যত ম্যাচ খেলেছেন, রান করেছেন তারও কম!

শূন্য রানে আউট হয়ে এমন হাসিমুখে ফেরা শুধু ম্যাকগ্রার পক্ষেই সম্ভব ছিল। ফাইল ছবি
শূন্য রানে আউট হয়ে এমন হাসিমুখে ফেরা শুধু ম্যাকগ্রার পক্ষেই সম্ভব ছিল। ফাইল ছবি

২৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন। ওয়ানডেতে মোট রান ১১৫! যত ম্যাচ খেলেছেন, রান করেছেন অর্ধেকেও কম! এই রেকর্ড আছে গ্লেন ম্যাকগ্রার। ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এই অস্ট্রেলীয় পেসারের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল। 

টেল এন্ডারদের ব্যাটিং দেখার মধ্যে এক ধরনের মজা ছিল। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেট এই ‘ম্যাকগ্রা’দের ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন তো ইংল্যান্ড এমন টেস্ট দলও সাজায়, তাদের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যানেরও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আছে সেঞ্চুরি! ম্যাকগ্রাদের দেখা আর কোথায় মিলবে!
ওয়ানডে ইতিহাসে আর একজন ব্যাটসম্যানই আছেন, এক শর বেশি ​ম্যাচ খেলে যাঁর রান এক শর কম। তিনিও আরেক কিংবদন্তি পেসার। অ্যালান ডোনাল্ড। সাবেক প্রোটিয়া তারকা ১৬৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৯৬ রান। তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, সব ম্যাচেই এঁরা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। ম্যাকগ্রা যেমন ২৫০ ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমেছেন মাত্র ৬৮ বার। তবে যে কয়বার ব্যাটিং করেছেন, তাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, সবগুলো ম্যাচে খেললেও রানের সংখ্যাটায় বিশেষ হেরফের হতো না!

রান তো ​দূরের কথা, দৌড়টাও ঠিকমতো দিতে পারলে তো হতো! ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ডোনাল্ড। ফাইল ছবি
রান তো ​দূরের কথা, দৌড়টাও ঠিকমতো দিতে পারলে তো হতো! ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ডোনাল্ড। ফাইল ছবি

যত ম্যাচ খেলেছেন, তার চেয়েও কম রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের তালিকাটা দীর্ঘ করা যায়। তবে কমপক্ষে ৫০ ম্যাচ খেলে ম্যাচের চেয়ে রান করেছেন কম এমন ব্যাটসম্যানদের তালিকা করলে সেখানে আর খুব বেশি জনকে পাওয়া যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার টেরি অ্যালডারম্যান ৬৫ ওয়ানডে খেলে করেছিলেন ৩২ রান। ভারতের ভেংকটপতি রাজু ৫৩ ম্যাচে ৩২। কার্ল র‍্যাকারমান (৫২ ম্যাচে ৩৪), ক্রিস্টোফার পোফু (৭১ ম্যাচে ৪২), প্যাট্রিক প্যাটারসন (৫৯ ম্যাচে ৪৪), শ্রীশান্ত (৫৩ ম্যাচে ৪৪), মোহাম্মদ ইরফান (৬০ ম্যাচে ৪৮), সুরঙ্গা লাকমল (৫৪ ম্যাচে ৪৯), মনিন্দর সিং (৫৯ ম্যাচে ৪৯), ব্রুস রিড (৬১ ম্যাচে ৪৯ রান), লনওয়াবো সোতসোবে (৬১ ম্যাচে ৫৬), ইশান্ত শর্মা (৮০ ম্যাচে ৭২) দিয়ে শেষ হয়েছে এই তালিকা। চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টে একটুর জন্য এই তালিকায় জায়গা পাননি। ৭২ ম্যাচে করেছেন ৭৩ রান!

তাসকিন, ২০ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৬ রান! ফাইল ছবি
তাসকিন, ২০ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৬ রান! ফাইল ছবি

এই তালিকায় না থাকলেও বেশ উল্লেখযোগ্য ওয়ানডে খেলে উল্লেখ করার মতো রানই করতে পারেননি এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের শাহাদাত হোসেন। ৫১ ওয়ানডেতে করেছেন ৭৯ রান। আরেক পেসার রুবেল হোসেন রানের সেঞ্চুরি করেছেন, কিন্তু সেটি করতে খেলতে হয়েছে ৬৯টি ওয়ানডে। ভবিষ্যতে যে তালিকায় ঢুকে যেতে পারেন বাংলাদেশের তাসকিন (২০ ওয়ানডেতে ৬ রান) বা আল আমিনরা (১৪ ম্যাচে ৪ রান‍)। আর ভারতের জসপ্রীত বুমরার রেকর্ড তো আরও অপ্রীতিকর। ৮টি ওয়ানডে খেলে এখনো রানের খাতা খোলার সৌভাগ্যই হয়নি!