রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত নন কোহলি

☀ বিরাট কোহলি মনে করেন প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে
☀ কোচ রবি শাস্ত্রী অবশ্য প্রস্তুতির ঘাটতিটা অনুধাবন করেছেন।
☀ জোহানেসবার্গে বুধবার শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট
☀ জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স মাঠ ভারতের জন্য পয়া

কোচের সঙ্গে একমত নন কোহলি। ছবি: এএফপি
কোচের সঙ্গে একমত নন কোহলি। ছবি: এএফপি

রবি শাস্ত্রী হঠাৎ করেই বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের কাছে। ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে যেকোনো সিরিজে শুরু হওয়ার আগে কমপক্ষে ১০ দিন অনুশীলনের জন্য রাখার অনুরোধ ছিল তাঁর সেই বার্তায়। ভারতের এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভরাডুবির মূল কারণ হিসেবে অনেকেই ‘অনুশীলনের ঘাটতি’কে দেখছেন। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় ভারতীয় ক্রিকেট দল পায়নি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলে নাকি অযথা সময় নষ্ট করেছে ভারতীয় দল। সেই সিরিজটা সংক্ষিপ্ত করে আরও আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে এলে হয়তো সিরিজে ভালো করতে পারত কোহলির দল।

এ সবই ‘কী হলে কী হতো’ বা ‘কী করা উচিত ছিল’ জাতীয় কথাবার্তা। আজ জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে। ভারতীয় দলের সামনে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা। আবার অন্যদিক দিয়ে দেখলে চমৎকার খেলে সেই শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার হাতছানিও। ভারত কেমন করবে, অন্তত শেষ টেস্টটা জিতে বিদেশের মাটিতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারবে কিনা—এমন আলোচনা চলছে। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহলি জোহানেসবার্গ টেস্টের আগে আগের দুই টেস্টে হারের কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাননি। ভুল করেই যে সিরিজটা তাঁর দল হেরেছে, এটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই তাঁর।

সিরিজ হারের পর অজুহাত দেখিয়ে লাভ নেই বলেই অভিমত তাঁর, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না যে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না। সিরিজ শুরুর আগে তো এসব নিয়ে কথা হয়নি। এখন হেরে এসব কথা বলার কোনো মানেই হয় না।

সিরিজ শুরুর আগে হাতে পাওয়া এক সপ্তাহ সময়টা যথেষ্ট ছিল বলেই মানেন কোহলি, ‘আমরা এক সপ্তাহ হাতে পেয়েছিলাম প্রথম টেস্ট শুরুর আগে। ভ্রমণের সময়টা বাদ দিলে পাঁচ দিন ছিল। আমার তো মনে হয় যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় ছিল সেটি। আর এই সময়টা যে আমরা পাচ্ছি, সেটি তো আগেই জানতাম। এখন খেলার বাইরের কোন কোন কারণে আমরা সিরিজটা হারলাম, সেটি বলা অবান্তর। আমরা আসলে প্রথম দুই টেস্ট হেরেছি বাজে খেলে এবং নিজেদের ভুলেই।’

জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স মাঠটা ভারতের জন্য কিন্তু বেশ পয়া। ২০০৭ সালে এই মাঠেই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে জেতা দুটি টেস্টের দুটিই জোহানেসবার্গে। ২০১১ সালে এই মাঠেই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ভারত, যে ম্যাচে কোহলি করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

এবার জোহানেসবার্গ কী খালি হাতে ফেরাবে ভারতকে?