ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট, নাকি বিশ্বকাপ - কোনটি বেছে নেবেন মেসি?

মেসি ও সালাহ। সংগৃহীত ছবি
মেসি ও সালাহ। সংগৃহীত ছবি

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়ের পর মেসির ব্যস্ততা বলতে ছিল শুধু কোপা ডেল রের ফাইনাল ও লা লিগা। কোপা ডেল রের শিরোপা তো নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আর গতকাল রাতে তাঁর হ্যাটট্রিকে চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা। সবই যখন হাতের মুঠোয় এসে গেছে, তাহলে আর বিশ্বকাপ সামনে থাকায় স্পেনে এখন পড়ে থাকা কেন মেসির? 

প্রশ্নটি তুলেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার অস্কার রুগেরি। ’৮৬-এর বিশ্বকাপজয়ীর পরামর্শ, যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বকাপ নিয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত মেসির।
আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোনো শিরোপা না জিততে পারলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির ত্যাগ দৃশ্য কম নয়। অবসর ভেঙে ফিরে বাছাইপর্বের খাদের কিনারা থেকে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপে। তাঁর ওপর যে ৩২ বছরের বিশ্বকাপ জয়ের হাহাকার মেটানোর প্রত্যাশা, তা অধিনায়ক মেসির চেয়ে ভালো আর কেই-বা বোঝেন!
লা লিগা শিরোপা জিতেছেন, তবে লিগে এখনো বাকি আছে চার ম্যাচ। অন্যদিকে বিশ্বকাপ আসন্ন। তাই মেসির সামনে এখন দুটি রাস্তা। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন, নাকি লা লিগার শেষ পর্যন্ত খেলবেন?

স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে শিরোপা যেহেতু নিশ্চিত, তাই শেষ চার ম্যাচে না খেললেও তো হয় মেসির। কিন্তু মেসিকে এখন দুটি বিষয় সামনে রাখতে হচ্ছে। তা হলো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের জন্য সালাহর সঙ্গে প্রতিযোগিতা ও বার্সেলোনাকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করা। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের প্রতিযোগিতায় মেসি ও সালাহর মধ্যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। গতকাল পর্যন্ত মেসির গোল ৩২টি, অন্যদিকে লিভারপুলের জার্সিতে সালাহর গোল ৩১টি।

মেসি এরই মাঝে ইঙ্গিত দিয়েছেন অপরাজিত লিগ জেতার চিন্তাটা তাঁর মাথায় আছে, ‘প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে ছিলাম। পুরো মৌসুমে একটা ম্যাচও হারিনি। সে হিসেবে এটা বিশেষ একটা লিগ। কারণ, একটি ম্যাচও হারিনি। আমাদের কিছু কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আমরা সেসবই কাটিয়ে এসেছি কোনো ম্যাচ না হেরেই, এটা অবিশ্বাস্য!’
তবে মেসি অবশ্য ভালো করেই জানেন বার্সেলোনাকে অপরাজিত থেকে শেষ করতে চাইলে, তাঁকে মাঠে থাকতে হবে। সেভিয়ার বিপক্ষে তাঁকে ছাড়া মাঠে নেমে হারতে বসেছিল দল। পরে মেসিই উদ্ধার করেন বার্সেলোনাকে। সে সঙ্গে সালাহকেও গোলে পেছনে ফেলে রাখতে চাইলেও মাঠে থাকা চাই। ওদিকে যে বাড়তি সময় পেয়েছেন সেটা আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলির সঙ্গে পরিকল্পনাতে ব্যয় করলে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের লাভ হতো।
দেখা যাক মেসি কী বেছে নেন, বিশ্বকাপ না সালাহর সঙ্গে লড়াই?