লিটনের এমন ইনিংস বাংলাদেশেই প্রথম

ডাবল সেঞ্চুরির পর লিটন। সৌজন্য ছবি
ডাবল সেঞ্চুরির পর লিটন। সৌজন্য ছবি

প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি দুটির সঙ্গেই আজ পরিচয় হয়ে গেল লিটন দাসের। বিসিএলের শেষ রাউন্ডের তৃতীয় দিনে আজ ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দোর্দণ্ড প্রতাপে এগোচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে। হলো না। ইলিয়াস সানির বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন ২৭৪ রানে। লিটনের যদি ট্রিপল সেঞ্চুরির আফসোসে পুড়তে হয়, তাঁকে ঠিক ততই খুশি হওয়া উচিত দুর্দান্ত এক রেকর্ড গড়ায়। 

ইলিয়াস সানিকে বাউন্ডারি মেরে যখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন লিটন, তখনই রেকর্ডের পাতায় নাম উঠে গেছে তাঁর। ১৯০ বলে ২০০—বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ২০০-এর কম বল খেলে।

কাল লিটনের সামনেই মধ্যাঞ্চলের আবদুল মজিদ করেছিল তৃতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। এখন ‘তৃতীয়’ বলা হলেও কাল পর্যন্ত দ্বিতীয়ই ছিল। এত দিন সবচেয়ে দ্রুততমের রেকর্ডটি ছিল মোসাদ্দেক হোসেনের অধিকারে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে মোসাদ্দেক দ্রুততমটি করেছিলেন ২২৯ বলে। আজ লিটন ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। কিন্তু করতে পারেননি ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২৪২ বলে ২৫০ করে ফেলার পরই ট্রিপল সেঞ্চুরির ভাবনাটা হয়তো জেঁকে বসেছিল। এগিয়েছেন কিছুটা শ্লথ ব্যাটিংয়ে। পরের ২৪ রান করেছেন ৫১ বলে। সতর্ক ব্যাটিংয়ে এগিয়েও কাজ হয়নি, আউট হয়েছেন ২৭৪ রান করে।

লিটন নিজেও রেকর্ডটির বিষয়ে জানতেন না। এমনকি কত বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন, সে হিসাবও তাঁর জানা ছিল না! আগের রেকর্ডটি কার ছিল, সেটাও জানতেন না। সবকিছু জেনে এই প্রতিবেদককে ধন্যবাদই জানালেন তিনি।

রেকর্ডটা করে কেমন লাগছে, মুঠোফোনে জানতে চাইলে লিটনের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনাদের কেমন লাগছে? আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে আমারও ভালো লাগছে।’ রেকর্ড করে ভালো লাগলেও ট্রিপল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা নিয়ে কোনো আফসোস নেই তাঁর, ‘নাহ, একটুও খারাপ লাগছে না।’

লিটনের রেকর্ডের দিনে সেঞ্চুরি করেছেন আফিফ হোসেন। চতুর্থ উইকেটে লিটন-আফিফের ২৯৮ রানের জুটি ম্যাচই শুধু বাঁচায়নি, পূর্বাঞ্চলকে লিডও এনে দিয়েছে। তৃতীয় দিন তারা শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৫৯২ রান তুলে। এগিয়ে গেছে ৪৬ রানে।

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি

ব্যাটসম্যান      

বল

 মৌসুম

লিটন দাস

১৯০

২০১৭–১৮

মোসাদ্দেক হোসেন

২২৯

২০১৪–১৫

আবদুল মজিদ

২৩০

২০১৭–১৮