আবার পাকিস্তান, আবার ২ রান!

জয়ের জন্য ৫ উইকেট দরকার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের। ছবি: এসিসি
জয়ের জন্য ৫ উইকেট দরকার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের। ছবি: এসিসি

পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল এখনো জ্বালা ধরায় হৃদয়ে। হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ে মুশফিকুর রহিমের দল হেরেছিল মাত্র ২ রানের ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে সাকিবকে জড়িয়ে ধরে মুশফিকের সে কী কান্না! ঢাকার সেই ফাইনাল এবার ফিরে এল কুয়ালালামপুরে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে, যেখানে পাকিস্তানের যুবাদের কাছে সাইফ হাসানদের হারও মাত্র ২ রানের ব্যবধানে!

তবে মুশফিকদের তুলনায় সাইফদের দুর্ভাগা বলাই যায়। পাঁচ বছর আগের সেই ফাইনালে শেষ পর্যন্ত লড়ে হেরেছিল বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো ম্যাচের শেষ ভাগে লড়াইয়ের সুযোগটুকুও পেল না। হারটা যে বৃষ্টি আইনে! আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছিল সাইফের দল। বোলিংয়ে নেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের একপর্যায়ে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৯৯। অর্থাৎ ৬৬ বলে ৭৫ রানের সমীকরণ। এ অবস্থায় ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দিকে টেনে আনার সুযোগ পেল না সাইফরা। এ হারে যুব এশিয়া কাপের শেষ চার থেকে ছিটকে পড়তে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।
দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ আরিফকে তুলে নিয়ে দারুণ শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার কাজী অনিক। ষষ্ঠ ওভারে আবদুল্লাহ শফিককে রান আউট করে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১১তম ওভারে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মহসিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন চাপটা বাড়ান আফিফ হোসেন। পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৫১। এখান থেকে মোহাম্মদ তাহা ও রোহাইল নাজিরের ৬৯ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তানের যুবারা। ব্যক্তিগত ৯২ রানে তাহা আউট হলে ম্যাচে ফিরে আসেন সাইফ-পিনাকরা। পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩৮.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭। এরপর উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক হাসান খান (১*) ও শাদ খান (৩৫*)।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.৩ ওভারে ওপেনার নাইম শেখ আউট হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ। ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পিনাকই বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরার। অধিনায়ক সাইফ হাসান (৬১) এবং আফিফ হোসেনের (৫১*) ব্যাট থেকে এসেছে আরও দুটি হাফ সেঞ্চুরি।
দলীয় ৫১ রানে নাইম আউট হওয়ার পর পিনাক ও সাইফের ১০৫ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলীয় ১৫৬ রানে ৩০তম ওভারের শেষ বলে আউট হন সাইফ। ৪৪.৪ ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন যখন ফিরে যান, যুবাদের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২২৪ রান। এখান থেকে শেষ পাঁচ ওভারে আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে দ্রুতলয়ে রান তুলেছে নাইম হাসান ও আফিফ হোসেনের জুটি। শেষ ৩২ বলে তাঁদের সংগ্রহ ৫০ রান। ১৫ বলে ২২ রান করে আফিফের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন নাইম।