আইপিএল নিলামের আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের বিরতি চেয়ে বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পরে অবশ্য আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সাকিব ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে রাজি হন। কিন্তু আইপিএলে দল না পাওয়ায় সাকিবের ছয় মাসের ছুটির বিষয়টি নিয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষেই এ ব্যাপারে সাকিবের সঙ্গে বসবে ক্রিকেট বোর্ড। সাকিবের কাছে চাওয়া হবে আগামী এক বছরের পরিকল্পনা। আজ এটি জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষেই সাকিবের সঙ্গে বসবে ক্রিকেট বোর্ড
ছবি: প্রথম আলো

আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে তিনি জানান, ‘সাকিব ছয় মাসের বিরতি চেয়ে একটা চিঠি দিয়েছিল। সে টেস্ট থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। কিন্তু সেটা আইপিএল নিলামের আগে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছিল যে সে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টেস্ট খেলার কথা ছিল না। এখন যেহেতু আইপিএলে যাচ্ছে না, তাই পরিস্থিতি বদলে গেছে। ওয়ানডে সিরিজের পরই প্রেসিডেন্ট স্যারের (নাজমুল হোসেন) সঙ্গে বসবে। সেখানে তার কাছ থেকে কমপক্ষে এক বছরের পরিকল্পনা জানতে চাইব।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস
ফাইল ছবি

বিসিবি প্রত্যাশিতভাবেই সাকিবকে সব সংস্করণেই পেতে চায়। তবে ক্রিকেটারের ছুটির ব্যাপারটিও বিসিবি বিবেচনা করবে বলে জানান জালাল ইউনুস। কিন্তু খেলোয়াড়দের আগে নিজেদের পরিকল্পনা জানাতে হবে। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘কেউ বলে এই সিরিজে খেলব, অন্য সিরিজে খেলব না। আবার কেউ এই সংস্করণে না খেলে অন্য সংস্করণে খেলতে চায় না। ক্রিকেটারদেরও তাদের চিন্তা জানাতে হবে। আমরা সাকিবকে সেই সুযোগ দিচ্ছি, যেন আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা যায়।’

২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের টেস্ট থেকে সাকিব প্রথম ছুটি নিয়েছিলেন। গত বছর আইপিএল খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাননি। এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরেও সাকিব ছিলেন ছুটিতে। আগামী ১২ মার্চ বাংলাদেশ দল আরেকটি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে। সেখানে ওয়ানডে সুপার লিগের তিনটি ম্যাচ খেললেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।