ঘাতকের বুলেটে খুন পানামার ফুটবলার

এক যুগ ধরে খেলছেন পানামার জাতীয় দলে। কিন্তু স্বপ্নের বিশ্বকাপ কখনো খেলা হয়নি আমিলকার হেনরিকেজের। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে রাশিয়া বিশ্বকাপ দিয়ে সে অপূর্ণতা ঘোচানোর ইচ্ছে ছিল তাঁর। গত ২৮ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পানামার ১-১ গোলে ড্র স্বপ্নটা উজ্জ্বল করে তুলেছিল। কিন্তু পরশু সব স্বপ্ন-ইচ্ছে কিংবা ফুটবল—সবকিছুরই ঊর্ধ্বে চলে গেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। নিজের শহর কোলনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে হেনরিকেজকে।
৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের মৃত্যুটা হয়েছে যেন সিনেমার চিত্রনাট্যের অনুকরণে। নুয়েভো কোলনে নিজের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন হেনরিকেজ। একজন বন্ধুকধারী তাঁর ওপর গুলিবর্ষণ করে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। এ সময় দুজন পথচারীও আহত হন। সাবানিতাসের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলেও হেনরিকেজকে বাঁচানো যায়নি। এই মৃত্যু দেশটির ফুটবলকে ঢেকে দিয়েছে শোকের চাদরে। ফুটবল ফেডারেশন টুইট করেছে, ‘আমরা হেনরিকেজের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। মিকি, ঈশ্বর তোমার আত্মাকে শান্তি দিক।’ তাঁর বর্তমান ও ছেলেবেলার ক্লাব আরাবি ইউনিডো শোকবার্তায় জানিয়েছে, ‘আমাদের আমিলকারের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। মাঠে হৃদয় দিয়ে খেলত সে।’
২০০৫ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা হেনরিকেজের মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পানামার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস ভ্যারেলা। টুইটারে জানিয়েছেন, অপরাধীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তাঁর প্রশাসন, ‘আমিলকার হেনরিকেজের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দায়ী ব্যক্তিদের ধরার জন্য কোলন শহরকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে নিরাপত্তা বাহিনী।’
প্রেসিডেন্টের এমন বার্তায়ও আশ্বস্ত হতে পারছে না পানামাবাসী। পানামায় যে ফুটবলার হত্যার ঘটনা এটিই প্রথম নয়! ২০১১ সালে এরিক লুনা নামের এক গোলরক্ষক খুন হন তাঁর বাসার সামনেই। ওই বছরই আবদুল চিয়ারি নামের এক ফুটবলার অনুশীলনে যাওয়ার পথে গুলিবদ্ধ হয়ে মারা যান। হাভিয়ের দে লা রোসা নামের আরেক ফুটবলারকে স্টেডিয়ামের বাইরে গুলি করা হয়েছিল ম্যাচ শেষ হওয়ার একটু পরেই। এএফপি।