খুলনার জার্সিতে আবেগের দুটি নাম

প্রথম আলোতে সে সময় রানাকে নিয়ে প্রকাশিত কলাম। যা আজও বাঁধাই করা আছে তাঁর বাসায়
প্রথম আলোতে সে সময় রানাকে নিয়ে প্রকাশিত কলাম। যা আজও বাঁধাই করা আছে তাঁর বাসায়

খুলনা টাইটানসের জার্সির দিকে চোখ রাখতে ভুলবেন না। বিপিএলের এই দলটি যে এবার অসাধারণ এক উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনা দলের জার্সির হাতায় লেখা থাকছে প্রয়াত ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানা ও সাজ্জাদুল হাসান সেতুর নাম।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে চিরন্তন শোকবহ দুটি নাম রানা ও সেতু। মানজারুল ইসলাম রানা ২০০৩-২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন। সাজ্জাদুল ছিলেন একই সময়ে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় এক ক্রিকেটার। ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান খুলনা বিভাগীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ত্রিনিদাদে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগ মুহূর্তে রানা ও সেতুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিমূঢ় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে।

সাজ্জাদুল হাসান সেতু
সাজ্জাদুল হাসান সেতু

সে ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার এবারের বিপিএলে খুলনা টাইটানসের পরামর্শক। তিনি জানালেন, ‘খুলনার জার্সির ডান হাতায় রানা ও সেতুর নাম লেখা থাকবে। আমরা এই জায়গায় পৃষ্ঠপোষকের লোগো ব্যবহার না করে রানা আর সেতুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাব। দুজনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুলনা বিভাগীয় দলের খেলোয়াড় ছিল।’
মানজারুল ইসলাম রানা দেশের হয়ে খেলেছেন ৬ টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডে। সাজ্জাদুল হাসান সেতু খেলেছেন ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ৩টি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটিতে করেছিলেন ২ হাজার ৪৪৩ রান। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটেও খেলেছেন সেতু। রানা সবচেয়ে কম বয়সে মারা যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটারও।
জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানেও রানা আর সেতুকে আলাদাভাবেই স্মরণ করা হয়েছে। উন্মোচিত দুটি জার্সির পেছনেই লেখা ছিল এই দুই ক্রিকেটারের নাম।