বিসিবি সভাপতি জানতেনই না মুশফিক মারতে পারেন!

মুশফিকের হাতে শট আছে—এটা বিসিবি সভাপতি জানতেনই না! ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকের হাতে শট আছে—এটা বিসিবি সভাপতি জানতেনই না! ছবি: প্রথম আলো
>
  • মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি
  •  দুই ব্যাটসম্যান এভাবে চড়াও হতে পারে, জানা ছিল না তাঁর
  •  ৭ মার্চ কলম্বোয় এসেছেন নাজমুল, চার দিনের সফর শেষে আজ ফিরে গেছেন দেশে

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা মাঠে থেকেই দেখেছেন নাজমুল হাসান। নিদাহাস ট্রফিতে প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহরা যেভাবে হেরেছেন, তাতে ভীষণ হতাশ তিনি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় দেখে ভীষণ আপ্লুত। খুশি যেমন হয়েছেন, অবাক হয়েছেন মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং দেখেও!
৭ মার্চ কলম্বোয় এসেছেন নাজমুল। চার দিনের সফর শেষে আজ ফিরে গেছেন। কলম্বো ছাড়ার আগে নাজমুল বলেছেন, কাল যেভাবে মুশফিক-লিটন ছক্কা মেরেছেন, তাঁকে ভীষণ অবাকই করেছে, ‘তামিম-সৌম্য যে মারতে পারে, সেটা জানি। লিটন মারতে পারে জানতাম না। মুশফিক? ওকে কাল বললাম, তুমি যে এমন মারতে পার, জানতামই না! গত দুই বছর দেখছি, ছয় মারতে গিয়ে সে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়! ও মারতে পারে। কিন্তু ছয় মারার খেলোয়াড় সে নয়! আমাদের দলে ছক্কা মারে তিনজন—তামিম, সৌম্য আর সাব্বির। সাব্বির অবশ্য ছন্দে নেই।’
২০১১ সালের অক্টোবরে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটা কি মনে আছে? ৬ বলে ৬ রানের সমীকরণ মুশফিক মিলিয়ে ছিলেন ছক্কা মেরে। ২০১২ সালের মার্চে ওয়ানডে সংস্করণে হওয়া এশিয়া কাপে ভারতের করা ২৮৯ রান টপকেছিল বাংলাদেশ, সেটিতে শেষ দিকে তীব্র স্নায়ুচাপে ৭ বলের মধ্যে তিনটা ছক্কা মেরে কঠিন সমীকরণটা সহজে মিলিয়ে ফেলেছিলেন মুশফিক। মুশফিক মারতে জানেন, এটা সবাই জানেন। কিছুটা নতুন হতে পারে লিটন দাসের ঝড়টা। স্ট্রোকের পসরা সাজাতে পারেন, সেটি ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই দেখা যায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেটি কাল দেখালেন।
লিটনের ব্যাটিংয়ের মুগ্ধতা যেন কাটছেই না বিসিবি সভাপতির, ‘লিটন কাল যেভাবে খেলেছে, পুরো ম্যাচের সুরই বদলে দিয়েছে। তামিমের ওপর চাপ কমে গেছে। তামিম মারা শুরু করল, সৌম্য ধরে রাখল। মুশফিক এল, সৌম্য মারা শুরু করল। এই যে পরিকল্পনা—এটাই ছিল দেখার মতো।’
সাব্বির রহমান যেভাবে কাল রানআউট হয়েছেন, এটিতে ভীষণ বিরক্ত নাজমুল, ‘সে তো ডাইভও দেয়নি। ওকে ওই সময় সিঙ্গেল নিতে কে বলল? কাল সবার সামনেই ওকে বলেছি, ওখানে সিঙ্গেল নিতে পাঠানো হয়নি তোমাকে। ছয় মারার খেলোয়াড় তো মিরাজ (সাব্বিরের পরে নেমেছেন তিনি) নয় । তোমাকে পাঠিয়েছি ছক্কা মারতে। তোমাকে মারতে হবে, ব্লক করেছ কেন? হয় মারবা, না হলে নাই! জিতে গেলে তো বেশি বলা যায় না!’