সমতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বার্সেলোনাকে

দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে নামালেও গোলের দেখা পাননি এই আর্জেন্টাইন। ছবি: রয়টার্স
দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে নামালেও গোলের দেখা পাননি এই আর্জেন্টাইন। ছবি: রয়টার্স
>
  • সেল্টা ভিগোর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
  • বার্সার হয়ে একটি করে গোল করেন ডেম্বেলে ও পাকো আলকাস।
  • সেল্টার হয়ে একটি করে গোল করেন জনি ক্যাস্ট্রো ও ইয়াগো আসপাস।

লা-লিগায় পয়েন্ট টেবিলে তালিকায় নয় নম্বরে ‘সেল্টার সঙ্গে হেসেখেলে জিতবে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা’—এই ভাবনা থেকেই কিনা নিজের সেরা ছাত্রদের বসিয়ে রাখার চিন্তা করেছিলেন ভালভার্দে। মেসি-সুয়ারেজবিহীন প্রথমার্ধে বিবর্ণ আক্রমণভাগে রং দিতে দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে নামানো হলেও গোলের দেখা পাননি এই আর্জেন্টাইন। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু সময়ের জন্য এক গোলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। তবে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে থাকা হয়নি। ২-২ গোলের সমতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। এই ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে উঠে এল সেল্টা।

প্রথমার্ধে সমানে-সমান লড়েছে সেল্টা ভিগো। গোলমুখে চরটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে সেল্টা। অন্যদিকে, বার্সেলোনার দুটি শট গোলপোস্ট বরাবর ছিল। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। শুরুতে ভালো কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সার আক্রমণভাগ। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ডেনিস সুয়ারেজের ক্রস থেকে পাওলিনহো ঠিকঠাক হেড করতে পারলে গোল পেতে পারত বার্সা। ম্যাচের দশম মিনিটে ম্যাক্সি গোমেজের শট টের স্টেগান আটকে দিলে গোল বঞ্চিত হয় সেল্টা। ২৫তম মিনিটে পাওলিনহোর হেড অল্পের জন্য সেল্টার জালে জড়ায়নি। বারবার আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দলই। ৩৪তম মিনিটে টের স্টেগান আবারও বার্সেলোনাকে গোল হজমের হাত থেকে বাঁচায়। পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে কাতালানরা। ৩৬তম মিনিটে কুতিনহোর ক্রস থেকে ডেম্বেলের আড়াআড়ি শটে প্রথম গোলের দেখা পায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এসে (৪৫তম) সমতায় ফেরে সেল্টা ভিগো। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি মিস পুষিয়ে দেন ম্যাক্সি গোমেজ। তাঁর দুর্দান্ত শটে জনি ক্যাস্ট্রো পা ছোঁয়ালে প্রথমার্ধ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়।

সেল্টার ২য় গোলের পর ইয়াগো আসপাস। ছবি: রয়টার্স
সেল্টার ২য় গোলের পর ইয়াগো আসপাস। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে ডেনিস সুয়ারেজের শট আটকে দেন সেল্টার গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণে উঠে আসা সেল্টা সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলে গোল ব্যবধান এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। ৫৫তম মিনিটে আবারও আক্রমণে সেল্টা। এবার বার্সার ডি-বক্সে ম্যাক্সি গোমেজ পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আক্রমণ করে স্বাগতিকেরা। ৫৮তম মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সেল্টার আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা। ৬০তম মিনিটে মেসিকে নামালে খেলায় কিছু সময়ের জন্য প্রাণ ফিরে পায় বার্সেলোনা। ৬৪তম মিনিটে বার্সার গোল হয়তো সেটারই প্রমাণ! পাওলিনহোর দুর্দান্ত শটে পাকো আলকাসের। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। গোল হজমের পর তেতে ওঠে স্বাগতিকেরা। ৭১তম মিনিটে সেল্টার ইয়াগো আসপাসকে হাত দিয়ে টেনে ধরেন বার্সার সার্জিও রবার্তো। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। ১০ জনের বার্সেলোনাকে চেপে ধরেন সেল্টার খেলোয়াড়েরা। পরপর কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ৮২তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন ইয়াগো আসপাস। ৯০তম মিনিটে টের স্টেগানকে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি সেল্টার খেলোয়াড়। অমন সুযোগ হাতছাড়া না করলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত সেল্টা।