জয়াসুরিয়ার এ কী হাল!

এভাবেই ক্রাচে ভর দিয়ে চলাফেরা করছেন জয়াসুরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এভাবেই ক্রাচে ভর দিয়ে চলাফেরা করছেন জয়াসুরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ভালো নেই সনৎ জয়াসুরিয়া। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় তারকা হাঁটুর চোটে কাতর। তাঁর চোট এতটাই প্রকট যে স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারছেন না তিনি। চলাফেরায় ‘মাতারা হারিকেনে’র সার্বক্ষণিক সঙ্গী এখন এক জোড়া ক্রাচ। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য লঙ্কান এই তারকাকে ‘মাতারা হারিকেন’ ডাকা হতো।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, হাঁটুর চোটটা বেশ অনেক দিন ধরেই ভোগাচ্ছে জয়াসুরিয়াকে। শিগগিরই তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যাবেন হাঁটুর চিকিৎসা নিতে। পুরো প্রক্রিয়াতে লেগে যেতে পারে প্রায় এক মাস।

১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ে বিরাট অবদান ছিল জয়াসুরিয়ার। ওপেনিংয়ে রমেশ কালুভিতারানাকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দিশেহারা করে দিয়েছিলেন সব প্রতিপক্ষকে। কেবল বিশ্বকাপই নয়, শ্রীলঙ্কার জার্সি গায়ে যত দিন ক্রিকেট খেলেছেন, ততদিনই প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। ১১০ টেস্ট ৪৪৫ ওয়ানডে আর ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা জয়াসুরিয়ার মোট আন্তর্জাতিক রান ২০ হাজার ৯৬৬। টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ১৪টি, গড় ৪০.০৭। ওয়ানডেতে ৩২.৫১ গড়, ২৮টি সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা চারটি। ১৯৯৬ সালে সিঙ্গাপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটি ছিল সে সময় বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর কয়েক মাস পরেই জয়াসুরিয়ার এই রেকর্ডটি ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ৩৪০ রান তাঁর ক্যারিয়ারকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়।

এই তো কিছুদিন আগেও শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন ৪৮ বছর বয়সী জয়াসুরিয়া। সময়টা তাঁর একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। লঙ্কান দৈনিক দ্য আইল্যান্ড জানিয়েছে, কিছুদিন আগে তাঁর বিপক্ষে একটি বিতর্কিত ভিডিও টেপ প্রকাশিত হয়, যেটি তাঁকে যথেষ্ট বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। জানা গেছে, সেই ঘটনার পর থেকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কর্তারা তাঁর সঙ্গে একটু দূরত্ব বজায় রেখেই চলছেন।