'এই জয়ের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!'

সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করে নিলেন দুই অধিনায়ক। ছবি: এএফপি
সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করে নিলেন দুই অধিনায়ক। ছবি: এএফপি

আউট হয়ে ফিরছেন। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের মুখে লেগে রয়েছে হাসি। কারও কাছে বেখাপ্পা লাগেনি বিষয়টা! একটু পরেই যে শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় আসবে। আর মাত্র ২ রান দূরে সে জয়। তাতেই বুঁদ হয়েছিল সবাই। টেলিভিশনের সামনে যাঁরা বসে ছিলেন, সামনে এগিয়ে আরেকটু ঝুঁকে পড়েছেন। কলম্বোর পি সারা ওভালে গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশের সমর্থকেরা ততক্ষণে উৎসবের আয়োজন শুরু করে দিয়েছন। পতপত করে উড়ছিল লাল-সবুজ পতাকা। 

প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলা মেহেদী হাসান মিরাজকে হাসিমুখে কি যেন বলছিলেন মোসাদ্দেক। মাঠে নামলেন মিরাজ। আর দড়ির প্রান্তে এসে দাঁড়ান সৌম্য সরকার, শুভাশিস রায়, রুবেল হোসেন, তামিম ইকবালরা। সবকিছুই উপভোগ্য লাগছিল তখন। আনন্দ পূর্ণতা পেল খানিক পরেই। রঙ্গনা হেরাথের বলে সুইপ করে মিরাজ জয়সূচক ২ রান তুলে নিলে। রান নিতে নিতেই যেন উড়ে যেতে চাইলেন মিরাজ। অন্য প্রান্তে ডানা মেলে দিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও।
তামিম-সৌম্যরা ততক্ষণে এক দৌড়ে পৌঁছে গেলেন মাঠে। পেছনে গোটা দল। একে অপরকে বাঁধলেন আলিঙ্গনে। গ্যালারিতেও একই দৃশ্য। বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে কোচ হাথুরুসিং ভাসছিলেন অভিনন্দনে। শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের উদ্‌যাপন তো এমনই হওয়ার কথা। এই জয় যে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশেষ কিছু সেটা মাঠে দাঁড়িয়ে ডিন জোন্সকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বললেন সাকিব আল হাসান, ‘এটা দারুণ এক অনুভূতি। শততম টেস্ট, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!’ এমন দিনে তামিমও কী আর ভিন্ন কথা বলবেন! বন্ধু সাকিবের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেন তিনি, ‘সর্বোপরি এটা অসাধারণ এক জয়।’
এমন দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই নায়ককে এক সঙ্গে পেয়েছেন। এত সহজে কী আর ছাড়বেন ডিন জোন্স! সাকিবের কাছে জানতে চাইলেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোথায় দেখছেন তিনি। সাকিব উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই দেখছেন বাংলাদেশের, ‘আমরা যেভাবে উন্নতি করছি তাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক ম্যাচ জিতব। দেশের মাটিতে ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের। এখন দেশের বাইরেও ভালো খেলতে হবে।’