বার্সেলোনা অকৃতজ্ঞ

দানি আলভেজ
দানি আলভেজ

বার্সেলোনার ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব কম হয়েছে। মাত্র দুই দিন আগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ব্রাজিলিয়ান রোনালদো। কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকারের তোলা ঝড় সামলে ওঠার আগেই কাল রীতিমতো তাণ্ডব বইয়ে দিলেন আরেক ব্রাজিলিয়ান। ২৩টি শিরোপা জিতে বার্সেলোনার ইতিহাসে নাম লিখে ফেলা দানি আলভেজের অভিযোগ, কাতালানরা অকৃতজ্ঞ!
মৌসুমের শুরুতেই একটা ধাক্কা খেয়েছেন বার্সেলোনা সমর্থকেরা। চুক্তির এক বছর বাকি থাকা সত্ত্বেও বার্সা ছেড়েছেন আলভেজ, তাও বিনা মূল্যে! রাইটব্যাকে তাঁর শূন্যস্থান এখনো পূরণ করতে পারেনি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। অর্ধেকের বেশি মৌসুম পেরিয়ে যাওয়ার পর দলবদলের কারণ জানালেন আলভেজ, ‘যদি বুঝতে পারি আমার প্রতি আর ভালোবাসা নেই, তাহলে তো চলে যাবই। বিনা ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে চলে আসা ছিল বড় একটা শিক্ষা।’
খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে বার্সেলোনা প্রতারণা করে বলে অভিযোগ করেছিলেন ‘দ্য ফেনোমেনোন’। কাল স্প্যানিশ দৈনিক এবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও আলভেজ তুললেন একই অভিযোগ, ‘তিন মৌসুম ধরেই শুনতে হয়েছে আলভেজ চলে যাচ্ছে কিন্তু দলের কর্তারা কখনোই আমার সঙ্গে কথা বলেনি। তারা মিথ্যাবাদী ও অকৃতজ্ঞ। আমাকে কোনো সম্মান দেখায়নি। ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় চুক্তি নবায়নের! তখন তাদের চালটাই আমি খেললাম, এক বছর পর চাইলে চলে যেতে পারব। যারা বার্সেলোনা চালান, তারা জানেই না খেলোয়াড়দের কীভাবে সামলাতে হয়।’
আলভেজের কথার চাবুক অবশ্য বার্সেলোনা ও মাদ্রিদের সংবাদমাধ্যমের ওপরও পড়েছে। তাঁর ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কম জল ঘোলা করেনি স্প্যানিশ মিডিয়া। আলভেজের দাবি পুরোটাই নাকি বানোয়াট, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আমার ঝামেলাটা পুরোপুরি মিডিয়ার বানানো। মানুষ যদি জানত, আমি তাঁকে কতটা সম্মান করি! আমি যখন বলেছিলাম, সে সব সময় মনোযোগ কাড়তে চায়, সেটা সম্মান জানিয়েই বলেছি। মেসি কিংবা নেইমারের ব্যাপারেও সেটাই ভাবি আমি।’ ইএসপিএন, মার্কা।