শাহরিয়ারের সেঞ্চুরির পরও গাজীর টাই
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। শেষ বলে ৩ রান। কিন্তু ওই ওভারটি থেকে ২ রানের বেশি নিতে পারলেন না পারটেক্সের মোহাম্মদ আজিম। শেষ পর্যন্ত গাজী ট্যাংকের সঙ্গে পারটেক্সের ম্যাচটি হলো টাই। সেঞ্চুরিটা জয় দিয়ে উদ্যাপন করা হলো না গাজী ট্যাংকের শাহরিয়ার নাফীসের। কাল অন্য ম্যাচে কলাবাগান ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫ রানে খেলাঘরকে এবং বিমান ৪ উইকেটে সিসিএসকে হারিয়েছে।বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তুলেছিল গাজী ট্যাংক। একপর্যায়ে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা গাজী ট্যাংককে এতদূর টেনে নেন আসলে লিগের তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান শাহরিয়ার নাফীস। তৃতীয় উইকেটে ফরহাদ হোসেনকে নিয়ে ১৩৭ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। রবিউল করিমের বলে শিরান শরীফের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১৭ বলে ১০৩ রান করেন নাফীস। ১২টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ৪১ রানে পারটেক্স প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে রেজাউল হককে সঙ্গী করে ১০১ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার গাজী সালাউদ্দিন। ৮১ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন তিনি। রেজাউল আউট হন ৬৬ রানে। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে শেষ ওভারে ৮ রান করতে পারলেও তারা জিতে যায় ম্যাচটি, কিন্তু করতে পারল ৭ রান।আসলাম (৫৭) ও আশরাফুল হকের (৫২) জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ফতুল্লায় খেলাঘর প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে তোলে ২১৮ রান। কিন্তু কলাবাগান ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৩ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কলাবাগান পরে জিতে যায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে। ওই সময় ৪৭ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ১৯৮ রানের।নাজমুল হোসেনের ৫৫ রান এবং ওপেনার উত্তমের ৫৪ রানের পরও বিকেএসপিতে ৪৮.৫ ওভারে ১৭৬ রান তুলতে পারে সিসিএস। তাদের এত অল্প রানে বেধে ফেলার মূল ভূমিকা তারেক আজিজের। ৮ ওভারে ১টি মেডেন ও ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। জবাবে ৪ ওভার ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই যা টপকে যায় বিমান। অধিনায়ক সানোয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৪৪ রান।