৯২-তে রহিমভের পর উমারজনোভ!

উজবেকিস্তান জাতীয় যুব দলের ফুটবলার আকরো উমারজনভ (১০ নম্বর জার্সি) এসেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ে খেলার জন্য। ছবি: সংগৃহীত
উজবেকিস্তান জাতীয় যুব দলের ফুটবলার আকরো উমারজনভ (১০ নম্বর জার্সি) এসেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ে খেলার জন্য। ছবি: সংগৃহীত

১৯৯২ সালে মোহামেডানের জার্সিতে খেলে গিয়েছেন আজামত আবদুর রহিমভ। রুশ (বর্তমান উজবেকিস্তান) এই ফুটবলারের পায়ের জাদুর প্রশংসা এখনো শোনা যায় ফুটবল অঙ্গনে। অনেক দিন পর ঢাকার ফুটবলে পা রাখলেন আরও এক উজবেক ফুটবলার—আকরো উমারজনোভ। সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে এএফসি কাপে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

আকরো উমারজনোভ বাংলাদেশের ফুটবলাঙ্গনে একেবারে অপরিচিত নাম নয়। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে উজবেকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের জালে চার গোল দিয়েছিল মধ্য এশিয়ার দেশটি। আকরোর নামের পাশে কোনো গোল না থাকলেও খেলেছিলেন দুর্দান্ত। এবার সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে এএফসি কাপে কেমন খেলেন, সেটাই দেখার বিষয়।

এএফসি কাপে খেলতে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডানের সঙ্গে নিবন্ধন করেছে শুধু সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ইতিমধ্যে এএফসি কাপ ড্র অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, ‘আমরা এএফসির মেইল পেয়েছি। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ওয়ার্কশপ এবং এএফসি কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।’

আকরো উমারজনোভকে বেশ আগেভাগেই নিয়ে এসেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এএফসি কাপে রয়েছে ‘এশিয়ান কোটা’—একাদশে চার বিদেশির মধ্যে একজনকে অবশ্যই এশিয়ান হতে হবে। তা না হলে একাদশে তিন বিদেশি নিয়েই খেলতে হবে দলগুলোকে। সর্বাধিক ছয়বার এএফসির (এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপ ও এএফসি কাপ) আসরে খেলা আবাহনী লিমিটেড একবারও এশিয়ান কোটার খেলোয়াড় নিবন্ধন করেনি। ফলে এক বিদেশি কম নিয়েই খেলতে হয়েছে আকাশি-হলুদ জার্সিধারীদের। এএফসি কাপের জন্য শেখ জামাল একবার এক ভারতীয়কে এনেও মাঠে নামাতে পারেনি। ট্রায়ালেই বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল তাকে। এখন পর্যন্ত সে তুলনায় অবশ্য এগিয়ে সাইফ স্পোর্টিং।