চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান শেষ হয়েছে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে গিয়ে। লিগ কাপ, এফএ কাপও শেষ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে অনেক আগেই। সব হারিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এখন শুধু একটাই আশা—আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা। সেটা করতে হলে শীর্ষ চারের মধ্যে থেকে লিগ শেষ করতে হবে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটিকে। কাল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে নরউইচ সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তাদের সেই আশার পালে জোর বাতাস লেগেছে।

এ জয়ের পর ৩২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে টটেনহাম। আর ষষ্ঠ স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৫৪। সব হারিয়ে ইউনাইটেডকে যে এভাবে চতুর্থ হওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে, এর দায় অনেকেই রোনালদোকে দিচ্ছেন। বয়স হয়ে গেছে ৩৭ বছর। অনেকেই বলছেন, বয়সের ভারে ন্যুব্জ রোনালদো আগের ধার অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর পারফরম্যান্স সত্যিই আর আগের মতো নেই। এর জন্য সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে পর্তুগিজ তারকাকে।

নরউইচ সিটির বিপক্ষে অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে সেই সমালোচনারও যেন জবাব দিলেন রোনালদো। মাঠের পারফরম্যান্সের পর রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের সাবেক তারকা সরব হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকে দলের জয়ের আনন্দের কথা জানাতে গিয়ে নিজের ঢোলও খানিক বাজিয়ে নিয়েছেন রোনালদো, ‘এ জয়ে খুব খুশি। আমি আনন্দিত প্রিমিয়ার লিগে আবার ছন্দে ফিরতে পেরে।’

জয়ের কৃতিত্ব সতীর্থদের ভাগ করে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ছবি: রয়টার্স

রোনালদো এরপর যোগ করেন, ‘আমি আগেও বলেছি, ব্যক্তিগত অর্জন তখনই মধুর হয়, যখন সেটা দলের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। আমার ক্যারিয়ারের ৬০তম হ্যাটট্রিক আরও বড় ব্যাপার হয়েছে। কারণ, এটা আমাদের ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’ রোনালদো অবশ্য জয়ের কৃতিত্ব একা নেননি। কৃতিত্ব ভাগ করে দিয়েছেন দলের সবাইকে, ‘ভাইয়েরা, দারুণ খেলেছ। সবার দিক থেকেই প্রচেষ্টাটা ছিল অসাধারণ।’

রোনালদো এরপর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউনাইটেডের সমর্থকদের, ‘আমরা হাল ছাড়ছি না। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’ মৌসুম শেষেই বোঝা যাবে, শেষ পর্যন্ত রোনালদোদের সে লড়াই কতটা কাজে আসে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সফল হন কি না!