২১ জানুয়ারি শুরু বিপিএল, প্লেয়ারস ড্রাফট ২৭ ডিসেম্বর

অবশেষে ফিরছে বিপিএলফাইল ছবি: প্রথম আলো

আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর পর মাঠে ফিরছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি লিগ। ছয় দলের এ টুর্নামেন্টের খেলা হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএলের শুরুর দিন-তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে বিসিবি। ছয়টি দলের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের নামও জানানো হয়েছে। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বরিশাল (ফরচুন শুজ), চট্টগ্রাম (ডেল্টা স্পোর্টস), কুমিল্লা (কুমিল্লা লেজেন্ডস), ঢাকা (রুপা ফেব্রিকস অ্যান্ড মার্ন টিল), খুলনা (মাইন্ড ট্রি) ও সিলেট (প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস)।

মাঝে ২ বছর হয়নি বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

টুর্নামেন্টের প্লেয়ারস ড্রাফট হবে ২৭ ডিসেম্বর। ড্রাফটে স্থানীয় ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে ছয়টি শ্রেণিতে। ‘এ’ শ্রেণির খেলোয়াড়দের মূল্য রাখা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ‘এফ’ ক্যাটাগরির মূল্য পাঁচ লাখ টাকা। প্রতিটি দল সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নিতে পারবে। ড্রাফটের আগে একজন স্থানীয় ক্রিকেটারকে সরাসরি নিতে পারবে প্রতিটি দল।

বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের জন্য সংখ্যাটা সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৮। তবে ড্রাফটের বাইরে সরাসরি তিনজন পর্যন্ত খেলোয়াড় নিতে পারবে দলগুলো। ‘প্রতিটি দলকে একাদশে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় নিতেই হবে’, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি।

দেশের বাইরের খেলোয়াড়দের জন্য মূল্যের শ্রেণি করা হয়েছে পাঁচটি। সেখানে সর্বোচ্চ মূল্য ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা), সর্বনিম্ন ২০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা)।

‘প্রতিটি দলকে একাদশে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় নিতেই হবে’, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় দলের নিউজিল্যান্ড সফরে কোয়ারেন্টিনের জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত বিপিএলের সূচি পিছিয়ে যেতে পারে, এর আগে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে আজ বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড সফর শেষে টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটাররা চাইলে বিশ্রাম নিয়ে বিপিএল খেলবেন, ‘তিন-চার দিন আগে বোর্ড সভাপতি আমাদের ডেকে বলেছেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা বিশ্রাম চাইলে দু-চার ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হবে। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করে নেব।’

ছয়টি দল ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে খেলবে ৩৪টি ম্যাচ। প্রতিদিন হবে দুটি ম্যাচ। তিনটি প্লে-অফ ম্যাচের পর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল। প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ কোটি ও রানার্সআপ দল ৫০ লাখ টাকা।