শেষ সেশনের ভয়টা বাংলাদেশেরই জুটল

স্পিনারদের এমন সাফল্য শেষ সেশনে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য। ছবি: প্রথম আলো
স্পিনারদের এমন সাফল্য শেষ সেশনে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য। ছবি: প্রথম আলো

মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারেই বিদায় নিয়েছিলেন ম্যাথু ওয়েড। একটু পরেই সে পথে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৪৪ রানে পড়ল ৮ উইকেট। একটু পরেই ব্যাটিংয়ে নামতে হবে ভেবে হয়তো মানসিক প্রস্তুতিই নেওয়া শুরু করেছিলেন তামিম-সৌম্যরা। কিন্তু প্যাট কামিন্স আর অ্যাশটন অ্যাগার ভাবলেন অন্য কিছু। চা-বিরতির আগে এ দুজনের অপরাজিত ৪৯ রানের জুটিতেই ম্যাচে ফিরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ের চাপটা বাংলাদেশের ঘাড়েই পড়ছে।

মিরপুরের উইকেটে শেষ সেশন মানেই উইকেট-বৃষ্টি। গতকাল প্রথম দুই সেশনে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তুলেছিল ১৯০ রান। আর চা-বিরতির পর পরেছে মোট ৮ উইকেট। আর এ উইকেট-বৃষ্টির মাঝে দুই দল তুলতে পেরেছে ৮৮ রান। আজও প্রথম দুই সেশনে মাত্র পাঁচ উইকেট পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া পাঁচ উইকেট হারিয়েই তুলে ফেলেছে ১৭৫ রান। শেষ সেশনের জুজু কি আজও শুরু হতে যাচ্ছে?

মিরপুরের গত কিছুদিনের রেকর্ড কিন্তু সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। আজ মাঝের সেশনে হঠাৎ করেই মনে হলো, ব্যাটিংটা অনেক সহজ কাজ। কামিন্স আর অ্যাগার যেন স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে এক-একজন লারা কিংবা টেন্ডুলকার! এতে অবশ্য উইকেটের ভূমিকাই বেশি। গতকালের পর আজও দিনের মধ্যভাগে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মিরপুরের পিচ। আর এরই সুযোগ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটা দুই শর দিকে নিয়ে গেছেন এই দুই টেলএন্ডার।

গত বছরও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন কিছু দেখা গিয়েছিল। ঠিক ১৪৪ রানেই ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। যখন বড় লিডের অপেক্ষায় বাংলাদেশ, তখনই উইকেটের সুবিধা নিয়ে ৯৯ রানের এক জুটিতে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস। পরের দিনও মাঝের সেশনে হঠাৎ করেই ব্যাটিং-স্বর্গ হয়ে উঠেছিল মিরপুর। বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। শেষ সেশনেই অবশ্য মিরপুরের উইকেট স্বরূপে দেখা দিয়েছে। মাত্র ৬৪ রানের মধ্যে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড।

অক্টোবরের সে ম্যাচে তিন দিনের তিন শেষ সেশনে উইকেট পড়েছিল ২০টি, অর্থাৎ ম্যাচের অর্ধেক। চলতি টেস্টের প্রথম দিনের ইঙ্গিতও অমন কিছু। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে আজ বড় পরীক্ষাই দিতে হবে।