এই সাব্বিরের কাছে রান করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা প্রায় শেষ দিকে। ঘিরে ধরা বিতর্ক থেকেও বেরিয়ে আসছেন ধীরে ধীরে। এই আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে নতুন করে শুরু করতে চাইছেন সাব্বির রহমান।

নিজেকে নতুন করে চেনাতে সাব্বিরকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৫০ বলে ৭৭ রান। দল হেরে যাওয়ায় ইনিংসটা বৃথা গেলেও তাঁর কাছে এটি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করছে, ‘এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা যেভাবে খেলেছি, আগের ম্যাচগুলোয় নিজেকে ওইভাবে চেনাতে পারিনি। ফাইনালে যেভাবে চেয়েছি সেভাবে চেনাতে পেরেছি। সামনে এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
টানা ব্যর্থতায় মাঝে দলে থাকাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। নিদাহাস ট্রফির বেশির ভাগ ম্যাচেই সাব্বিরের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশেষে সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া গেলেও মাঝে কেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন, সেটির উত্তর কি ঠিকঠাক পেয়েছেন? নিজের উপলব্ধি আজ সংবাদমাধ্যমকে বললেন সাব্বির রহমান, ‘আত্মবিশ্বাস বড় জিনিস। রান করলে সব টেকনিক ঠিক থাকে। কোনো দোষই তখন আর দোষ থাকে না! সব কাজই ঠিক থাকে। রান না করলে ভালো শট খেলে আউট হলেও তখন প্রশ্ন ওঠে, টেকনিক খারাপ! হ্যাঁ, টেকনিকে সমস্যা থাকতে পারে, টেম্পারামেন্ট সমস্যা থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হয় রান করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

নতুন করে শুরুর লক্ষ্যে আফগানিস্তান সিরিজ খেলবেন সাব্বির। ছবি: প্রথম আলো
নতুন করে শুরুর লক্ষ্যে আফগানিস্তান সিরিজ খেলবেন সাব্বির। ছবি: প্রথম আলো

আফগানিস্তান দলের বোলিং বিভাগ শক্তিশালী হলেও ব্যাটসম্যান সাব্বির নিজেদের পিছিয়ে রাখতে মোটেও রাজি নন। অভিজ্ঞতার বিচারেই তিনি এগিয়ে রাখতে চান নিজেদের, ‘অবশ্যই অভিজ্ঞতায় আমরা এগিয়ে থাকব। আফগানিস্তানের হয়তো তিন-চারজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের অনেক ভালো ভালো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে যারা আইপিএলেও খেলে। আশা করছি অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ জিততে পারব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললেও সাব্বির ব্যক্তিগত উদ্যোগেই নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করেছেন গত দুই মাস। আফগানিস্তান সিরিজ তাঁর লক্ষ্য একটাই, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন সেগুলো মাঠে করে দেখাতে। রশিদ খান-মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে এত কথা হচ্ছে, তাঁদের খেলতে কী করণীয় সেটিও অজানা নয় সাব্বিরের, ‘টি-টোয়েন্টি ১২০ বলের খেলা। প্রথম কয়েক ওভারে একরকম পরিস্থিতি যাবে। শেষ ছয় ওভার আরেক রকম। ইনিংসের মাঝে থাকে আরেক পরিস্থিতি। আমরা যারা মাঝের ওভারগুলো খেলব বল-টু-বল যদি রান করতে পারি, অন্তত ৪২ বলে যদি ৬০-৭০ রান করতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের স্কোর ভালো হবে। উইকেট ছুড়ে না দিয়ে এসে বল অনুযায়ী খেললে বড় স্কোর করতে পারব।’