২৫৯ রানে থেমেছে আবাহনী

আবাহনীর পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ নাসিরের। ফাইল ছবি
আবাহনীর পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ নাসিরের। ফাইল ছবি

• টসে হেরে ব্যাটিং করেছে আবাহনী
• ৪৯.৪ ওভারে আবাহনী অলআউট ২৫৯ রানে
• মোহামেডানের মোহাম্মদ আজিম ৩ উইকেট নিয়েছেন
• আবাহনীর পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ নাসির হোসেনের—৬৭

শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। ওপেনার এনামুল হক আজও জ্বলে উঠেছিলেন। মিডল অর্ডারে রান পেয়েছেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিথুন। কিন্তু তারপরেও মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর সংগ্রহটা খুব বড় হয়নি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৫৯ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

আবাহনীর সংগ্রহটা আরও বড় না হওয়ার কারণ লেট অর্ডার ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা। মিথুন-নাসিররা এগিয়ে দিয়ে গেলেও মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজরা বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ভাগ্যিস মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যাট হেসেছে, না হলে সংগ্রহটা আরও কম হতে পারত। মাশরাফি ১৭ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ রানের ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আবাহনীর সংগ্রহটা আড়াই শ পার করাতে ভূমিকা রাখেন।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। মোহাম্মদ আজিমের বলে শামসুর রহমানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। তিনি ২ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ওপেনার এনামুল ও নাজমুল হোসেন দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। একটা জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু দলীয় ৮৪ রানের মাথায় রনি তালুকদারের ক্যাচে বিপুল শর্মার শিকার হন নাজমুল (২৬)। ১০৩ রানের মাথায় ৬৩ রানে তাইজুলের বলে এনামুল এলবিডব্লু  হলে কিছুটা বিপাকেই পড়ে যায় আবাহনী। এনামুল ৬৩ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ৮১ বলে, ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে।

এরপর জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও নাসির হোসেন। ৬৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। জুটিটা আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা যখন জাগছে, ঠিক তখনই দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে ফেরেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করা মিথুন। নাসির অবশ্য লড়ে গেছেন। ৭৩ বলে ৬৭ রান করে আজিমের বলে বোল্ড হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার। নাসির যখন আউট হন, তখন স্কোরবোর্ডে আবাহনীর সংগ্রহ ২৪৯। এর আগে অবশ্য ১৭৪ রানের মাথায় মোসাদ্দেক ও ২০৪ সময় মিরাজ আউট হয়ে বিপদের মাত্রা বাড়িয়েছিলেন।

মোহামেডানের বোলাররা সবাই সফল—৩ উইকেট নিয়েছেন আজিম। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন বিপুল শর্মা, শুভাশিস রায়, কাজী অনিক, তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক (২)।