সাদা অলিম্পিকের সাতকাহন

যেন এক সেতু
যেন এক সেতু

বরফ গলছে পিয়ংচ্যাংয়ে...। এতটুকু শুনেই যাঁরা আঁতকে উঠেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। কারণ, আপনারা জানেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এই শহরে শীতকালীন অলিম্পিক হচ্ছে। আর শীতকালীন অলিম্পিকে বরফ গলা কোনো কাজের কথা নয়।

তুষারশুভ্র অলিম্পিকই বটে!
তুষারশুভ্র অলিম্পিকই বটে!

শীতকালীন অলিম্পিকটা হয়-ই তো বরফের রাজত্বে। তুষারশুভ্র পাহাড়-পর্বতের ঢালে, বরফে ঢাকা সব স্টেডিয়ামে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় নামেন ‘শীতের’ দেশ থেকে আসা অলিম্পিয়ানরা। যেখানে মাঝেমধ্যে সবাইকে চমকে দিতে আলজেরিয়া-মিসরের মতো মরুদেশের অ্যাথলেটরাও চলে আসেন। হিমালয় পর্বতের সৌজন্যে প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তান-নেপালও এখন নিয়মিত শীতকালের এই অলিম্পিকে। তবে বাংলাদেশের এখনো অংশ নেওয়া হয়নি। খুব শিগগির যে হবে সেই সম্ভাবনা আর বাংলাদেশে তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় সমান।

বরফে লুটোপুটি
বরফে লুটোপুটি

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্ম খ্রিষ্টের জন্মেরও অনেক আগে প্রাচীন গ্রিসে। সেই অলিম্পিকের পুনর্জন্ম ১৮৯৬ সালে গ্রিসের এথেন্সেই। সেই তুলনায় শীতকালীন অলিম্পিক অনেক আধুনিক, জন্ম ১৯২৪ সালে।

সারি বেঁধে চলো যাই
সারি বেঁধে চলো যাই

বীজটা অবশ্য রোপিত হয়েছিল আরও আগে। ১৯০১ সালে সুইডেনে নরডিক গেমস চালু করেছিলেন আধুনিক অলিম্পিকের জনক পিয়েরে দ্য কুবার্তিনের বন্ধু ভিক্টর গুস্তাফ বাল্ক। তাঁর চেষ্টাতেই ১৯০৮ লন্ডন অলিম্পিকে যোগ হয় ফিগার স্কেটিং। এরপর পরিকল্পনা করা হয় প্রতিটি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজক দেশে আলাদা করে শীতকালীন খেলাধুলা সপ্তাহ পালনের। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯২৪ সালে ফ্রান্সের শামুনিতে পালিত হয় এই ‘সপ্তাহের’ (আসলে ১১ দিন)। সফল ওই আয়োজনের পর ১৯২৫ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় আলাদা শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের। শামুনিই পেয়ে যায় প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজকের স্বীকৃতি।

ছন্দে ছন্দে
ছন্দে ছন্দে

সেই শুরু থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়টা ছাড়া ১৯৯২ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের বছরেই হয়ে এসেছে শীতকালীন অলিম্পিক। শীত-গ্রীষ্মকে আলাদা করতেই ১৯৯৪ সাল থেকে ভিন্ন ভিন্ন জোড় বছরে দুই অলিম্পিক হচ্ছে।

এখনই পাপড়ি মেলবে এই ‘ফুল’
এখনই পাপড়ি মেলবে এই ‘ফুল’

স্কিয়িং, স্কেটিং, ফিগার স্কেটিং, আইস হকি, বব স্লেই-এই খেলাগুলো সেই ১৯২৪ সাল থেকেই নিয়মিত শীতকালীন অলিম্পিকে। পরে যোগ হয়েছে আরও অনেক খেলা। কোনো খেলার সঙ্গেই বাংলাদেশের মানুষের সেভাবে পরিচয় নেই। তবে শীতকালীন অলিম্পিকের ছবিগুলো দেখলে অপলক তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। তার প্রমাণ ছড়িয়ে রইল পাতা জুড়ে।

বরফানন্দ
বরফানন্দ

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সবচেয়ে সফল হলেও যুক্তরাষ্ট্র শীতকালীন অলিম্পিকে দ্বিতীয় সেরা। বরফের রাজ্যে রাজত্বটা নরওয়ের। এবারের অলিম্পিকের আগে ১১৪টি সোনাসহ ৩২৯টি পদক জিতেছে মেরু অঞ্চলের দেশটি।

বরফ কাটা পথ
বরফ কাটা পথ

ও হ্যাঁ, বরফের অলিম্পিক এবার বরফ কিন্তু কিছুটা গলিয়েছে। দুই কোরিয়ার সম্পর্কের বরফ!