পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দুটির বেশি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে দিতে রাজি নয় বোর্ড

২০১৮–এর বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমতে পারে? প্রথম আলো ফাইল ছবি
২০১৮–এর বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমতে পারে? প্রথম আলো ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে গতবার প্রতি ম্যাচে পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পেরেছেন। এর ফলে প্রতিটি দলে সমাগম ঘটেছিল প্রচুর বিদেশি ক্রিকেটারের। জস বাটলার, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো ক্রিকেটারদেরও দেখা গিয়েছিল। তবে বিপিএল বিদেশি কোটার সিংহভাগ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাই। অধিকাংশ দলই পাকিস্তানি ক্রিকেটার দিয়ে দল সাজাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। তবে আগামী বিপিএলে এটা না–ও দেখা যেতে পারে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতি সৃষ্টি করেছে। এ নীতিতে একজন চুক্তিবদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার এক মৌসুমে মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিতে পারবেন। পাকিস্তানের নিজস্ব লিগ পিএসএলকে যদি হিসাবে আনা হয়, সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে মাত্র একটি লিগ খেলার সুযোগ পাবেন তাঁরা। অর্থাৎ বিপিএলে, বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও ন্যাট ওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি গ্লোবাল লিগ থেকে মাত্র একটি টুর্নামেন্ট বেছে নিতে হবে তাঁদের। হাসান আলী, শাদাব খান কিংবা বাবর আজমদের মতো পরিচিত মুখদের জন্য বেশ বড় ধাক্কা।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ৩৫ জন ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ। এঁদের সবার ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর। চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটার কিংবা অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের জন্যও অনাপত্তিপত্র পাওয়া কঠিন করে তুলেছে পিসিবি। এক বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের এক মৌসুমে দুটি লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। আর চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা এনওসি পেতে চাইলে অন্তত তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের এনওসি নেওয়ার ব্যাপারে পিসিবির কোনো নির্দেশনা নেই। তবে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর অন্তত দুই বছর এনওসি নিতে হয়।’

কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফরে দলের খেলোয়াড়দের ক্লান্ত অবস্থায় পেয়েছিলেন কোচ মিকি আর্থার। বিপিএল, বিগ ব্যাশ ও নতুন আবিষ্কার টি-টেন লিগে সবচেয়ে ব্যস্ত উপস্থিতি ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কিত আর্থার এ নিয়ে বোর্ডকে ভাবতে বলেছিলেন। এর ফলেই পাকিস্তানের বাইরে বিভিন্ন লিগ খেলার ওপর এমন কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করছে বোর্ড। গত সপ্তাহে একাডেমির প্রধান মুদাসসর নজর, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও ক্রিকেট অপারেশনের পরিচালক হারুন রশিদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পাকিস্তানের স্থানীয় ক্রিকেট মৌসুম সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে মার্চে শেষ হয়। আর এ সময়টায় বিপিএল, টি-টেন লিগ ও বিগ ব্যাশ হয়। ফলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও ন্যাট ওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টই সবচেয়ে ভালো সুযোগ।