ঘরের মাঠে রোমার দাপুটে জয়

মূল একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেছেন এল শারাউয়ি। ছবি রয়টার্স।
মূল একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেছেন এল শারাউয়ি। ছবি রয়টার্স।

২০১৭–১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে দুই দলের প্রথম লড়াইয়ের মতোই গোলবহুল ম্যাচ উপহার দিল রোমা ও চেলসি। পার্থক্যটা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ঘরের মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকোতে লন্ডনের অতিথিদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ইতালীয়রা, জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই নড়েচড়ে বসতে হলো দর্শকদের। কিক অফের ৩০ সেকেন্ড না পেরোতেই স্বাগতিকদের রক্ষণ ভেদ করে ছুটেছিলেন পেদ্রো রদ্রিগেজ। কিন্তু গোল না পাওয়ায় প্রতি–আক্রমণে উঠে আসে রোমা। রক্ষণ থেক উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে এল শারাউয়িকে বল বাড়ান এডিন জেকো। পেছন থেকে ছুটে এসে দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ঘরের মাঠে ১-০–তে এগিয়ে যায় রোমা।

২৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন আলভারো মোরাতা। কিন্তু চেলসির কপালে যেন শনি ঘুরছিল। ৩৬ মিনিটে চেলসির রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার নাইনগোলান। মাথার ওপর দিয়ে চিপ করা ক্রসটি বুঝতেই পারেননি ডিফেন্ডার রুডিগার। আর সেকেন্ডের মাঝেই চমৎকার ওয়ান টাচ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এল শারাউয়ি, রোমা ২-০ চেলসি। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকেরা।

বিরতির পরও খেলার একই দৃশ্য। চেলসি তারকাদের একক নৈপূণ্যের বিপরীতে রোমার সংগঠিত আক্রমণ। ৬৩ মিনিটে সেস ফাব্রেগাসের ভুলে বল পান অ্যালেক্সান্ডার কোলারভ। তাঁর পাস কুড়িয়ে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ম্যাচের সেরা গোলটি করেছেন পেরোত্তি। ৩-০–তে এগিয়ে যাওয়ার পর মোরাতাকে উঠিয়ে মিচি বাতশুয়াইকে নামিয়েছেন কোচ আন্তোনিও কন্তে। কিন্তু গোল বের করতে পারেননি। বরং ৭৭ ও ৭৮ মিনিটে নাইনগোলানের দুটি শট ফিরিয়ে দেয়ায় আরও বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচান গোলরক্ষক কোরতোয়া।

রোমা দলে ফিরেছিলেন ফ্লোরেঞ্জি, ড্যানিয়েল ডি রসি ও এল শারাউয়ি। চেলসি দলে ফিরেছিলেন কাহিল। কিন্তু দলের ইঞ্জিন এনগোলো কান্তের না থাকায় আবারও ছন্নছাড়া হয়ে পড়ল ইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। আর নয়া কোচ ইউসেবিও ডি ফ্রান্সেসকোর অধীনে দুর্ধর্ষ এক রোমা দলের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন ফর্ম বজায় থাকলে চলতি মৌসুমেই বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতে পারে রোমানরা।