জাতীয় দলের ক্যাম্পে না গিয়ে খেপ খেলা!

সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে মতিন মিয়া। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি।
সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে মতিন মিয়া। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি।
>
  • খেপের নেশা ছিল বল এই ফুটবলারকে ‘খ্যাপ মতিন’ বলা হয়
  • প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে খেলেই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি
  • জন্ডিসের জন্য ক্যাম্পে যোগ দেননি
  • কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, তিনি খেপ খেলছেন

নিজের প্রতিভা দিয়েই মতিন মিয়া জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার আগে প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলে নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাঁর, জন্ডিসের কারণে যোগ দিতে পারলেন না জাতীয় দলের ক্যাম্পে। কিন্তু সেই মতিনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে খেপ খেলার!

জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের কাছে সময় চেয়েছিলেন। কথা ছিল, সুস্থ হয়ে উঠে কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পে যোগ দেবেন। কিন্তু মতিন সেটি করেননি। ১৭ মার্চ তিনি সিলেটে খেপ খেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই মৌসুমে সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সি গায়ে তিনটি গোল করেছেন। করিয়েছেন বেশ কিছু গোল। জাতীয় দলের যে ডাক পেতে যাচ্ছেন, এটা অনুমিতই ছিল। তিনটি গোলের একটি তো ফিফার বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার পুসকাস অ্যাওয়ার্ডে পাঠানোর কথা ভাবছে বাফুফে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে নিজেদের রক্ষণভাগের একটু ওপর থেকে বল ধরে একে একে চার ডিফেন্ডার কাটিয়ে গোলটি করেছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে এমন উদীয়মান তরুণকে উপেক্ষা করতে পারেননি জাতীয় দলের কোচ ওর্ড।
মতিন অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ হয়েছেন চার-পাঁচ দিন আগে। কিন্তু সুস্থ হয়েও জাতীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ না করে খেপ খেলা কেন? মতিন অবশ্য ব্যাপারটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশই করেছেন, ‘আসলেই খেপ খেলাটা ঠিক হয়নি। আমি চার-পাঁচ দিন আগেই পুরোপুরি সুস্থ হয়েছি। জাতীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। কিন্তু করিনি। তবে আমার মনে হয়েছে, এই সময় যোগাযোগ করেও লাভ নেই। আমি সুযোগ পাব না। তাই খেপ খেলেছি। মানছি ভুল হয়েছে। এমনটা আর হবে না।’
একসময় ‘খেপ মতিন’ নামেই পরিচিতি ছিল তাঁর। খেপ খেলেই রোজগার করতেন। সেই অভ্যাসটা কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না। জাতীয় দলের ক্যাম্প উপেক্ষা করে খেপ খেলার জন্য তাঁর জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
জাতীয় দলের ক্যাম্প উপেক্ষা করে এর আগেও খেপ খেলার নজির আছে অনেক। জাহিদ হাসান এমিলি ও মিঠুন চৌধুরী এর আগে শাস্তি ভোগ করেছেন। তা নিয়ে জল ঘোলাও কম হয়নি। কিন্তু জাতীয় দলে গুরুত্ব অগ্রাহ্য করে খেপ খেলার রীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না ফুটবলাররা—চিন্তার বিষয় এটিই।