বাংলাদেশ সফরের আগেই সমাধান

মার্ক টেলর
মার্ক টেলর

সমাধান হওয়া উচিত, সমাধান হবেই—এমন কথা অনেকেই বলছেন। কিন্তু হচ্ছে কোথায়? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে ক্রিকেটারদের বর্তমান চুক্তি শেষ হয়ে গেছে সেই ৩০ জুন। তারপর থেকে বেকার হয়ে আছেন ২৩০ জনের মতো ক্রিকেটার। কিন্তু নতুন চুক্তিতে প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা নিয়ে দুই পক্ষের সমঝোতা হয়নি এখনো। তবে সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর আশাবাদী, সমাধান হবে খুব শিগগির এবং সেটা অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের আগেই।

এমন আশার কথা অবশ্য আরও অনেকেই শুনিয়েছেন। কিন্তু আগের চুক্তির মেয়াদ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পরও সেই লক্ষণ নেই। উল্টো বাতিল হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। তবে অন্যদের আশাবাদ আর টেলরের আশাবাদের মধ্যে একটা পার্থক্য কিন্তু আছে। টেলর শুধু সাবেক অধিনায়কই নন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পরিচালক। সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড গত মাসে একটা বিবৃতি দেওয়ার পর এই প্রথম বোর্ডের উচ্চপদস্থ কেউ ব্যাপারটি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন।

আগামী অ্যাশেজকে সামনে রেখে কাল মেলবোর্নে চ্যানেল নাইন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে টেলর বলেছেন, ‘যেকোনো আলোচনাতেই আপনি কিছু ছাড় দেবেন, কিছু পাবেন। যখন এই অবস্থানে যাবেন, তখনই একটা সমাধান বের হবে। আমি মনে করি, আমরা সেই অবস্থানের খুব কাছাকাছি এসেছি। আমি নিশ্চিত, খুব শিগগির সমাধান হবে।’

দুই দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও বলেছিলেন, মূল দাবিগুলোতে অনড় থাকলেও কিছু জায়গায় তাঁরা ছাড় দিতে রাজি আছেন। তারপর মার্ক টেলরের এই কথার পর মনে হতেই পারে, দুই পক্ষই হয়তো আগের শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা নমনীয় হতে চাইছে। ২০০৪ সাল থেকে বোর্ডের অন্যতম পরিচালক টেলর তো বললেনই, ‘সম্ভাব্য একটা সমাধান বের করতে আমি আমার সাধ্যমতো সবকিছুই করব। আমি নিশ্চিত, দুই পক্ষই আন্তরিকভাবে এর পেছনে কাজ করছে।’

এই দ্বন্দ্বের কারণে আর সফর বাতিলের মতো ঘটনা ঘটবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী টেলর, ‘অস্ট্রেলিয়া “এ” দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারেনি এই দ্বন্দ্বের কারণে। এটা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু এখনো তো বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়নি। সামনে অ্যাশেজও আছে। আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, অ্যাশেজের জন্য আমরা দল পাব। বাংলাদেশ সফর মাত্র মাসখানেক দূরে। কিন্তু সেটার জন্যও আমরা দল পাব বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

তবে এত কিছুর পরও যদি সমাধান না হয়? জীবিকা নির্বাহের দুশ্চিন্তাটা ক্রিকেটারদের বেশি বলেই তাঁরা বিকল্পও ভেবে রেখেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) জানিয়েছে, এই দুঃসময়ে খেলোয়াড়দের পাশে থাকতে রাজি হয়েছে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসিএর এক মুখপাত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘চাকরিবিহীন খেলোয়াড়দের ভাতে মারার জন্য সিএর চেষ্টা যাতে সফল না হয়, সে জন্য এসিএ লক্ষাধিক ডলার ধার নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই দুঃসময়ে খেলোয়াড়দের পাশে থাকার আগ্রহ দেখিয়েছে।’ ক্রিকইনফো, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।