অধিনায়ক সাকিবের সেরা 'তিন'

সাকিবের হাতেই টেস্টের দায়িত্ব। ফাইল ছবি
সাকিবের হাতেই টেস্টের দায়িত্ব। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের টেস্ট দলে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ‘সাকিব আল হাসান যুগ’। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ব্যর্থতার পর অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে গত ছয় বছরে মুশফিকের ব্যাটে দেখা গেছে দারুণ কিছু ব্যক্তিগত ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে নৈপুণ্যে সাকিবও কিন্তু কম যান না। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের আরেকটি অধ্যায়ের শুরুতে ক্রিকেটের বড় পরিসরে নতুন অধিনায়কের সেরা কিছু নৈপুণ্যে চোখ ফেরানো যাক—

টেস্টে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর ট্রফি হাতে অধিনায়ক সাকিব। ছবি: ক্রিকইনফো
টেস্টে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর ট্রফি হাতে অধিনায়ক সাকিব। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেন্ট জর্জেস পার্ক, গ্রানাডা, ২০০৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই চোটে পড়েছিলেন সব সংস্করণে সে সময়ের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। পুরো টেস্টেই অধিনায়কত্ব করতে হয় সাকিবকে। কিন্তু ক্রিকেটীয় নথিতে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই অধিনায়কত্বের পালা শুরু হয় এই অলরাউন্ডারের। গোটা সিরিজেই ব্যাটে-বলে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ২৩৭ রানে বেঁধে রাখতে সমান দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিন স্পিনার এনামুল জুনিয়র, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনজনই। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের ২০৯ রানে আটকে দেন অধিনায়ক সাকিব। জয়ের জন্য ২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিবের অপরাজিত অপরাজিত ৯৬ রানে ভর করে ৪ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় পায় টাইগাররা। সেটি ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিবই।

হ্যামিলটনে সেঞ্চুরির পথে সাকিবের পুল। ছবি: ক্রিকইনফো
হ্যামিলটনে সেঞ্চুরির পথে সাকিবের পুল। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, সেডন পার্ক, হ্যামিলটন, ২০১০
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির এই সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ব্যাট করেও ৫৫৩ রানের পাহাড় গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের সফল বোলার ছিলেন রুবেল হোসেন, ১৬৬ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। বল হাতে ১ উইকেট পাওয়া সাকিব জ্বলে ওঠেন ব্যাটিংয়ে। মাহমুদউল্লাহর ১১৫ রানের সঙ্গে সাকিবের ৮৭ রানে ভর করে ৪০৮ রান তোলে বাংলাদেশ দল। বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না পেলেও চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাঁর ১০০ রানেই ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখেছিল দল। পঞ্চম দিনে ২৮২ রানে অলআউট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১২১ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাট করছেন সাকিব। ছবি: ক্রিকইনফো
মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাট করছেন সাকিব। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ২০১০
সে টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব। তামিমের ৮৫, মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম ইসলামের ৫৯, শফিউল ইসলামের ৫৩ আর সাকিবের ৪৯ রানের বদৌলতে প্রথম ইনিংসে ৪১৯ রান করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ইয়ান বেলের ১৩৮ রান ও টিম ব্রেসনানের ৯১ রানের সুবাদে ৪৯৬ রান করে ইংলিশরা। সে টেস্টে ১২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই পুরোনো সাকিব, ৯৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। দলের রান ২৮৫-তে পৌঁছে দেন এই অলরাউন্ডার। তবে অ্যালিস্টার কুকের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে টেস্ট জিতে নেয় ইংল্যান্ড। দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এই টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিবই।

ইনিংস

রান

উইকেট

সেরা (ব্যাটিং)

সেরা (বোলিং)

১৮

৬৫০

৩৯

১০০

৫/৬২

এক নজরে টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
টেস্ট: ৯
জয়: ১
হার: ৮