বাংলাদেশ এ কোন তালিকায়

বোলারদের মধ্যে শুধু নাজমুলই যা একটু রান আটকেছেন। ছবি: প্রথম আলো
বোলারদের মধ্যে শুধু নাজমুলই যা একটু রান আটকেছেন। ছবি: প্রথম আলো

• উদারহস্তে রান দিয়েছেন বোলাররা। 

>• টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মোট ছয়টি দল ১৯৩ কিংবা তদূর্ধ্ব রান করেও হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল।

১৫তম ওভারের শেষ বলটি মাঝ স্টাম্প বরাবর রেখেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দাসুন শানাকা কিছুটা শাফল করে তুলে মারলেন লং অনের ওপর দিয়ে। সম্ভবত ম্যাচের সবচেয়ে বড় ছক্কা। ১৯৩ রানের চূড়ায় উঠেও বাংলাদেশের জয়ের আশা ততক্ষণে পেয়েছে অক্কা!

অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিল মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু বোলিং করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে তাঁর সতীর্থরা ‘উপহার’ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার স্বাদ! মোট ছয় বোলার ব্যবহার করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে শুধু নাজমুল ইসলাম ওভারপ্রতি সাতের নিচে রান দিয়েছেন। বাকি পাঁচ বোলারের সবাই দশের ওপরে!
বাংলাদেশের বোলারদের এই ‘উদারহস্ত’ খরচের শীর্ষে সাইফউদ্দিন—২ ওভারে রান দিয়েছেন ১৬.৫০ করে। রুবেল হোসেনের মতো অভিজ্ঞ বোলারও ৩.৪ ওভারে ৫২ রান দিয়েছেন। মানে ওভারপ্রতি ১৪.১৮ রান করে। তা, রান আটকানোয় বোলারদের এমন ঢিলে বাঁধনে বাংলাদেশ কিন্তু ছিটকে পড়েছে এক ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ তালিকায়—টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে ন্যূনতম ১৯৩ কিংবা তদূর্ধ্ব রান করেও এ পর্যন্ত হারের নজির ছিল নয়টি। শ্রীলঙ্কা সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে দাখিল করল বাংলাদেশকে!
‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই হারের ‘দুর্দান্ত দশ’ তালিকায় শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ৭ উইকেটে ২৩১ রান করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টিতে এটি রান তাড়া করার রেকর্ড। দ্বিতীয় শীর্ষ দলটাও সেই প্রোটিয়ারাই। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৯ রানের স্কোরকে ছেলেখেলা বানিয়ে ছেড়েছিল ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মোট ছয়টি দল ১৯৩ কিংবা তদূর্ধ্ব রান করেও হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও এখানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ আজ থেকে এখানে ‘সপ্তম’ নরকযন্ত্রণায় ভোগা দল!