আগেও 'হ্যাটট্রিক' করেছিলেন মঈন!

ইতিহাসের পাতায় আবারও মঈন। ছবি: এএফপি
ইতিহাসের পাতায় আবারও মঈন। ছবি: এএফপি

ওভালের শততম টেস্ট ম্যাচ এমনিতেই বিরাট এক উপলক্ষ। উদ্‌যাপনের মঞ্চ। এমন ম্যাচে ২৩৯ রানের জয়ের পর ইংল্যান্ডের ‘বোনাস’ নিজেদের ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ১৩তম হ্যাটট্রিক-ম্যান খুঁজে পাওয়া।

বিলি বেটস, জনি ব্রিগস, জর্জ লোম্যান, জ্যাক হার্নি, মরিস অ্যালম, টম গডার্ড, পিটার লোডার, ডোমিনিক কর্ক, ড্যারেন গফ, ম্যাথু হগার্ড, স্টুয়ার্ট ব্রডের পর মঈন। ইতিহাস গড়ার পর ব্রডের সঙ্গে কী যেন বলছিলেন মঈন। ব্রডের সঙ্গে একটু বাড়তি আলাপের বৃত্তান্ত থাকতেই পারে। ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ব্রডেরই যে একাধিক (দুবার) হ্যাটট্রিক-গৌরবের সঙ্গে পরিচিতি ঘটেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৯ বছর পর কোনো ইংলিশ ক্রিকেটারের প্রথম হ্যাটট্রিক এটি। ১৯৩৮ সালে জোহানেসবার্গে টম গডার্ড হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন। মাত্র ৮ টেস্টেই শেষ হয়ে গিয়েছিল এই অফব্রেক বোলারের টেস্ট ক্যারিয়ার। দক্ষিণ লন্ডনের ঐতিহাসিক মাঠ ওভালে এর আগে কোনো হ্যাটট্রিক ছিল না। এই মাঠের কীর্তি তালিকায় নিজের নামটা অমর করেই রাখলেন মঈন।

হ্যাটট্রিক করার কথা জীবনেও নাকি ভাবেননি মঈন। তবে হ্যাটট্রিকের অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল—ফুটবল খেলতে নেমে গোলের হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই অফব্রেক বোলার। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের স্বাদটা যে পুরোপুরি ভিন্ন, সেটি খুব ভালোমতোই বুঝতে পারছেন, ‘আমি কোনো ধরনের ক্রিকেটেই কখনো হ্যাটট্রিক করতে পারিনি। ফুটবল খেলতে নেমে গোল করার হ্যাটট্রিক অবশ্য করেছি। কিন্তু ফুটবল তো পুরোপুরি ভিন্ন খেলা। ক্রিকেটের হ্যাটট্রিক...সত্যি ভিন্ন অনুভূতি, খুব চমৎকার অনুভূতি।’

গতকাল মধ্যাহ্নবিরতির পর যেন জ্বলে উঠেছিলেন মঈন। ১২ নম্বর ওভারের শেষ দুই বলে ফেরান ডিন এলগার ও কাগিসো রাবাদাকে। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই মরনে মরকেলকে এলবিডব্লু করে হ্যাটট্রিকটা তুলে নেন। মরকেলকে অবশ্য প্রথমে এলবিডব্লু দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েই মঈন স্থান পেয়ে যান ইতিহাসের পাতায়। সূত্র: এএফপি