সৈন্যের পোশাকে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত ম্যারাডোনা

বন্ধুর সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়ালেন ম্যারাডোনা। ছবিঃ এএফপি
বন্ধুর সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়ালেন ম্যারাডোনা। ছবিঃ এএফপি

ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার সৈনিক ছিলেন। ম্যারাডোনা সৈনিক ছিলেন বোকা জুনিয়র্স কিংবা নাপোলির। দীর্ঘদিন সৈনিক হিসেবে লড়েছেন ফিফার নানা অনিয়ম-অভিযোগের বিরুদ্ধে। ম্যারাডোনা সৈনিক চে গুয়েভারার আদর্শেরও। 

ভেনেজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে তাই গভীর বন্ধুত্ব আর্জেন্টিনা কিংবদন্তির। চার বছর আগে ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া মাদুরো এখন নিজ দেশেই কঠোর বিরোধিতার সম্মুখীন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে ভেনেজুয়েলার তেলভিত্তিক অর্থনীতি। দেশটিতে চলছে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, যা নিরসনে ভ্যাটিকানের মধ্যস্থতায় বিরোধীপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে মাদুরোর। বন্ধুর এমন সমস্যা-সংকুল পরিস্থিতিতে নিজেকে তার ‘সৈন্য’ হিসেবে ঘোষণা দিলেন ’৮৬-র বিশ্বকাপ মহানায়ক ম্যারাডোনা!
ভেনেজুয়েলার সাবেক বিপ্লবী ও প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের বামপন্থী মতাদর্শ ধারণ করেন মাদুরো-ম্যারাডোনা। যদিও দেশটির বর্তমান অচলাবস্থার পেছনে মাদুরোর দায় দেখেন অনেকে। কিন্তু বন্ধুর পক্ষে অবস্থান নিয়ে গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে ম্যারাডোনা লিখেছেন, ‘আমরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শাভিস্তাজ (শাভেজের অনুসারী)। মাদুরো নির্দেশ দেওয়া মাত্র আমি সৈন্যের পোশাক পরে স্বাধীন ভেনেজুয়েলা এবং সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত, যারা আমাদের সবচেয়ে পবিত্র পতাকা ছিনিয়ে নিতে চায়। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’
ম্যারাডোনার এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের নেতা হেনরিক ক্যাপ্রিলেস। আর্জেন্টিনার এক রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, ‘ম্যারাডোনা যদি এখানে আসতে চান আমি নিজে বিমানবন্দরে তাঁকে সম্ভাষণ জানাব। নানা জায়গায় ঘুরিয়ে ভেনেজুয়েলার বর্তমান পরিস্থিতি দেখাব। তথাকথিত বিপ্লব এখন অস্তিত্বের সংকটে।’ রয়টার্স