির পরের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে নাম উঠেছিল অনেকেরই। কিন্তু ভুলেও কেউ নাম উচ্চারণ করেনি—জেরোম বোয়াটেং। অথচ ২৬ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাকই জার্মান ফুটবল দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন লালন করে চলেছেন। মনের কোণে লুকিয়ে রাখার এই ইচ্ছাটাকে এবার আলোয় আনলেন। ২০১২ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে স্বল্প সময়ের জন্য অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরার কথাও জানিয়েছেন বোয়াটেং, ‘একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্বল্প সময়ের জন্য আমি সেটা পরেছিলাম। কিন্তু মাঠে দলকে নিয়মিত নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটি আলাদা।’ নিয়মিত অধিনায়ক যদি হন, তবে জার্মানির ফুটবলে সেটি হবে নতুন ইতিহাস, তিনিই হবেন দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবল অধিনায়ক।
পারফরম্যান্স দিয়েই জার্মানির প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি যে তাঁর মধ্যে আছে, সেটাও কোচ জোয়াকিম লো ভালোই জানেন বলে দাবি করেছেন বোয়াটেং। এএফপি।