কী ভাবছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ?

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব। ছবি: এএফপি
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব। ছবি: এএফপি

ইয়ান বিশপ দুজনের সঙ্গে কথা শেষে বললেন, ‘দুর্ভাগ্য, তোমাদের একজন পাচ্ছ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। আর সেটি পাচ্ছে সাকিব আল হাসান।’ মাহমুদউল্লাহ জড়িয়ে ধরলেন সাকিবকে। বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে পুরস্কার পেতে দেখে তিনিই সবচেয়ে খুশি! কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে জয় পেয়েছে, তাতে কে পুরস্কার পেলেন আর কে পেলেন না সেটি যে বড় অপ্রাসঙ্গিক।

ম্যাচসেরার পুরস্কার একজন পেলেও ২২ গজে পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ দুজনই। বাংলাদেশ দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। দলকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত জয়—এর চেয়ে বেশি আর কী লাগে! কিন্তু ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিল, কীভাবে গড়া সম্ভব হলো ২২৪ রানের দুর্দান্ত জুটি? কী ভাবছিলেন তাঁরা? কী কথা হচ্ছিল নিজেদের মধ্যে?
ম্যাচ শেষে মিলল অবাক করা উত্তর। যার সারমর্ম, ‘কথা কম কাজ বেশি’ নীতিতে এগিয়েছেন দুই তারকা। মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘আমরা খুব একটা কথা বলিনি। শুধু নিজেদের ব্যাটিং করে গেছি। ২২ গজে একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছি। ইতিবাচক থেকেছি। শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছে। ওরা ঠিক জায়গায় বোলিং করছিল। বল সুইং করছিল। বল যখন সুইং পাচ্ছিল না, তখন ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে গেছে। সাকিব যে ব্যাটিং করেছে তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
সাকিবের মুখেও যেন মাহমুদউল্লাহর কথার প্রতিধ্বনি, ‘মাহমুদউল্লাহ যেটা বলল, আমরা খুব একটা কথা বলিনি। শুধু নিজেদের ব্যাটিং করে গেছি। রান তাড়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবিনি। চেয়েছি ৪০-৪৫ ওভার ব্যাটিং করতে। এর পর যা হয় দেখা যাবে। ইনিংসের শুরুতে বল সুইং করছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা এটা ভালোভাবে সামলেছি। যখন মারার সময় এসেছে মেরেছি।’
টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা তামিম ইকবাল এই ম্যাচে ফিরেছেন শূন্য রানে। বাঁহাতি ওপেনারকে হারানোর পর কীভাবে এগোলেন, সেটি বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এই টুর্নামেন্টে সে অসাধারণ ব্যাটিং করছে। শুরুতে তাকে হারানোটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে সাকিব আর আমার ভালো সময় কেটেছে, ভালো একটা জুটি আছে। আমরা খুব বেশি কথা বলিনি, শুধু ব্যাটিং করেছি।’